পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তৈরি করা হতো রোগ নির্ণয়ের ভুয়া রিপোর্ট। চলতো লোক দেখানো নমুনা সংগ্রহের কাজ। আর রিপোর্টও মিলতো স্বল্প সময়ে। স্যাম্পল সংগ্রহের কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী কিংবা তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হতো এ ভুয়া রিপোর্ট।
এমন প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুর শহরের নিউ ইসলামিয়া প্যাথলজি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুয়া বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বিকেলে শহরের নাজিরপাড়া এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি এ প্যাথলজি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই সঙ্গে পাশের পিয়ারলেস ডক্টরস পয়েন্ট এবং মেসার্স জাহাঙ্গীর খানে নামে আরও দুটি প্রতিষ্ঠানেও রোগ নির্ণয় সামগ্রীতে অনিয়ম ধরা পড়ে। ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর -এর চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানে ভয়ংকর রকমের প্রতারণার সত্যতা মিলেছে। যেখানে রোগীদের রোগ পরীক্ষার নামে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় তিন প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় নগদ মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অপরদিকে একই দিন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ফরিদগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প -এর তত্ত্বাবধানে যৌথ বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট বসিয়ে লাইসেন্স বিহীন চালক, ফিটনেস বিহীন গাড়ি, অধিক গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল চালানোর বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প হতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত যৌথ অভিযানে সর্বমোট ৬০টি যানবাহন তল্লাশি করা হয়। মোটরসাইকেল চালক এবং প্রাইভেট গাড়ির বিরুদ্ধে মোট ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও লাইসেন্স না থাকায় ৭টি গাড়ি জব্দ করা হয়। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ট্রাফিক আইনের পরিপন্থি সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম দমনসহ আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন