বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ড. এম এ আজিজ
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৪ এএম
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০১ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কালবেলার বিশেষ সাক্ষাৎকার

আমরা কি চাই বন্যপ্রাণী টিকে থাক

আমরা কি চাই বন্যপ্রাণী টিকে থাক

ড. এম এ আজিজ—জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার পর লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব কেন্ট থেকে সুন্দরবনের বাঘ নিয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। বন বিভাগ পরিচালিত সর্বশেষ বাঘ জরিপে মুখ্য গবেষক ছিলেন তিনি। হাতি সংরক্ষণ নিয়েও উল্লেখযোগ্য গবেষণা রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি জাপানের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের মেছোবিড়াল সংরক্ষণ এবং পাহাড়ের গুহার বাদুড় নিয়ে গবেষণা করছেন। তার হাত ধরেই নতুন চার প্রজাতির বাদুড়ের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে বাংলাদেশ। আজ আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, চ্যালেঞ্জ, তার ভবিষ্যৎসহ নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন কালবেলার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আবু আজাদ

কালবেলা: বন্যপ্রাণী দিবস বাংলাদেশে পালন কতটা যুক্তিযুক্ত?

ড. এম এ আজিজ: দিবসগুলো পালন করা হয় কতগুলো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে। মূল উদ্দেশ্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সামনে ওই বিশেষ দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা এবং সে অনুযায়ী নীতি তৈরি এবং ব্যবস্থা নিতে উৎসাহিত করা। এটা কোনো নীতি বা লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি গণমাধ্যমের কল্যাণে এসব সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়। তবে এটা ঠিক যে, কী দিবস পালন করা হচ্ছে, কেন করা হচ্ছে, তার উদ্দেশ্য কী—সেসব আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে। লক্ষ্য নির্দিষ্ট না করে ঢাকায় একটি সভা-সেমিনার করলে, দিবস পালন করলে, কয়েকজন মানুষ বক্তব্য দিলে আসলে খুব বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই।

বন্যপ্রাণী আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। প্রতিটি জীবের সঙ্গে তার পরিবেশের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, রয়েছে তার পরিবেশগত গুরুত্ব। আমাদের অসচেতনতা বা অবহেলার কারণে এরই মধ্যে পৃথিবী থেকে হাজারো প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্ত এসব প্রজাতি আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। কে বলতে পারে, প্রকৃতিতে টিকে থাকা প্রাণীগুলোই হয়তো আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য জীবনরক্ষাকারী ওষুধের উৎস হতে পারে।

কালবেলা: আপনি বলছেন বন্যপ্রাণী আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। কিন্তু এর প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বেশ নেতিবাচক। বন্যপ্রাণীর প্রতি এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কী কারণ থাকতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

ড. এম এ আজিজ: প্রাগৈতিহাসিককালে মানুষ বন্যপ্রাণী শিকার করে খেয়েছে। তখন বন্যপ্রাণীকে বিপজ্জনক মনে করা হতো। তাই বন্যপ্রাণীকে খাদ্যের উৎসের পাশাপাশি সেগুলোকে শত্রুজ্ঞানও করা হতো। সেজন্য প্রাণীদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য নানা কৌশল অবলম্বনেরও দরকার হতো। কিন্তু আজকের দিনে সেসবের আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক দিনের রেশ মানুষের মনে এখনো রয়ে গেছে। এ ছাড়া নেতিবাচক মনোভাবে সামাজিক শিক্ষারও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। যেমন এখনো শিশুদের ঘুম পাড়ানোর সময়, কান্না থামানোর সময় হয়তো শিয়ালের ভয় দেখানো হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড অজান্তেই শিশুদের মনে বন্যপ্রাণীর প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে। এ ধরনের ধারণা জেনারেশন থেকে জেনারেশনে সঞ্চারিত হয়েছে, হচ্ছে।

পাশাপাশি বন, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী নিয়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় গলদ রয়ে গেছে। যারা আমাদের স্কুল-কলেজ পর্যায়ে পাঠ্যবই লিখে থাকেন, সেখানে পরিবেশ-বন্যপ্রাণী নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা নেই, যা ছোটবেলা থেকে মানুষকে এসব বিষয়ে স্পর্শকাতর করে তোলে।

কালবেলা: বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় সাধারণ মানুষ কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন?

ড. এম এ আজিজ: প্রথমত, আমরা জানি দেশে সামাজিক বনায়নের একটা সফলতা রয়েছে। সরকার বনায়নের জন্য অর্থায়ন করে থাকে। সরকারি জায়গাতেই এসব গাছ লাগানো হয়, কিন্তু এই কাজ স্থানীয় মানুষদের দিয়ে করানো হয় এবং রক্ষণাবেক্ষণ কাজও করেন ওই জায়গার দখলে থাকা ব্যক্তি। এই ব্যবস্থার লভ্যাংশ সরকার ও ব্যক্তির মধ্যে ভাগাভাগি হয়। এতে উভয়েই উপকৃত হয়। এই ব্যবস্থায় সরকারের ওপর চাপ কমেছে। ফলে সারা দেশব্যাপী এটা সরকারের একটি সফল প্রজেক্ট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

আমি মনে করি, এই ব্যবস্থাপনাটির পরিধি আরও বাড়াতে হবে। যেমন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক এক সময় উজাড় হতে বসেছিল। সরকারের উদ্যোগের কারণে এটা কিছুটা থেমেছে। তবে এর মধ্যে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। সেই দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে সরকারের উদ্যোগগুলো আরও প্রাণবন্ত এবং অংশগ্রহণমূলক করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, বন্দুক দেখিয়ে বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষার দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন মাঠপর্যায়ে জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো অবস্থাতেই বনাঞ্চল ও বন্যপ্রাণী রক্ষা করা সম্ভব নয়। সেভাবেই সরকারকে তার পলিসি ঠিক করতে হবে।

কালবেলা: ঢাকার মধ্যে বেশ কয়েকটি সংরক্ষিত বন উদ্যান রয়েছে। আমরা জানি, দেশীয় প্রজাতির গাছ স্থানীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সাহায্য করে। কিন্তু আমরা দেখছি, এসব সংরক্ষিত বনে সৌন্দর্যবর্ধনকারী বিদেশি গাছ এনে লাগানো হচ্ছে। এই বিষয়টাকে কীভাবে দেখেন?

ড. এম এ আজিজ: আরবান সেটিংয়ে অনেক বন্যপ্রাণী থাকে। কিন্তু বহু ধরনের কীটপতঙ্গ রয়েছে, যেগুলোও ওয়াইল্ড লাইফের অংশ। এই আরবান সেটিং ঠিক রাখতে হলে বনাঞ্চলগুলোতে যথাসম্ভব প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখা জরুরি। আমাদের মধ্যে একটি প্রবণতা রয়েছে যে, কীভাবে এই সংরক্ষিত বনগুলোর সৌন্দর্যবর্ধন করা যায়। এ জন্য আমরা এসব বনে অনেক বিদেশি গাছ লাগাচ্ছি। কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বনগুলোতে যেন ডাইভারসিটি বজায় থাকে। অর্থাৎ বড় গাছ থাকবে, ছোট গাছ থাকবে, ঝোপঝাড়-লতাগুল্মও থাকবে। একই সঙ্গে হাঁটাচলা করার মতো কিছু পথ থাকবে এবং কিছু ওপেন এরিয়া থাকবে। এতে যেমন মানুষ চলাচল করতে পারবে, মানুষ বন বা পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে, তেমনি সব ধরনের বন্যপ্রাণীর আবাসনের পরিবেশ নিশ্চিত হবে।

একটি বন যতটা ডাইভার্সিফায়েড হবে, ততই নানান ধরনের বন্যপ্রাণীকে সাপোর্ট করতে পারবে। কেননা বড় গাছে, ঝোপে, সমতলে, পাহাড়ে, লবণাক্ত পরিবেশে ইত্যাদির বন্যপ্রাণী সবই একই রকম নয়। তাই সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলোতেও আমাদের ডাইভারসিটি রাখতে হবে। কেমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সব ধরনের পশুপাখি ও প্রাণীদের জন্য সেটা সহিষ্ণু হয়।

কালবেলা: আমরা দেখেছি বেশ কিছু বন্যপ্রাণী ইতিমধ্যেই আমাদের দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেমন- নীলগাই, মিঠা পানির কুমির, ঘড়িয়াল, গণ্ডার, ময়ুর- এসব প্রাণীকে কোনোভাবে আবার আমাদের প্রকৃতিতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন কি?

ড. এম এ আজিজ: বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণী আবারও প্রকৃতিতে ফিরিয়ে আনা অনেক কঠিন কাজ। এর জন্য প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আমরা চাই কি না যে এটা প্রকৃতিতে টিকে থাকুক অথবা ফিরিয়ে আনা হোক। এর অর্থ হলো- একটি প্রাণী এক সময় এই আবাসে ছিল এখন নেই, সেটাকে ফিরিয়ে আনা। প্রথমে দেখতে হবে, যেসব কারণে এই প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে সেই কারণগুলো বিলুপ্ত করতে হবে। যেমন, নীল গাই আমাদের সমতলের বনে ছিল এরা ঘাসের জমিন পছন্দ করে, ময়ূর শালবনে ছিল তারাও কিছু সমতল ভূমি পছন্দ করে। বনের সেরকম অবস্থা বা পরিবেশ আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব কি না, তার ওপর নির্ভর করে এই প্রাণীগুলোকে রিইন্টারডাকশন করা যাবে কি না। এ মুহূর্তে আমার মনে হয়, এরকম পরিবেশ আমাদের বড় অঞ্চলগুলোতে এখন নেই।

মিঠাপানির কুমির এবং ঘড়িয়ালের মতো কিছু প্রাণী রয়েছে যেগুলো সহজে রিইনপ্রোডাকশন করা যায়; কিন্তু এগুলো মানুষের জন্য ক্ষতিকর হবে কি না, তাও আগে ভেবে দেখতে হবে। তবে মূল কথা হলো, এসব প্রাণী আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা যেতে পারে তবে তার জন্য সেরকম ডেডিকেশন থাকতে হবে। একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং অর্থায়ন হলে এ বিষয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। তার জন্য এখানে প্রয়োজন হবে সরকারি উদ্যোগের।

কালবেলা: হাতি, মেঘলা চিতা, উল্লুক, শকুন, বড় পাহাড়ি কচ্ছপসহ বেশ কিছু প্রাণী আমাদের দেশ থেকে বিলুপ্ত হওয়ার মুখে রয়েছে। এই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীগুলোকে রক্ষা করতে হলে এই মুহূর্তে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন?

ড. এম এ আজিজ: প্রথমত, এসব প্রাণীর বাসস্থান রক্ষায় আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। কারও ঘর না থাকলে, বসার বা শোয়ার জায়গা না থাকলে আমরা তাদের উদ্বাস্তু বলি। কোনো কারণে মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে গেলে সে তখন অন্য জায়গায় আশ্রয় খোঁজে। অর্থাৎ বাসস্থান না থাকলে মানুষের অস্তিত্ব যেমন হুমকির মুখে পড়ে তেমনি বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রেও একই রকম। যেসব প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে বা বিলুপ্ত হওয়ার পথে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে হয়তো বাসস্থান সংকুচিত হয়েছে, না হয় বাসস্থানে তার খাবার বা প্রজননের সুবিধা বিঘ্নিত হচ্ছে।

যেমন আমরা শকুনের কথা বলতে পারি। শকুন অনেক উঁচু গাছে থাকতে পছন্দ করে; কিন্তু আমাদের দেশে এ ধরনের উঁচু গাছ প্রায় নিশ্চিহ্ন। বন্যপ্রাণীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে আমাদের হাতিগুলো। অধিকাংশ হাতির বাসস্থান নষ্ট হয়েছে, এরা এখন উদ্বাস্তু। আমরা হাতির বন থেকে গাছ কেটে আনি, তাদের খাবারগুলো নিয়ে চলে আসি, তাহলে হাতি বাঁচবে কীভাবে! হাতি যখন জঙ্গলে খাবার পাচ্ছে না তখন স্বাভাবিকভাবেই তারা খাবারের খোঁজে লোকালয়ে বের হয়ে আসে। মানুষের বাড়িতে এসে হানা দেয়, ধানক্ষেতে হানা দেয়। আর আমরা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে, সেই বেড়া বিদ্যুতায়িত করছি, যার সংস্পর্শে হাতি মারা যাচ্ছে।

সুতরাং যেই প্রাণীগুলো বিলুপ্তির মুখে রয়েছে আমরা যদি এদের আবাসস্থল টিকিয়ে রাখতে না পারি তাহলে এ সমস্ত প্রাণী রক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাই প্রথমে আমাদের এসব প্রাণীর বাসস্থান সংরক্ষণ করতে হবে এবং তাদের খাবারের উৎসগুলো টিকিয়ে রাখতে হবে।

কালবেলা: বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বন্যপ্রাণী টিকিয়ে রাখতে সরকার এবং সাধারণ মানুষের উদ্দেশে আপনি কী পরামর্শ দেবেন?

ড. এম এ আজিজ: একাবিংশ শতাব্দী মিডিয়ার যুগ। গণমাধ্যমসহ সামাজিকমাধ্যমের কল্যাণে মানুষ এখন অনেক বেশি কানেক্টেড। তাই আমি মনে করি, বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণী টিকিয়ে রাখার গুরুত্ব ও এগুলো ধ্বংস যে আইনবিরোধী কাজ সেসব বিষয় বহুল প্রচার হওয়া উচিত। বন বিভাগের যেহেতু এ ধরনের আউটলেট নেই, তাই মিডিয়াগুলো এখানে বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে, জাতির পাশে দাঁড়াতে পারে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হলে এই মাধ্যমগুলোকে কীভাবে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, এই জায়গাতে মিডিয়াগুলোর আরও আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। মিডিয়াগুলো যেভাবে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে এবং মানুষকে পরামর্শ দিতে পারে, সেটা আর কেউ পারে না।

একইভাবে যারা সরকারে থাকেন এবং দেশ পরিচালনা করেন তাদেরও উচিত এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া। তারা যেন বুঝতে পারেন যে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এটা অবহেলা করা ঠিক নয়। আর সাধারণ মানুষকে আমি বলবো, আপনার চারপাশের প্রাণ-প্রকৃতি টিকিয়ে রাখতে আপনি আন্তরিক হন। আপনি যদি ভালো থাকতে চান তাহলে আপনার চারপাশের পরিবেশটা আপনাকেই ভালো রাখতে হবে। এদেশের প্রতিটি মানুষ যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হয়, তাহলে সামগ্রিকভাবে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আমরা দেখতে পাব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিয়েতে মাইক বাজানোর শাস্তি বেত্রাঘাত!

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কড়াইল বস্তিবাসীর পাশে যুবদল নেতা

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা স্তূপে ধস

চবিতে ভুয়া শিক্ষার্থী আটক

ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন

জনগণের ভোটের আঘাতে সব ষড়যন্ত্র ধসে পড়বে : গয়েশ্বর

স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নির্ভরতায় সশস্ত্র বাহিনী

সিরামিক এক্সপো ২০২৫ প্রারম্ভে - ডিবিএল সিরামিকস সৌজন্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ

জেলে বসেই অনার্সে ফার্স্ট, ১২ বছর পর মাস্টার্সেও প্রথম স্থান—কে এই শিবির নেতা?

ভাতিজার লাথিতে প্রাণ গেল চাচার

১০

বহিষ্কৃত ৭৪ নেতাকে ‍নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত

১১

কর্মবিরতির ঘোষণা শিক্ষকদের / প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তা

১২

মা ও দুই শিশুর মরদেহ পৃথক স্থানে দাফন, মামলা হয়নি এখনো

১৩

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে : সেলিমা রহমান

১৪

বিশ্বকাপ ড্র ফরম্যাটে বড় পরিবর্তন আনল ফিফা

১৫

গোলাম রাব্বানীর ছাত্রত্ব ও এক পদ বাতিল করল ঢাবি

১৬

সাভারে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

১৭

দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না সার

১৮

দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলে অটোর ধাক্কা, স্কুলশিক্ষক নিহত

১৯

প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা 

২০
X