

দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সাবিনা আক্তার তুহিন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ছাত্রী। আসন্ন তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষায় পড়াশোনার জন্য কারাগারে বই চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। আবেদন মঞ্জুর করে বই সরবরাহের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে তুহিনের পক্ষে তার আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন কারাগারে বই পাঠানোর আবেদন করেন।
এদিন শুনানিতে তিনি বলেন, সাবিনা আক্তার তুহিন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ছাত্রী। তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা সামনে। কারাগারে বসে যেন পড়াশোনা করতে পারেন, তা সরবরাহ করার প্রার্থনা করছি। শুনানি নিয়ে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মোরশেদ হোসেন শাহীন। তিনি বলেন, তিনি একজন আইনের শিক্ষার্থী, এর আগে তাকে কারাগারে বই সরবরাহের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আজ আদালত অনুমতি দিয়েছেন।’
এর আগে গত ২৩ জুন রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জের নিজ বাড়ি থেকে সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত তাকে পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী। এর মধ্যে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, রাষ্ট্রদ্রোহ, সন্ত্রাসবিরোধের আইনের মামলা রয়েছে।
সাবিনা আক্তার তুহিন সংরক্ষিত নারী আসন-৩৫ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে ২০১৪ সালের মার্চে শপথ নেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি যুব মহিলা লীগের এই নেত্রী। পরে সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার আশা পূরণ না হওয়ায় ‘অভিমানে’ রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন তুহিন। পরে ঢাকা-১৪ আসনে যুবলীগ নেতা মাইনুল হোসেন খান নিখিলের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তিনি।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন সাবিনা আক্তার তুহিন। চলতি বছরের ২৩ জুন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্তব্য করুন