রাজনীতির মাঠে বেশ জোরেশোরেই ডুগডুগি বেজে চলেছে। আর এ ডুগডুগির তালে তালে নাচানাচিও জমে উঠেছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, ডুগডুগিটা বাজাচ্ছে কে? জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতিতে নানামুখী তৎপরতা চলছে। জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ যেন শেষ হওয়ার নয়। মার্চ মাসে শুরু হওয়া এ সংলাপ সাত মাসেও চূড়ান্ত পরিণতি পায়নি। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভাজন এখন তীব্র হয়ে উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের আগেই সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে নেমেছে। উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষ, পিআর, গণভোট, গণপরিষদ এক গোলকধাঁধার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এ নিয়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রফেসর ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার ‘নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে, কালক্ষেপণ করছে’ জুন মাসের আগে এমন অভিযোগ ছিল। এখন সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার দৃঢ় সংকল্পের কথা বারবার জানান দিচ্ছে। এমনকি ‘কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না’ বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ঘোষণা দিয়েছেন। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এরই মধ্যে কয়েকবার ঘোষণা দিয়েছেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন।’ আবার কখনো বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জাতিকে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’ তিনি এমনও বলেছেন যে, উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে। তবে প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলকে বলেছেন, ‘কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে।’ এই ‘কিছু শক্তি’ কারা, তা অবশ্য তিনি খোলাসা করেননি। নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টায় নিয়োজিত শক্তি কি রাজনৈতিক দল, নাকি এ চেষ্টায় বিদেশি শক্তি সক্রিয়—এ প্রশ্ন থেকেই যায়।
শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের পতনের এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও গণতন্ত্রের দাবিতে একসময় আন্দোলনে থাকা দলগুলো সংবিধান সংশোধনসহ নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে এখনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। অথচ নির্বাচনের পাঁচ মাসও সময় নেই। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী মঞ্চ তৈরি করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছে, ইসিতে পৌঁছাচ্ছে গালা, সিলসহ বিভিন্ন নির্বাচনী সরঞ্জাম। এ ধরনের কেনাকাটার কাজ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে ইসি জানিয়েছে। ইসির প্রস্তুতিকে অনেকেই ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার মতো মনে করছেন। নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে—পিআর নাকি বিদ্যমান পদ্ধতিতে, শুধু ৩০০ আসনের সংসদ নির্বাচন হবে নাকি উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষের বিধান আসবে, গণভোট-গণপরিষদের বিষয় থাকবে কি না—এর কোনোটারই সুরাহা হয়নি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। ঐকমত্য কমিশন শেষ পর্যন্ত অনৈক্য কমিশনে পরিণত হয় কি না—এ প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কবি ফররুখ আহমদের কবিতার পঙক্তি মনে করে বলতে ইচ্ছে করে—‘সংলাপ শেষ হওয়ার আর কত দেরী পাঞ্জেরী।’
সংলাপে নেতৃত্ব দেওয়া ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এরই মধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। সম্প্রতি এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বলেছেন, আসছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে দেশে অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তাও হবে বিঘ্নিত। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক রীয়াজ বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে তিনটি পথ রয়েছে। তার মতে, প্রথম পথ রাজনৈতিক সমঝোতা, দ্বিতীয় পথ সরকার দৃঢ় অবস্থান নেবে, তৃতীয় পথ কিছু না করে বসে থেকে দেখা, কী হয়। প্রথম আলো আয়োজিত ওই গোলটেবিল বৈঠকে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, ‘রাজনীতির নিয়ম হলো যতটুকু সম্ভব, ততটুকু করতে হবে। বাকিটার ক্ষেত্রে আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে। এ বাস্তবতা থাকা দরকার।’ ড. দেবপ্রিয়র মতে, সংস্কারের বিষয়টির নিষ্পত্তি না হলে চারটি অর্থনৈতিক বিষয়ে এর প্রতিঘাত আসবে। সেগুলো হলো—দ্রব্যমূল্য, শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ।
রাজনীতি ও নির্বাচন ঘিরে যেমন অনিশ্চয়তার মেঘ জমাট বাঁধছে, তেমনি দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিও মোটেই ভালো না। হানাহানি, মারামারি, খুনোখুনি লেগেই আছে। মব-সন্ত্রাস কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। সর্বশেষ ১৮ সেপ্টেম্বর মাইকে ঘোষণা দিয়ে কুমিল্লায় চার মাজারে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দেশের মানুষ একটি দিনও স্বস্তির সঙ্গে পার করতে পারছে না। জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা প্রবল হয়ে উঠেছে। এমনকি বাংলাদেশ ভ্রমণে উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করেছে কানাডা। নাগরিকদের উদ্দেশে কানাডা সরকার বলেছে, বাংলাদেশে যে কোনো মুহূর্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে, যার আগাম সংকেত নাও পাওয়া যেতে পারে। কানাডার এ সতর্কতা জারি বাংলাদেশের জন্য মোটেও ভালো বার্তা বহন করে না। অন্যদিকে দেশের দারিদ্র্যের হার বেড়েই চলেছে। দিন দিন বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান সম্প্রতি এক নিবন্ধে অভিমত প্রকাশ করেন, ‘দারিদ্র্য নিরসনে আমরা উল্টোপথে হাঁটছি, কারণ অর্থনীতির গতি কমে গেছে। বেকারত্ব এখন একটি বড় সমস্যা। কর্মসংস্থানে মহাদুর্যোগের পর্যায়ে আমরা আছি।’ হোসেন জিল্লুর মন্তব্য করেছেন, এক বছর ধরে সরকার ও নাগরিক সমাজের একটি বড় অংশ পুরো সময় ব্যয় করেছে সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে আলোচনার পেছনে। সরকারকে আমরা প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কার্যকর শাসনের ক্ষেত্রে এক ধরনের ‘অনুপস্থিত সরকার সিনড্রোম’ (লক্ষণ) দেখা যাচ্ছে। ফলে সহিংসতা ও সহিংষ্ণুতার নানা ধরনের ঘটনা ঘটছে এবং তা বিস্তার লাভ করছে।
কয়েকটি সফর নিয়ে চলছে আলোচনা ও নানা গুঞ্জন। প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফরসঙ্গী হয়েছেন তিন দলের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তারা হলেন—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তবে প্রতিনিধিদলে বিএনপির আরও একজন নেতা রয়েছেন। অবশ্য শেষ মুহূর্তে জামায়াত ও এনসিপির আরও দুজন প্রতিনিধিও যুক্ত হয়েছেন সফরটিতে। রাজনীতির মাঠের তিন শক্তির নেতাদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্কে নির্বাচন প্রশ্নে সমঝোতায় পৌঁছানোর বিশেষ কোনো চেষ্টা চালাবেন কি না, তা দেখার বিষয়। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি লাগাতার সংলাপ করেও জুলাই সনদ নিয়ে সৃষ্ট জট খুলতে পারেননি। কমিশনের সভাপতি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার মধ্যস্থতায় নিউইয়র্কে তিন দলের সঙ্গে বিশেষ সংলাপ হয় কি না, সেদিকে অনেকের দৃষ্টি থাকবে। কারণ, প্রফেসর ইউনূস সংবিধান সংস্কারে সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোট নয়, রাজনৈতিক সমঝোতাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ১৪ সেপ্টেম্বর ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এমন বার্তাই দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগপর্যন্ত সময় দেওয়ার কথাও বলেছেন। কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজও ঠিক এ সময় দশ দিনের জন্য আমেরিকা যাওয়ায় নিউইয়র্কে সমঝোতার সূত্র খোঁজা নিয়ে জল্পনা জোরালো হচ্ছে। যেমনটি হয়েছিল নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে জুন মাসে লন্ডনে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকে। এ বৈঠকের মধ্য দিয়েই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণা আসে। যদিও জামায়াতসহ কয়েকটি দল ‘বিদেশের মাটিতে বসে শুধু একটি দলের সঙ্গে আলোচনা করে’ নির্বাচনের সময় নির্ধারণের বিষয়ে সমালোচনায় মুখর হয়। যদিও পরে এসব দল ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের সময় মেনে নেয় ‘যদি, তবে’ শর্ত জুড়ে দিয়ে। আরেকটি সফর নিয়েও তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। তালেবান সরকারের আমন্ত্রণে আফগানিস্তান গেছেন হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক দলের সাত নেতা। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের একটি বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। লন্ডনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলাচেষ্টার পর নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন, উপদেষ্টা পরিষদসহ অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরেও মাহফুজ আলমকে অপদস্থ ও হত্যার মৌন সম্মতি তৈরি করা হয়েছে। নাহিদের অভিযোগ, সরকার ও উপদেষ্টারা মাহফুজদের যথেচ্ছ ব্যবহার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এনসিপি আহ্বায়ক ও সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় কোনোবারই অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয় নাই। কোনো শক্ত বার্তা দেয় নাই। কোনো উপদেষ্টা বা প্রেস সচিব একটা মন্তব্য কখনো করেন নাই। আমরা এগুলো মনে রাখছি। রাজনৈতিকভাবে এর জবাব দেয়া হবে।’
জুলাই সনদ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যখন বিভাজন বেড়েই চলছে এবং জামায়াতসহ কয়েকটি দল রাজপথে কর্মসূচি পালন করছে, তখন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের সংখ্যা বাড়ছে। রাজধানীতে মাঝেমধ্যেই এখন আওয়ামী লীগ মিছিল করছে এবং তাতে উপস্থিতির সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। পুলিশ মিছিল থেকে কখনো কয়েকজনকে আটক করলেও মিছিল বন্ধ করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি লন্ডনে বড় ধরনের মিছিল করেছেন শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সংগত কারণে মনে করা যেতেই পারে, নির্বাচন পদ্ধতি ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আন্দোলনের রাজনৈতিক শক্তিগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থান এবং নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা পতিত স্বৈরাচারকে নানামুখী তৎপরতা বাড়াতে উৎসাহিত করছে। নির্বাচন ভণ্ডুল করা, নিদেনপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ফাঁদ পাততে পারে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা এবং গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত দলটি। বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মূল দাবি ছিল, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এই একটি দাবিকে এখন অসংখ্য এজেন্ডায় পরিণত করা হয়েছে। নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ করতে গিয়ে নির্বাচনকেই অনিশ্চিত করে তোলা হচ্ছে। অথচ পরপর তিনটি একতরফা ও কলঙ্কিত নির্বাচনের পরও জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ঐকমত্য কমিশনে এমন অনেক বিষয়কে এখন মূল এজেন্ডা হিসেবে আনা হয়েছে, যা জটিলতা বাড়িয়েছে, জট পাকিয়েছে। যে জট এখন খোলা যাচ্ছে না। প্রশ্ন উঠেছে, ঐকমত্য কমিশন বিশেষ কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে কি না? যেখানে ৫৪ বছরেও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়নি, সেখানে একবারেই সবকিছুর ফয়সালা করার চেষ্টা কতটা ফলপ্রসূ হবে? জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামী দল পিআর পদ্ধতির বিষয়ে সোচ্চার। এসব দল পিআরের ফয়সালা ও গণভোটের দাবিতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। এ কর্মসূচি কোন দিকে মোড় নেয়, তা দেখার বিষয়।
সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের নির্ধারিত সময় ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ। এ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনমুখী হওয়ার কথা। কোনো কোনো দলের প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে প্রচারে নেমে পড়েছেন অনেক আগেই। জামায়াতে ইসলামী বেশ আগেভাগে ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে আছে। তবে সামগ্রিক বিবেচনায় দেশকে মোটেও নির্বাচনমুখী বলা যায় না। জুলাই সনদ ও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে দেশ ও জাতি ভয়াবহ সংকটে পড়বে। রাজনৈতিক দলগুলোও পড়বে বিপর্যয়ের মুখে।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক
মন্তব্য করুন