মহিউদ্দিন খান মোহন
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
এ কথা সে কথা

রাজনীতিতে সংঘাতের পদধ্বনি

রাজনীতিতে সংঘাতের পদধ্বনি

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে বাগযুদ্ধ থেকে দৈহিক শক্তি প্রয়োগে লিপ্ত হয়ে একে অন্যকে ঘায়েল করার চেষ্টারত, তাতে অচিরেই দেশের রাজনীতি সহিংস হয়ে উঠতে পারে। লক্ষণীয় হলো, গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশী দল বিএনপি সহযোদ্ধা কয়েকটি দলের তীব্র আক্রমণের শিকার হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন প্রকাশ্যে বিএনপিকে বাক্যবাণে ধরাশায়ী করার চেষ্টার কসুর করছে না। এই দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র এবং জোট ও ভোটসঙ্গী হিসেবে প্রায় দুই দশক তাদের সখ্য বজায় ছিল। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল জামায়াত। সে সখ্যের অবসান ঘটে ২০১৯ সালে। তখন দলটি বিএনপি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাদের সুনজর কাড়তে চেয়েছিল, তা স্পষ্ট না হলেও রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহলের ধারণা, বিএনপিকে পরিত্যাগ করে তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কৃপাদৃষ্টি লাভের চেষ্টা করেছিল। স্মরণযোগ্য, তারও আগে আদালতের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করলে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীরা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। নজিরবিহীন কারচুপি ও রাতের অন্ধকারে ব্যালটবাক্স ভর্তির সেই নির্বাচনে বিএনপি ছয়টি আসনে জিতলেও জামায়াতের কোনো প্রার্থী জিততে পারেননি। এরপরই জামায়াত বিএনপির সখ্যে ভাটা পড়ে। ধীরে ধীরে দূরে সরে যায় জামায়াত। একপর্যায়ে দলটি ২০-দলীয় জোট ত্যাগ করে নিবন্ধনহীন অবস্থায় অনেকটা অনাহূত অতিথির মতো রাজনীতির মাঠে অবস্থান করতে থাকে। কখনো পৃথক কর্মসূচি, কখনো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ কর্মসূচি পালন করে তারা অস্তিত্বের জানান দিতে থাকে।

এরপর ২০২৪-এর জুলাই আন্দোলনের সময় দলটির নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে রাজপথে শক্ত অবস্থান নেন। কেউ কেউ মনে করেন, সেই আন্দোলনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একপর্যায়ে সেই আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগ সরকার ৩১ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ততক্ষণে লীগ সরকারের দম ফুরিয়ে এসেছে। এর চার দিন পরেই শেখ হাসিনার দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে লীগ সরকারের পতন ঘটে। সরকার পতনের দিন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের যে বৈঠক ডাকেন, সেখানে জামায়াতে ইসলামী (তখনো নিষিদ্ধ) প্রাধান্য পায়। এরপর থেকেই জামায়াতে ইসলামী নিজেদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি ভাবতে শুরু করে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ‘কি পয়েন্টে’ নিজেদের লোক বসাতে তৎপর হয়। মূলত তখন থেকেই বিএনপি প্রশ্নে জামায়াতের মনোভাব এবং আচরণে অর্থবহ পরিবর্তন লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। বিএনপিকে কোণঠাসা করে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় রত হয় দলটি। সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের মতপার্থক্য উত্তর-দক্ষিণ মেরুসম হয়ে ওঠে। বর্তমানেও সে সম্পর্ক অবনতিশীল রয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি আদি ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ড কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা তারেক রহমানকে অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করে স্লোগান দেন। এ নিয়ে দল দুটির মধ্যে এখন কার্যত সাপে-নেউলে সম্পর্ক বিরাজ করছে।

গত জুন মাসে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক ও নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে তাদের মধ্যে সৃষ্ট সমঝোতার খবর খুশি করতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলনকে। তারা তাদের ক্ষোভ অপ্রকাশ্য রাখেনি। প্রধান উপদেষ্টা কেন ‘একটি মাত্র দলের সঙ্গে’ বৈঠক করে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সমঝোতা করলেন, এজন্য তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারা অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপির প্রতি ঝুঁকে পড়ার অভিযোগও করেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বলছে, সংগঠন তিনটির এ প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিক নয়। কেননা, তারা সবাই নিজস্ব শক্তিতে সরকার গঠনের ক্ষমতা রাখে না। তারা চায় এমন একটি ‘বন্দোবস্ত’, যাতে বিএনপির পাশাপাশি তারাও ক্ষমতার মৌচাকের মধুর কিছুটা হলেও স্বাদ আস্বাদন করতে পারে। তাদের আশঙ্কা, তারেক-ইউনূস সমঝোতার সূত্রে যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, তাহলে বিএনপির সরকার গঠনের বিষয়টি ঠেকানোর কোনো উপায় থাকবে না। তাই তারা চেষ্টা করছে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন পেছানোর জন্য। আর সে ক্ষেত্রে বিএনপির যুবসংগঠন যুবদলের কর্মীদের দ্বারা ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড তাদের হাতে একটি মোক্ষম হাতিয়ার তুলে দেয়; যেটি দিয়ে তারা দলটিকে ঘায়েল করতে চেষ্টা করছে। তারা নানা মাধ্যমে প্রচার-প্রোপাগান্ডা চালিয়ে জনসমক্ষে তারেক রহমান ও বিএনপির ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। তাদের স্লোগান ও বক্তৃতা থেকে যে কারও মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয়, যেন ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার জন্য তারেক রহমান স্বয়ং নির্দেশ দিয়েছেন।

এমনি সময়ে দেশে ঘটে গেছে আরেকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই সেখানে ঘটে লঙ্কাকাণ্ড। মঞ্চ ভাঙচুর, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, গুলি-বোমায় গোপালগঞ্জ শহর পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে চারজন এবং পরে চিকিৎসারত অবস্থায় ঢাকায় একজন মৃত্যুবরণ করেন। বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে এনসিপি সংগঠকদের উদ্ধার করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের ভীষণ বেগ পেতে হয়। অবশেষে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া গাড়িতে লুকিয়ে তারা গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন। এ ঘটনার পর সেখানে কারফিউ জারি করা হয় এবং শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তার অভিযান এখনো চলছে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অবশ্য পরে বলেছেন, তারা অচিরেই আবার গোপালগঞ্জ যাবেন এবং সেখানকার প্রতিটি গ্রামে ‘জুলাই বিপ্লবে’র পতাকা ওড়াবেন। তার এই ‘দৃঢ় প্রত্যয়’ বাস্তবে রূপ নেবে কি না, তা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে রাজনীতি-অভিজ্ঞ মহলের মতে, ওই ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত না নিলেই এনসিপি ভালো করবে। কেননা, এখনো বাংলাদেশের কোনো জেলায় অন্য রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি দাঁড়ানোর মতো সাংগঠনিক শক্তি এনসিপি অর্জন করতে পারেনি। সেখানে যাকে উৎখাত করে এনসিপির জন্ম, সেই শেখ হাসিনার জন্মস্থানে গিয়ে নিকট ভবিষ্যতে তারা কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারবেন, তা নিয়ে প্রায় সবারই ঘোরতর সন্দেহ আছে। এদিকে গোপালগঞ্জ ঘটনার জন্য এনসিপির এক সংগঠক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতাকে দায়ী করে বলেছেন, ‘যে সরকার একটি জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারে না, তারা কী করে সারা দেশের একটি নির্বাচন সম্পন্ন করবে?’ তার এ মন্তব্যকে কেউ কেউ নির্বাচন পেছানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। তা ছাড়া অনেকেই বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেদিন তৎপর হয়েছিল বলেই এনসিপি সংগঠকরা সাঁজোয়া গাড়িতে করে অক্ষত দেহে গোপালগঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন।

সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের ‘জাতীয় মহাসমাবেশে’ বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে সমাবেশে বক্তৃতার শুরুতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। এটা পারস্পরিক সৌহার্দ্যের বিষয়। তবে এই সৌজন্য বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তিক্ত সম্পর্কের ইতি ঘটাতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখবে কি না বলা মুশকিল। কেননা, মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকেও বিএনপিকে কটাক্ষ করে জামায়াত নেতারা বক্তৃতা করেছেন। একই দিনে কক্সবাজারের চকরিয়ায় এনসিপির সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে ‘নব্য গডফাদার’ বলে কটূক্তি করা হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সভামঞ্চ ভাঙচুর ও সমাবেশ পণ্ড করে দেন। পরিস্থিতি প্রতিকূলে দেখে এনসিপি নেতারা বাকি পথসভা না করেই চকরিয়া ত্যাগ করেন। জামায়াত-এনসিপি বিএনপির বিরুদ্ধে এ সংঘবদ্ধ আক্রমণ রাজনীতিতে সংঘাতের পূর্বাভাস বলে মনে করছেন অভিজ্ঞজনরা।

চলমান ঘটনাবলি থেকে এটা স্পষ্ট, রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগের উৎখাতের পর সামনের পথটি যতটা সহজ ও মসৃণ হবে বলে বিএনপি ভেবেছিল ততটা হয়নি। সে পথে নানারকম প্রতিবন্ধকতার কাঁটা গজিয়ে উঠছে। স্মরণ থাকার কথা, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর যখন বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় যাওয়ার উচ্ছ্বাসে বিভোর, তখন তারেক রহমান বলেছিলেন, ‘আগামী নির্বাচন খুব কঠিন হবে।’ বলা বাহুল্য, তিনি রাজনীতির কঠিন বাস্তবতা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। কেননা, যতই দিন গড়াচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার পথটি ততই খানাখন্দে ভরে উঠছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকই সন্দিহান হয়ে পড়েছেন, তারেক রহমান-ড. ইউনূস বৈঠকে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কি না। রাজনৈতিক সমঝোতা যেহেতু লিখিত কোনো দলিল নয়, তাই যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো অজুহাতে তার নড়চড় হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। গত ১৭ জুলাই প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যকে অনেকে সে ইঙ্গিত মনে করছেন। ওইদিন ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ড. ইউনূস সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান গঠনের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা, পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন, নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনসহ কয়েকটি বিষয়কে মৌলিক সংস্কার হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এসব সংস্কার এড়ানোর উপায় নেই। আর সংস্কারের সনদ হলেই দ্রুত নির্বাচন করতে হবে। তার মানে ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিল নয়, নির্বাচনের প্রধান পূর্বশর্ত হলো ‘মৌলিক সংস্কার’ ও ‘সনদ’। আর সে সনদ যে এনসিপির মনমতো হতে হবে, তা বলাই বাহুল্য। ফলে নির্বাচন নিয়ে যে আলোর আভা দেখা দিয়েছিল, তা অনেকটাই এখন কুয়াশাচ্ছন্ন। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো যদি পরস্পরের প্রতি সহনশীল না হয়, তাহলে দেশের রাজনীতি পুনরায় সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে।

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মঞ্চে আপত্তিকর স্পর্শ, ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার ঘোষণা অভিনেত্রীর

লিটনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সহজ জয় বাংলাদেশের

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ট্রাম্পের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে, কী ঘটেছে?

নির্বাচনে সমতল জনগোষ্ঠীর সমর্থন চায় বিএনপি : তারেক রহমান

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাহমুদ উল্লাহর ইন্তেকাল

বড় পর্দায় আসছেন প্রভা

‘শক্তি থাকলে আসুক, হাত-পা ভেঙে দেব’, হুঁশিয়ারি জাপা নেতার

বাংলাদেশিরা ৫ কর্মদিবসেই পাবেন যুক্তরাজ্যের ভিসা, তবে...

নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবি পার্টির বিক্ষোভ

১০

যে কারণে আগামী মৌসুমে রিয়ালকে আতিথেয়তা দিতে পারবে না লিভারপুল

১১

দত্তক নিয়ে ৩ সন্তানের মা সানি কেন নিজে গর্ভধারণ করেননি

১২

১৭তম সন্তানের জন্ম দিলেন ৫৫ বছরের নারী!

১৩

দেশের দুঃসময়ে জিয়া পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য : আমান

১৪

চীনে মোদিকে লাল গালিচা সংবর্ধনা, কী ইঙ্গিত করছে?

১৫

গণনা শেষ, পাগলা মসজিদের সিন্দুকে মিলল রেকর্ড টাকা

১৬

সাপের মতো সুযোগ সন্ধানী শেখ হাসিনা ও তার দলবল : অধ্যাপক নার্গিস

১৭

‘বাচ্চা না হলে সংসার ছেড়ে চলে যেতে হবে’

১৮

তিন চমক নিয়ে ইতালির বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল ঘোষণা

১৯

২৬ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের আমরণ অনশনের আলটিমেটাম

২০
X