ইমন হাওলাদার
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ এএম
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চিঠিপত্র

পাখিরা মুক্ত হোক

পাখিরা মুক্ত হোক

আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজেই পশুপাখি অংশগ্রহণ। শৈশব থেকে শুরু করে, বৃদ্ধ সময় পর্যন্ত যেন ওরা নানাভাবে আমাদের চলার সঙ্গী। পশুপাখি বন-জঙ্গলে কী সুন্দরভাবেই না নিজেদের জীবন পরিচালনা করে। তাদের ছোটাছুটি পরিবেশকে সতেজ করে তোলে। এরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে; কিন্তু আমরা অনেকেই পশুপাখিকে খাঁচায় বন্দি করে পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে ফেলছি। এটি কখনো জ্ঞানবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দেখা যায় শখের বসে খাঁচায় বন্দি করে পশুপাখি লালন করা হয়। যার ফলে পশুপাখি অনেক নতুন রোগে আক্রান্ত হয়। তাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়। অনেক পশুপাখি ধুঁকে ধুঁকে মারা যায় মুক্তির আশায়। পৃথিবীর কোনো প্রাণীই চায় না বন্দিজীবন। সবাই চায় প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে। পাখিরা তাদের ডানায় ভর করে ছুটে চলে। তাদের প্রয়োজনমতো খাবার খায়। থাকার জন্য চমৎকার বাসা নির্মাণ করে। এটিও প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আমাদের চারপাশ হয়ে ওঠে মনোমুগ্ধকর। সকাল হলেই শোনা যায় তাদের কলকাকলি। ভোরের পাখিগুলো গেয়ে যায় মধুর গান। পশুগুলো কী সুন্দরভাবে চারদিকে থাকে, যেন আমাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার।

পশুপাখির দোকানে গেলে দেখা যায়, হায়! কী করুণ দশা তাদের। দেখলে চোখে পানি চলে আসে। মনে হয় সব পশুপাখি ছেড়ে দিয়ে বলি—এইতো ফিরিয়ে দিয়েছি তোমাদের মৌলিক অধিকার। একটা উড়ন্ত পাখিকে খাঁচায় আটকে রেখে কীভাবে তার ভালো চাইতে পারেন। পাখিতো আকাশের নীলিমায় আর তার বানানো গাছের কোটরে বাসায় ভালো থাকবে। গাছে ফোঁটা ফুল কখনোই আপনি ছিঁড়ে এনে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সতেজ রাখতে পারেন না। পশুকে বন থেকে ধরে এনে খাঁচায় আটকে রেখে সুস্বাদু খাবার দিলেই সে ভালো থাকবে না। তাই আমাদের উচিত নিজের বিনোদন, ইচ্ছা আর ভালো লাগার জন্য না; বরং পশুপাখির ভালো থাকার স্বার্থে কাজ করা। প্রকৃতি প্রেমিক কখনোই তাদের খাঁচায় বন্দি করতে পারেন না। তাদের মুক্ত করে দেওয়াতেই আনন্দ। আর প্রকৃতি হয় আরও সুন্দর, আরও মনোমুগ্ধকর।

ইমন হাওলাদার, শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রিবেট সুবিধাসহ পৌরকর পরিশোধ-ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ বাড়ল

ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করতে বললেন আদালত

এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির : মুতাছিম বিল্লাহ

১০ ঘণ্টা পরেও স্বাভাবিক হয়নি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ভোগান্তি চরমে 

‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত জামিন সংক্রান্ত বক্তব্য আইজিপির নয়’

বান্ধবীর কাছে ‘হিরো’ হতে গিয়ে ৪২২৯ যাত্রী নিয়ে প্রমোদতরী ডুবিয়ে দেন ক্যাপ্টেন!

মায়ের পাশে ঘুমিয়ে ছিলেন যুবক‌, জানালা খুলে গুলি করে হত্যা

চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২০০

কী এই গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, কেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু?

হিন্দু সম্প্রদায়কে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা / প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের : তারেক রহমান

১০

স্বস্তি ফিরেছে খাগড়াছড়িতে, যান চলাচল শুরু

১১

দেশের প্রশ্নে কোনো বিভাজন নয় : ডিসি তানভীর

১২

বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি পরিচালক গায়ক আসিফ

১৩

বরিশালে ৩০ সনাতন ধর্মাবলম্বীর বিএনপিতে যোগদান

১৪

আমি একজন মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে গর্ব করি : ধর্ম উপদেষ্টা

১৫

আ.লীগ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে : ডা. জাহিদ

১৬

আফগান সিরিজের আগে সুসংবাদ পেলেন একাধিক টাইগার ক্রিকেটার

১৭

সর্দার দুলালসহ আন্তঃজেলার ১৩ ডাকাত গ্রেপ্তার

১৮

হবিগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০

১৯

আ.লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে কী বললেন আইন উপদেষ্টা

২০
X