মহিউদ্দিন খান মোহন
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সেকথা একথা

মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা: ইতিহাসের সাক্ষ্য-তিন

মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা: ইতিহাসের সাক্ষ্য-তিন

(পূর্ব প্রকাশের পর)

শারমীন আহমদ লিখেছেন, ‘মুজিব কাকুর তাৎক্ষণিক এই উক্তিতে আব্বু বিস্ময় ও বেদনায় বিমূঢ় হয়ে পড়েন। এদিকে বেগম মুজিব ঐ শোবার ঘরেই সুটকেসে মুজিব কাকুর জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখতে শুরু করলেন। ঢোলা পায়জামায় ফিতা ভরলেন। পাকিস্তানি সেনার হাতে মুজিব কাকুর স্বেচ্ছাবন্দি হওয়ার এইসব প্রস্তুতি দেখার পরও আব্বু হাল না ছেড়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উদাহরণ টেনে মুজিব কাকুকে বোঝাবার চেষ্টা করলেন। তিনি কিংবদন্তি সমতুল্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদাহরণ তুলে ধরলেন, যাঁরা আত্মগোপন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। কিন্তু মুজিব কাকু তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন।...‘তিনি (তাজউদ্দীন) বললেন, মুজিব ভাই, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হলেন আপনি। আপনার নেতৃত্বের ওপরই তারা সম্পূর্ণ ভরসা করে রয়েছে। মুজিব কাকু বললেন, ‘তোমরা যা করবার কর। আমি কোথাও যাব না। আব্বু বললেন, ‘আপনার অবর্তমানে দ্বিতীয় কে নেতৃত্ব দেবে এমন ঘোষণা তো আপনি দিয়ে যান নি।’ (পৃষ্ঠা: ৫৯-৬০)।

এরপর তিনি লিখেছেন, ‘পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্বু স্বাধীনতার ঘোষণা লিখে নিয়ে এসেছিলেন এবং টেপ রেকর্ডারও নিয়ে এসেছিলেন। টেপে বিবৃতি দিতে বা স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষর প্রদানে মুজিব কাকু অস্বীকৃতি জানান। কথা ছিল যে, মুজিব কাকুর স্বাক্ষরকৃত স্বাধীনতার ঘোষণা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থিত (প্রকৃতপক্ষে হবে অবস্থানরত) বিদেশি সাংবাদিকদের পৌঁছে দেওয়া হবে এবং তাঁরা আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ পরিচালনা করবেন। আব্বু বলেছিলেন, ‘মুজিব ভাই, এটা আপনাকে বলে যেতেই হবে। কারণ কালকে কী হবে যদি আমাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়, তাহলে কেউ জানবে না, কী তাদের করতে হবে। এই ঘোষণা কোনো না কোনো জায়গা থেকে কপি করে আমরা জানাব। যদি বেতার মারফত কিছু করা যায়, তাহলে সেটাই করা হবে।’ মুজিব কাকু তখন উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের জন্য বিচার করতে পারবে।’ (পৃষ্ঠা: ৬০)।

তারপরও শেষ চেষ্টা করেছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। কিন্তু শেখ মুজিব নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় অনেকটা ক্ষোভ নিয়েই সেখান থেকে বেরিয়ে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে নিয়ে তিনি আত্মগোপন করেন এবং একপর্যায়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যান।

এটা প্রমাণিত সত্য যে, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি বা দিতে পারেননি। তবে তাকে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষক বানানোর জন্য পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের গল্প বানানো হয়েছে। তার একটি এম এ ওয়াজেদ মিয়ার বইতে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রাতে ‘ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে শেখ মুজিবের বাণী প্রচার করা হয়েছিল’ উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন—“পরবর্তীকালে জেনেছি যে, বঙ্গবন্ধুর বার্তাটি ছিল টেপকৃত। ঢাকার বলধা গার্ডেন থেকে ঐ টেপকৃত বার্তাটি সম্প্রচারের পর ইপিআরের ঐ বীর সদস্যটি বঙ্গবন্ধুর বাসায় ফোনে যোগাযোগ করে পরবর্তী নির্দেশ জানতে চান। তখন বঙ্গবন্ধু গোলাম মোর্শেদের মাধ্যমে ইপিআর-এর ঐ সদস্যটিকে সম্প্রচার যন্ত্রটি বলধা গার্ডেনের পুকুরে ফেলে দিয়ে তৎক্ষণাৎ উক্ত স্থান পরিত্যাগ করতে নির্দেশ দেন।” এম এ ওয়াজেদ মিয়ার বর্ণনায় অসংগতি রয়েছে। প্রথমত. সব ঘটনাই তিনি ‘পরবর্তীকালে’ শুনেছেন, কোনোটিরই প্রত্যক্ষ সাক্ষী নন। দ্বিতীয়ত. শেখ মুজিব যদি স্বাধীনতার ঘোষণা টেপ করেই থাকেন, তাহলে সন্ধ্যারাতে তাজউদ্দীন আহমদ যখন সেটা করতে বলেছিলেন, তখন করলেন না কেন? তা ছাড়া অত রাতে সে ঘোষণা টেপ করে ওই কথিত ইপিআর সদস্যের কাছে পৌঁছাল কে? এ কাজে শেখ মুজিবের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগী হওয়ার কথা তাজউদ্দীন আহমদ অথবা সিরাজুল আলম খানের। তা না করে অজ্ঞাতপরিচয় একজন ইপিআর সদস্যকে তিনি এতটা বিশ্বাস করলেন কীভাবে? তৃতীয়ত. সেই কথিত ইপিআর সদস্য বার্তাটি সম্প্রচারের পর বলধা গার্ডেন থেকে শেখ মুজিবের বাসায় টেলিফোন করেছিলেন কীভাবে? জানামতে, সে সময় বলধা গার্ডেনে কোনো টেলিফোন ছিল না। ঢাকার টেলিফোন নেটওয়ার্কও পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ শুরুর আগেই কেটে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুর বাসার লাইনও। তাহলে ওই ইপিআর সদস্য কীভাবে সে বাসায় যোগাযোগ করেছিলেন? তা ছাড়া এমন একটি সাহসী কাজের জন্য স্বাধীনতার পর ওই ইপিআর সদস্যের পুরস্কৃত হওয়ার কথা। কিন্তু পুরস্কার তো দূরের কথা, তার নাম-পরিচয় আজ অবধি কারও জানা হয়নি।

মুক্তিযদ্ধের ২ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম (পরে মেজর ও বীরউত্তম) অজ্ঞাত কোনো কারণে জিয়াউর রহমানের ওপর নাখোশ ছিলেন। এটা সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও রেডিওতে স্বাধীনতা ঘোষণা দিতে ব্যর্থতাজনিত কারণে কি না, তা অবশ্য নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে তিনি তার ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ বইয়ে ঐতিহাসিক বাস্তবতার কারণে জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার কথা উল্লেখ করলেও কখনো বলেছেন, ‘স্বল্প শক্তির’ ট্রান্সমিটারে প্রচারিত ওই ঘোষণা তেমন কেউ শুনতে পাননি (পৃষ্ঠা-১২৪), আবার বলেছেন যেন তার নির্দেশেই আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। ওই গ্রন্থের ১২৩ পৃষ্ঠায় মেজর রফিক লিখেছেন, ‘২৬ মার্চ সকালে ড. জাফর, জনাব কায়সার এবং আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন আমার সৈন্যদের জন্য রেলওয়ে হিলে চা এবং রুটি নিয়ে এলেন। অপরিচিত যে আগন্তুক আমাকে কক্সবাজার যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ড. জাফরের কাছে সে আগন্তুক সম্পর্কে খোঁজ নিলাম এবং তাকে বোঝালাম যে, ঐ মুহূর্তে চট্টগ্রাম ছেড়ে কক্সবাজার যাওয়া আমাদের পক্ষে বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমার ভাষণ রেডিওতে প্রচারের জন্য টেপ রেকর্ডার নিয়ে আসার কথা বলে ফিরে না আসায় সেই অপরিচিত ভদ্রলোকের সম্পর্কে আমার সন্দেহ আরও বদ্ধমূল হয়। টেলিফোনে আমি জনাব হান্নান, জহুর আহমদ চৌধুরী এবং সিদ্দিকীকে অনুরোধ করলাম চট্টগ্রাম শহরে আমরা যে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি এ বিষয়টা জনগণকে জানানোর জন্য তাঁরা যেন রেডিওতে একটা ঘোষণার বন্দোবস্ত করেন। সেই অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নেতারা একটি খসড়া তৈরি করেন এবং তা সংশোধন করে দিলেন ড. জাফর।... ২৬ মার্চ আনুমানিক ২:৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম শহরের কয়েক মাইল বাইরে কালুরঘাট রোডস্থ চট্টগ্রাম রেডিও ‘ট্রান্সমিশান সেন্টার’ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী জনাব এম এ হান্নান এই ঘোষণাবাণীটি পাঠ করেন।’

এরপর মেজর রফিক লিখেছেন, ‘ওদিকে ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম বিধায় আমি শহরের বাইরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যেতে পারছিলাম না। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে তখন আমি অনুরোধ করি তাঁরা যেন কালুরঘাট ব্রিজ এলাকা থেকে যে কোন একজন সিনিয়র বাঙালি আর্মি অফিসারকে দিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে একটা বিবৃতি পাঠ করান যে, সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার, জেসিও ও সৈন্যরা জনগণের সাথে মিলে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। সেদিন অপরাহ্ণেই তাঁরা কালুরঘাট ব্রিজের পূর্বপ্রান্তে গিয়ে দেখেন মেজর জিয়া তখনও সেখানে আছেন। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের অনুরোধে বিকালবেলা মেজর জিয়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে আসেন এবং সেদিন সন্ধ্যায় সেখান থেকে বক্তৃতা দেন।’

যখন কেউ স্মৃতিকথা লেখেন, তখন তাতে নিজেকে প্রাধান্য দেওয়ার একটি চেষ্টা থাকে। মেজর রফিকের বর্ণনায় আমরা সে প্রচেষ্টা লক্ষ করি। লক্ষ করলে দেখা যাবে, মেজর রফিক বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মেজর জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণাকে একবার বলেছেন ‘বিবৃতি পাঠ’, আবার বলেছেন ‘বক্তব্য প্রদান’। কিন্তু ওটা যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা ছিল, এটা যেন তিনি স্বীকার করতে চাননি। কিন্তু ইতিহাস বলে, জিয়া সেদিন কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি পাঠ করেননি। বরং বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাই দিয়েছিলেন।

আরেকটি বিষয় হলো, মেজর রফিকের কথা শুনেই আওয়ামী লীগ নেতারা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গিয়ে জিয়াকে দিয়ে পরের ঘোষণাটি পাঠ করান, এমন তথ্য আর কোথাও পাওয়া যায় না। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের সংগঠক বেলাল মোহাম্মদ কিংবা আবুল কাশেম সন্দীপ ওইদিনের ঘটনা তাদের নিজ নিজ স্মৃতিকথায় বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা কেউই বলেননি যে, মেজর রফিকই আওয়ামী লীগ নেতাদের কালুরঘাটে পাঠিয়েছিলেন। বরং বেলাল মোহাম্মদ তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন, তিনি নিজে পটিয়ায় গিয়ে মেজর জিয়াকে এনে বেতারে ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। মেজর রফিক লিখেছেন, তিনি ক্যান্টনমেন্ট (চট্টগ্রাম) আক্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন বিধায় শহর ছেড়ে কালুরঘাটে যেতে পারেননি। বিষয়টি হাস্যকর। আধুনিক মারণাস্ত্র-সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে ‘থ্রি নট থ্রি’ রাইফেলধারী কয়েকশ ইপিআর সদস্য নিয়ে আক্রমণ করার কথিত পরিকল্পনা উদ্ভট এবং আত্মঘাতী চিন্তা ছাড়া আর কিছু হতে পারে কি?

বস্তুত ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথমে নিজ নামে, পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মেজর জিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা ঐতিহাসিক সত্য। এ ঘোষণা দ্বারাই তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য স্থান লাভ করেছেন। এখন হয়তো এ ব্যাপারে নানাজন নানা তথ্য হাজির করে সেটাকে গৌণ করার অপপ্রয়াস চালাতে পারেন, তবে একাত্তর সালে যাদের বয়স ন্যূনতম বারো-তেরো বা তার ওপরে ছিল, তাদের কাছে নতুন করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সত্যকে বিকৃত করে বা পাশ কাটিয়ে কোনো জাতির প্রকৃত ইতিহাস নির্মাণ সম্ভব নয়। আজ আমরা যে স্বাধীনতা ভোগ করছি, তা একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক সংগ্রাম ও সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত। এই অর্জনের সুদীর্ঘ সংগ্রামে অবদান রেখেছেন বহু প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তি। তারা সবাই স্মরণীয় ও শ্রদ্ধার পাত্র। তাদের একজনের অবদানকেও আমরা অস্বীকার করলে আমরা পরিণত হব একটি অকৃতজ্ঞ জাতিতে। (সমাপ্ত)

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

l প্রকাশিত নিবন্ধের বক্তব্য ও দায়িত্ব লেখকদের নিজস্ব

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জামায়াত ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছুই করেনি : মির্জা ফখরুল

সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত: ইসি সানাউল্লাহ

সাকিবকে পেছনে ফেলে ইতিহাস গড়লেন তাইজুল

কারিশমার সাবেক স্বামীর সম্পত্তি নিয়ে নতুন বিতর্ক

ফের ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল বাইপাইল

ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের, জিততে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে হবে আয়ারল্যান্ডকে

জেলেনস্কিকে আলটিমেটাম দিলেন ট্রাম্প

পূর্ববিরোধে থেমে গেল জীবনের প্রাণ 

সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ জানালেন মিথিলা

সন্দেহ-অবিশ্বাসে দেশের পরিবর্তন সম্ভব নয় : রিজওয়ানা

১০

পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ : রাজউক চেয়ারম্যান

১১

অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগ দিচ্ছে স্কয়ার গ্রুপ

১২

এসএমসিতে পার্ট টাইম চাকরির সুযোগ

১৩

দেশে ফের ভূমিকম্প

১৪

৪৯১ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ

১৫

যুবদল নেতা বহিষ্কার

১৬

টেরিটরি সেলস ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিচ্ছে ট্রান্সকম

১৭

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা 

১৮

২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

১৯

প্রাক্তন স্ত্রীকে চমকে দিলেন আমির খান

২০
X