

রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক একজনের ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর পল্লবীতে কয়েকজন অস্ত্রধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনায় ৫ জন এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এতে বলা হয়, পরবর্তীতে সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নজরুল, মাসুম ও জামান নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি মো. মোক্তার হোসেনের (৪০) কাছে রয়েছে বলে জানায়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডিবির একটি দল রাজধানীর পল্লবীর একটি গ্যারেজে গিয়ে মোক্তারকে আটক করার চেষ্টা চালায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মোক্তার পালানোর চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে কৌশলে আটক করা হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে। পরে তার তথ্য অনুযায়ী পল্লবীর একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে মোক্তারকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে অসুস্থবোধ করলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কিছু ওষুধ দিয়ে তাকে ছাড়পত্র দিলে তাকে আবার ডিবি কার্যালয়ে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে খাবারের জন্য ডাকলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। পরে তাকে দ্রুত আবার ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মোক্তার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন