মহিউদ্দিন খান মোহন
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৭ এএম
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ঐক্য বিনষ্ট করে সন্দেহ-অবিশ্বাস

ঐক্য বিনষ্ট করে সন্দেহ-অবিশ্বাস

প্রবচনটি হলো, ‘সন্দেহ যখন দরজা দিয়ে ঢোকে, বিশ্বাস তখন জানালা দিয়ে পালায়’; অর্থাৎ সন্দেহ ও বিশ্বাস একসঙ্গে বসবাস করতে পারে না। বিশ্বাস দুজন বা দুপক্ষের মানুষকে কাছে টানে। আর সন্দেহ ঠেলে দেয় দূরে। শুধু দূরেই ঠেলে দেয় না, সৃষ্টি করে অবিশ্বাস-মনোমালিন্য। আমার মা একটি গল্প বলেছিলেন। দুলু আর ভুলু নামে দুই ব্যক্তির প্রগাঢ় বন্ধুত্ব দেখে অন্তর্জ্বালায় জ্বলছিল টুলু। কীভাবে দুলু-ভুলুর বন্ধুত্ব ভেঙে দেওয়া যায়, টুলু সে ফন্দি আঁটছিল মনে মনে। একদিন সে দেখতে পেল, দুই বন্ধু নদীর ধারে বটগাছের নিচে বসে খোশগল্পে মশগুল। টুলু দুলুকে ডেকে নিয়ে আড়চোখে ভুলুর দিকে তাকিয়ে নিচুস্বরে বলল, ‘মনের রাখবা ধানডার মধ্যেই কুনডা’। শুনে দুলু একটু হেসে ভুলুর কাছে ফিরে এলো। ভুলু জিজ্ঞেস করল, কী বলল টুলু? দুলু সরল মনে জবাব দিল, বলল ধানডার ভিতর কুনডা। কুন হলো ধান থেকে চাল করার সময় বের হওয়া তুষের ক্ষুদ্র কণা। শুনে অবিশ্বাসের সুরে ভুলু বলল, ‘এই ছোট্ট কথাটি বলার জন্য সে তোমাকে আমার কাছে থেকে দূরে নিয়ে গেল? অসম্ভব, সে অন্য কিছু বলেছে, যা তুমি আমাকে বলতে চাও না। সে নিশ্চয়ই আমার সম্পর্কে কিছু বলেছে। কারণ, সে বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছিল, তুমিও হাসছিলে।’ দুলু যতই বোঝায় ভুলু সম্পর্কে টুলু কিছু বলেনি, ভুলু ততই উত্তেজিত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুজন মুখ ঘুরিয়ে দুদিকে চলে যায়। এ ঘটনার রেশ ধরে ভেঙে যায় দুলু-ভুলুর গভীর বন্ধুত্ব। আমার প্রতি মায়ের উপদেশ ছিল—‘যাচাই না করে সন্দেহ করে বন্ধুত্ব নষ্ট করিও না।’

ঠিক এ ধরনের একটি গল্প পড়েছিলাম ক্লাস সেভেনের দ্রুত পঠন বইয়ে। দুই বন্ধু সৈয়দ আলী ও মেহের আলীকে নিয়ে গল্প। কর্মজীবন শেষে তারা গ্রামে ফিরে পাশাপাশি বাড়ি করে বসবাস করতে থাকে। গভীর বন্ধুত্ব দুজনের। একেবারে হরিহর আত্মা। এ-বাড়িতে মুরগির সালন রান্না হলে পেয়ালাভর্তি চলে যায় ও-বাড়িতে। আবার ও-বাড়ির মাছের ঝোলের বাটি চলে আসে এ-বাড়িতে। দুই বন্ধুর এরকম বন্ধুত্ব ভালো লাগছিল না গ্রামের মাতব্বরের। কীভাবে তাদের বন্ধুত্ব নষ্ট করা যায়, সে ফন্দি আঁটতে থাকল। প্রথমেই সৈয়দ আলী ও মেহের আলীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলল। মিষ্টভাষী মাতব্বর অল্পদিনেই দুই বন্ধুর প্রিয়পাত্র হয়ে গেল। একদিন সে গেল সৈয়দ আলীর বাড়িতে। দেখল মেহের আলীর আমগাছের একটি ডাল সীমানা পেরিয়ে সৈয়দ আলীর উঠোনে চলে এসেছে। মাতব্বর সৈয়দ আলীকে বলল, ‘এই ডাল তো তোমার ক্ষতি করছে। এর ছায়ার নিচে তো তোমার জাংলার সবজিগাছ বড় হতে পারছে না। ডালটি কেটে ফেলো।’ সৈয়দ আলী ভাবল ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বলার দরকার কী? সে নিজেই ডালটি কেটে ফেলল। এরপর মাতব্বর মেহের আলীর বাড়িতে গিয়ে বলল, ‘যত ঘনিষ্ঠ বন্ধুই হোক, না বলে এভাবে গাছ কাটা অন্যায় হয়েছে। তা ছাড়া ফলবান বৃক্ষের ডাল কাটা আইনত অপরাধ। তোমার থানায় জানানো উচিত।’

বন্ধুর বিরুদ্ধে থানায় যেতে চাচ্ছিল না মেহের আলী। মাতব্বরের পীড়াপীড়িতে থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়রি করে এলো। পুলিশ তদন্তে এসে সৈয়দ আলীর উঠোনে সদ্য কাটা গাছের ডাল পেল। ব্যস, হাতকড়ি লাগিয়ে পুলিশ সৈয়দ আলীকে নিয়ে গেল থানায়। ওদিকে মাতব্বর গিয়ে তাকে জামিনে ছাড়িয়ে আনল। দুই বন্ধুর মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গেল। কদিন পর সৈয়দ আলীর একটি মোরগ গেল মেহের আলীর আঙিনায়। ‘মেরে আঙেনা মে তোমহারা ক্যায়া কাম হ্যায়’ বলে মেহের আলী সেটাকে ধরে জবাই করে ফেলল। সৈয়দ আলী ছুটল মাতব্বরের কাছে। মাতব্বর তাকে নিয়ে গেল থানায়। আবার মামলা হলো, পুলিশ এলো। মেহের আলীর বাড়িতে গিয়ে পুলিশ পেল মোরগের পালক আর হাঁড়িতে গোশত। ব্যস! একেবারে হাতেনাতে প্রমাণ। পুলিশ মোরগ হত্যার অভিযোগে মেহের আলীকে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে গেল থানায়। আবার ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হলো মাতব্বর। ছাড়িয়ে আনল মেহের আলীকে। শুরু হলো দুপক্ষের আইনি লড়াই। আদালতে দৌড়াদৌড়ি। উকিল-মোক্তারের পেছনে টাকা খরচ হতে থাকল জলের মতো। টাকার জোগান দিতে থাকল মাতব্বর। কয়েক বছর মামলা চলার পর একদিন রায় দিল আদালত। গাছের ডাল কাটার অপরাধে সৈয়দ আলীর জরিমানা দশ টাকা আর মোরগ হত্যার জন্য মেহের আলীর জরিমানা পাঁচ টাকা। জেলা সদর থেকে ক্লান্ত-শ্রান্ত দুই বন্ধু বাড়িতে ফিরে মামলার লাভলোকসান হিসাব করতে গিয়ে দেখল, নিজেদের বসতবাড়িটুকু ছাড়া বাকি সব জমিজিরাত এরই মধ্যে ওই মাতব্বরের দখলে চলে গেছে। এই গল্পটির মর্মবাণী পাওয়া যায় সীতানাথ বাসক প্রণীত ‘আদর্শলিপি ও বর্ণ পরিচয়’ বইয়ে, যাতে বলা হয়েছে—‘খ’তে ‘খলকে বিশ্বাস করিও না’। তৃতীয়পক্ষের কুমন্ত্রণায় বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার এমন নজিরের অভাব নেই সমাজে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এতসব উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও আমরা প্রায়ই ভুল করে ভুল পথে পা বাড়াই। আর মাশুল গুনি কড়ায়গণ্ডায়।

গত বছর জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গড়ে উঠেছিল ঐক্য। স্থাপিত হয়েছিল পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তি। পরাজিত ও বিতাড়িত আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগী-সহগামীরা ছাড়া সবাই সেসময় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। আস্থা স্থাপন করেছিল আন্দোলনের ফসল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি। বাংলাদেশকে প্রকৃতার্থে একটি জনগণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে গড়ে তুলতে রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কারেও সবাই ঐকমত্য পোষণ করেছিল। কথা ছিল প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করবে। এজন্য সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দিতেও তখন কেউ আপত্তি তোলেনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শক্রমে সরকার সংবিধান, প্রশাসন, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, পুলিশসহ বিভিন্ন বিষয়ে ১১টি সংস্কার কমিশনও গঠন করে। কমিশনগুলোর মধ্যে ছয়টি তাদের রিপোর্ট এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমাও দিয়েছে। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে সংস্কারের চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে এবং তারই ভিত্তিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। দেশবাসী এ রোডম্যাপকে স্বাগত জানিয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোও মোটামুটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই দেখিয়ে আসছে।

কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় ৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হওয়ার আলামত স্পষ্ট হয়ে উঠছে। গণঅভ্যুত্থানের উদগাতা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, তাদের সহযোগী সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে সন্দেহের বীজ যেন অঙ্কুরিত হচ্ছে। এ সন্দেহ-অবিশ্বাস সৃষ্টির পেছনে তৃতীয় কোনো পক্ষের কুমন্ত্রণা আছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটা অনুমান করা যায়, আগস্ট অভ্যুত্থানের পক্ষশক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হলে যাদের সুবিধা, তারা এ ক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে থাকতে পারে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখছে বিএনপি। তারা মনে করছে, সংস্কারের জন্য সময় ব্যয় করে অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষার্থীদের গঠিতব্য দলের সাংগঠনিক বিস্তারের সুযোগ করে দিতে চাচ্ছে। তাদের মতে, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার, ততটুকু সম্পন্ন করেই সরকারের নির্বাচনে মনোযোগী হওয়া উচিত। অন্যদিকে সরকার বলছে, শুধু একটি নির্বাচনই নয়, ভবিষ্যতে যাতে বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদ মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে; সে লক্ষ্যে রাষ্ট্র-কাঠামোর খোলনলচে পাল্টে ফেলতে তারা বদ্ধপরিকর। এরই মধ্যে বিএনপি মহাসচিব তার এক বক্তৃতায় দেশে আবার এক-এগারো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন প্রবলম্বিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যদিও তার এ আশঙ্কাকে অভিজ্ঞমহল অমূলক মনে করছে।

এদিকে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষে চলছে দোষারোপের প্রতিযোগিতা। এ প্রবণতা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের জন্য অশনিসংকেত নিঃসন্দেহে। গত বছর জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের সূচনা হয়েছে, সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের যূপকাষ্ঠে তার বলীদানের ব্যবস্থা করা হবে চরম আত্মঘাতী। রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহল বলছে, ফ্যাসিবাদীরা আপাত ম্রিয়মাণ হলেও রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে তারা এখনো সুপ্ত অবস্থায় রয়ে গেছে। আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির মধ্যে সৃষ্ট বিভেদের সুযোগ নিয়ে তারা যদি তাদের অপতৎপরতা শুরু করে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বরং বিশ্ব ইতিহাস বলে, বিজয়ী শক্তির বিভেদের সুযোগ নিয়ে পরাজিত শক্তি নানারকম অশুভ তৎপরতার মাধ্যমে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করে থাকে।

দীর্ঘ সাড়ে পনেরো বছর বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আওয়ামী লীগ নামের একটি জগদ্দল পাথরের নিচে চাপা পড়েছিল। এই সময়ে বহু আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে, রক্তক্ষয় হয়েছে। বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীরা জেল-জুলুম, খুন-গুমের শিকার হয়েছে। অবশেষে গত বছর জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে জাতীয় ঐক্যের উদ্ভব হয়, তারই ফলে হাসিনা সরকারের বিদায় সম্পন্ন হয়। ফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানের পথিকৃৎ বলাটা অসমীচীন নয়। এখন তারা যদি বাংলাদেশে নতুন ধারার রাজনীতি উপহার দিতে একটি দল গঠন করতে চায়, তাহলে তাদের বিরোধিতা না করে বরং উৎসাহিত করা উচিত। কেননা, রাজনীতির মাঠে তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী প্ল্যাটফর্ম হিসেবেই কাজ করবে, যা দেশের গণতন্ত্রকে অধিকতর শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। বিজ্ঞজনরা তাই মনে করেন, অমূলক সন্দেহের বশবর্তী হয়ে নিজেদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা হবে অপরিণামদর্শী কাজ।

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাড়ল আকরিক লোহার দাম 

মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে বিপিএল খেলা পাক ক্রিকেটারের নামে স্ট্যান্ড

আস্ত কাঁচা মাছ চিবিয়ে খান তিনি

যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী বহুমাত্রিক যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

পারমাণবিক অস্ত্রাগার উন্নত করছে চীন, নেপথ্যে কী?

কিউবা মিচেল-তপুদের দায়িত্বে আর্জেন্টাইন কোচ

গোপনে বিয়ে করলেন জিয়া মানেক

উপদেষ্টা মাহফুজের বাবা ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক নির্বাচিত 

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৩

উড্ডয়নের সময় এফএ-১৮ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, ককপিটে ছিলেন ২ পাইলট

১০

ভবদহের চার দশকের দুঃখের অবসান হতে যাচ্ছে

১১

এইচএসসি পাসেই এনজিওতে চাকরির সুযোগ

১২

সালমানকে নিয়ে অভিমান প্রকাশ করলেন ঐশ্বরিয়া

১৩

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রথম ভর্তি পরীক্ষা আজ

১৪

এশিয়া কাপে কোন বোলারকে মিস করবে ভারত, জানালেন হরভজন

১৫

গণমাধ্যমের অনুকরণে স্যাটায়ার পেজে বিভ্রান্তি

১৬

ধূমপান না করেও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে, যে লক্ষণ দেখে বুঝবেন

১৭

ডাকসুর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কারা এগিয়ে 

১৮

ডাকসুর ভিপি-জিএস প্রার্থীদের পরিচয়

১৯

কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার ও বিমানঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১৮

২০
X