সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মুক্তিযুদ্ধ ১৬ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যায়নি

মুক্তিযুদ্ধ ১৬ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যায়নি

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার সবসময়ই মনে হতো আমরা যুদ্ধে জয়ী হব। গোটা যুদ্ধকে আমার কাছে মুক্তিকামী মানুষের একটি মিলিত বৈপ্লবিক গান মনে হতো। সে গানটা হচ্ছে হিংস্রতার এবং নারকীয় তৎপরতার বিরুদ্ধে মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। আমরা এখন স্বাধীন হয়েছি এ অর্থে যে, আমরা একটা স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্তু এতে আমাদের প্রকৃত রাজনৈতিক স্বাধীনতা আসেনি। আমরা এখনো সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছি। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের রাজনীতি, আমাদের সংস্কৃতি সবকিছুই সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।

কাজেই প্রকৃত অর্থে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে এটা আমরা বলতি পারি না। আর মুক্তির প্রশ্ন যদি তুলি, সেটা তো আসেইনি। তবে বিষয়টি আমাদের এভাবে দেখতে হবে যে, সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছি—এটা কেউ আমাদের করুণা করে দেয়নি। রাজনৈতিকভাবে আমরা যে স্বাধীন রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠা করেছি, তা প্রকৃত অর্থে স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারেনি। কারণ, আন্তর্জাতিক পটভূমিতে আমরা বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের অধীনে চলে গেছি। এখন তাদের অনুগ্রহ ও তাদেরই নির্দেশেই আমরা চলছি। তাদের ওখানে যে মন্দা হয়, সে মন্দা আমাদেরও আক্রমণ করে। আমাদের দেশের প্রতি তাদের যখন আগ্রহ তৈরি হয়, তখন আমাদের শাসকশ্রেণিকে তারা বশে নিয়ে আসে, আমাদের সম্পদ তারা নিয়ে যেতে চায়।

আমাদের অগ্রসর হওয়ার জন্য রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দরকার ছিল। এ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আমাদের বহুরকমের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মধ্যবিত্তের একাংশের মধ্যে চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে—তারা বিদেশে গিয়ে কাজ করছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে বেশ অগ্রসর হচ্ছে। মেয়েরা লেখাপড়া শিখছে। কিন্তু সমাজে কোনো বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসেনি। অর্থাৎ, সামাজিক মূল কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সমাজের উপরে অনেক চাকচিক্য এবং জৌলুস এসেছে, এটা ঠিক। কিন্তু ভেতরে কিছু হয়নি। সমাজ আগের চেয়ে অনেক বেশি অসুস্থ, বৈষম্যপূর্ণ এবং বিচ্ছিন্নতাকে উৎসাহিত করার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সমাজই হচ্ছে আসল, কারণ আমরা সমাজে বাস করি। সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিবর্তন করেছি। এটা করেছি মুক্তির লক্ষ্যে সমাজকে বদলানোর জন্য। মুক্তির সঙ্গে সমাজের পরিবর্তন যুক্ত। সমাজ পরিবর্তিত না হলে মানুষের মুক্তি আসবে না। আমরা চাইব এ সমাজ পরিবর্তিত হোক। এটা সবাই চাচ্ছে। কিন্তু এটার জন্য দরকার সংগঠিত আন্দোলন। সেই আন্দোলনের সঙ্গে রাজনীতি যেমন থাকবে, তেমনি এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকবে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের। সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে আমরা এতকাল উপেক্ষা করেছি। সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের গ্রামে গ্রামে গ্রন্থাগার গড়ে তুলতে হবে। নাটক, গান, আলোচনা, পত্রিকা, দেয়াল পত্রিকা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে, মানুষ সংঘবদ্ধ হবে এবং প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারবে। অর্থাৎ, মানুষকে সামাজিক করার জন্য সাংস্কৃতিক আন্দোলন প্রয়োজন। রাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে সমাজ বদলানো যাবে না। সমাজকে বদলাতে হলে রাষ্ট্রকেও বদলাতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যেখানে মানুষের সঙ্গে মানুষের বৈষম্য কমবে এবং মানুষের অধিকার ও সুযোগের সাম্য প্রতিষ্ঠিত হবে, কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটবে, স্থানীয় সরকারব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে, স্থানীয় সরকার স্বাধীনভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হবে, তারাই নিজেদের উন্নয়নে পরিকল্পনা ও অর্থ সংগ্রহ করবে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মাতৃভাষার চর্চা হবে এবং তার মধ্যে আন্তর্জাতিকতাও থাকবে। এ মাতৃভাষার চর্চা আমাদের সংকীর্ণ করবে না। এর মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিকতাকে ধারণ করব। সারা বিশ্বে যত অর্জন আছে, যত গৌরব আছে, যত কীর্তি আছে সবগুলোর অংশীদার হব। তবে বিশ্বায়ন যাকে বলে তার অধীনে আমরা চলে যাব না। কিন্তু তা আমরা এখনো করতে পারিনি।

পাকিস্তানের উত্থান এবং পতন এ দুটো একই কারণে ঘটেছে—একটা হচ্ছে বৈষম্য এবং বৈষম্যজনিত ভীতি। ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানরা নিজেদের বঞ্চিত মনে করছিল; কারণ, তারা সংখ্যালঘু ছিল। তারা ভয় পাচ্ছিল অখণ্ড ভারতে তাদের অবস্থা খারাপ হবে। কেননা কংগ্রেসকে তারা একটা হিন্দু প্রতিষ্ঠান মনে করছিল। কংগ্রেস যে জাতীয়তাবাদের কথা বলছিল সেটা হিন্দু প্রভাবিত ছিল। এ ভীতির জন্যই পৃথক নির্বাচন দাবি করা হয়েছিল। এ পৃথক নির্বাচনের মধ্যেই দ্বিজাতি তত্ত্ব এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার বীজ নিহিত ছিল। অর্থাৎ, বৈষম্য এবং ভীতি থেকেই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আবার পাকিস্তান ভাঙলও বৈষম্যের কারণে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য যারা ভোট দিয়েছিল এবং যে বাঙালি মুসলমানের ভোটেই মূল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তারা দেখল হিন্দু মধ্যবিত্ত, মহাজন এবং জমিদারের হাত থেকে অব্যাহতি পাওয়া গেছে বটে, কিন্তু এখন একটা জাতিগত ভীতি চলে এলো, সেটা হচ্ছে অবাঙালিদের আধিপত্য। এখানেও আবার বৈষম্য তৈরি হলো। পাকিস্তানের ৫৬ জন লোক বাঙালি এবং ৪৪ জন অবাঙালি। কিন্তু ওই ৪৪ জনই অর্থনীতি, রাজনীতি, সামরিক বাহিনী সর্বত্র কর্তৃত্ব করছে। এ বৈষম্য এবং এ থেকে ভীতি তৈরি হয়েছিল যে, বাঙালি বুঝি চিরকালের জন্য এখানে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে যাবে। এ ভীতিই কাজ করল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ক্ষেত্রে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর নির্বাচনের মাধ্যমে মুসলিম লীগকে প্রত্যাখ্যান, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচনের পর স্বাধীনতার পক্ষে রায়, এগুলো হয়েছে বৈষম্য এবং ভীতির কারণে।

এ বৈষম্য দূর করার জন্য সংখ্যা সাম্য নামের একটি অদ্ভুত প্রস্তাব সামনে আনা হলো। অর্থাৎ, পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে সমানসংখ্যক আসন থাকবে। এ সংখ্যা সাম্য মানে পূর্ব পাকিস্তানের ৫৬ জন পশ্চিম পাকিস্তানের ৪৪ জনের সমান। এর মাধ্যমে বৈষম্যকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু যখন আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলন শুরু হলো, তখন সর্বজনীন ভোটাধিকারের দাবি সামনে চলে এলো। এ সর্বজনীন ভোটাধিকার দেওয়ার মানেই হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তান আবার সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটাধিকার পেয়ে যাওয়া। এটা ইয়াহিয়া খান মানতে বাধ্য হয়েছিলেন। কেননা ইয়াহিয়া যখন নতুন সামরিক শাসক হলেন, তখন তার পক্ষে এটা না মেনে উপায় ছিল না। কিন্তু তারা মনে করেছিল, ৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশ করে মন্ত্রিসভা গঠন করবে। যে মন্ত্রিসভার সঙ্গে আবারও সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ থাকবে। এ ক্ষেত্রে ভুট্টোর দিকেই তাদের পক্ষপাত ছিল। কিন্তু ৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে ১৬০টি আসনের মধ্যে একটি বাদে সবই আওয়ামী লীগ পেল এবং তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ দলে পরিণত হলো—এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগই এখন মন্ত্রিসভা গঠন করবে। অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তানে যে ১৩০টি আসন ছিল, তা কয়েকটি দলের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গেল। এতে পূর্ব পাকিস্তানিরা ভয় পেল এ কারণে যে, এবার তারা পূর্ব বাংলার দ্বারা শাসিত হবে। কাজেই বৈষম্য এবং ভীতি এ দুটোই কাজ করছিল—পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সময়ে এবং পাকিস্তান ভাঙার সময়েও। এজন্য তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে এ নির্বাচনের রায় বানচাল করতে। কিন্তু তাতে তারা সফল হতে পারল না। আমরা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করলাম। কিন্তু বাংলাদেশের মধ্যেও আবার বৈষম্য রয়ে গেল। ওখানে ছিল জাতিগত বৈষম্য আর বাংলাদেশে শ্রেণিগত বৈষম্য প্রধান হয়ে দাঁড়াল। এ বৈষম্যের কারণে অল্পকিছু লোক ধনী হলো আর বেশিরভাগ লোক বঞ্চিত হলো। সাধারণ মানুষের স্বপ্ন ছিল তারা মুক্ত হবে এবং মধ্যবিত্তের স্বপ্ন ছিল তারা আরও সুযোগ-সুবিধা পাবে। এ দুটি স্বপ্ন এক হয়েছিল এবং একটি সমষ্টিগত স্বপ্নে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পরমুহূর্তেই এ স্বপ্ন আলাদা হয়ে গেল। মধ্যবিত্ত ধনী হওয়ার ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু করল। অন্যদিকে গরিব মানুষ যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, প্রাণ দিয়েছে, পঙ্গু হয়েছে—তাদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হলো না। অর্থাৎ, বৈষম্য দূর হলো না। আমরা আশা করেছিলাম, বৈষম্য দূর হবে এবং সমাজে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। এটা ব্রিটিশ আমলে আন্দোলনের সময় আশা ছিল, পাকিস্তান আন্দোলনের সময় আশা ছিল এবং বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে মুক্তি সংগ্রামের মধ্যেও এ প্রত্যাশা ছিল। একটি নতুন সমাজ গড়ে ওঠার যে স্বপ্ন ছিল, তা বাংলাদেশে গড়ে উঠল না। পুরোনো সমাজই রইল আর অবাধ সুযোগ পেয়ে গেল মধ্যবিত্ত। কেননা এখন তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তারা এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে স্বভাবতই ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে একটি দ্বন্দ্ব শুরু হলো। সে দ্বন্দ্বেরই নানান প্রকাশ এখন আমরা দেখছি নানান ক্ষেত্রে। সামরিক অভ্যুত্থান দেখলাম, তারপর দেখলাম দুই দলের বিভাজন, দুই দলের মধ্যে হানাহানি, রাজনৈতিক দলের পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব হয় না—তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হয় ইত্যাদি। এর মূল হচ্ছে তাদের স্বার্থ-মতাদর্শ এখানে জরুরি কোনো বিষয় নয়, আদর্শ হচ্ছে বাইরের একটা আবরণ। সেজন্য দেখা যায়, একই লোক দল পরিবর্তন করে এবং দল পরিবর্তনে তাদের কোনো অসুবিধা হয় না। মূল কথা হচ্ছে, স্বাধীনতার মাধ্যমে যে সুযোগ-সুবিধাগুলো সৃষ্টি হয়েছে এবং সম্পদ যা আছে তা ভাগাভাগি করা। এই বিরোধ সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। এখন দলীয়করণ হয়েছে। এ দলীয়করণের মানে কোনো আদর্শিক দলীয়করণ নয়, এটা হচ্ছে ভাগাভাগির দলীয়করণ। অর্থাৎ, কে কতটা সুযোগ নেবে। এসব কারণেই আমরা আমাদের সমষ্টিগত অর্জনগুলো ধরে রাখতে পারলাম না।

মুক্তিযুদ্ধ ১৬ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যায়নি। এটা একটা স্তর ছিল। এটাকে মুক্তির দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সর্বোপরি সাংস্কৃতিক আন্দোলন দরকার ছিল, সেটা আমরা করতে পারিনি। এর ফলে এখন আমরা একটি পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মধ্যে আছি। এ ব্যবস্থার দুটো দিক। একটি হচ্ছে দেশের ভেতরে প্রত্যেকেই নিজেদের স্বার্থ দেখছে, তারা টাকা ছাড়া কিছু চেনে না, দেশপ্রেম বলে কিছু নেই। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে, আন্তর্জাতিক পটভূমিতে আমরা বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের অধীনে চলে গেছি এবং তাদের অনুগ্রহ ও তাদেরই নির্দেশেই আমরা চলছি। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এখন আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে কৃষি খাতকে এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। সেইসঙ্গে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য আমাদের প্রবাসীর যে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠায় এবং দেশের মধ্যে মানুষের যে সঞ্চয় আছে, তা বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ছিল একটি রাজনৈতিক শক্তির, যারা ১৬ ডিসেম্বরের পর মুক্তিযুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত। এ রাজনৈতিক শক্তি আমরা পাইনি। এই রাজনৈতিক উপাদানগুলো দেশের মধ্যে আছে। মানুষের মধ্যে বিক্ষোভ আছে, দেশপ্রেম আছে, আগ্রহ আছে এবং সর্বোপরি গণতান্ত্রিক চেতনা আছে। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ করার জন্য রাজনৈতিক শক্তি বিকশিত হয়নি। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এখন কর্তব্য হচ্ছে দেশপ্রেমিক এবং গণতান্ত্রিক মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া। এটা হচ্ছে না বলেই আমাদের গোটা দেশজুড়ে হতাশা দেখা দিচ্ছে।

লেখক: ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অনুলিখন: জাকির হোসেন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার মুখ খুললেন শুভশ্রী

জরুরি অবতরণকালে বিমান বিধ্বস্ত, তিনজন ছাড়া সব আরোহী নিহত

চট্টগ্রামে বিজয় দিবস, শহীদদের প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

শরীরে নীরব ঘাতক ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, জেনে নিন ৮ লক্ষণ

পতাকা হাতে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্বরেকর্ড বাংলাদেশের

পদ্মা সেতুতে থেমে থাকা বাসে আরেক বাসের ধাক্কা, অতঃপর...

আ.লীগ ৫০ প্রার্থীকে হত্যার মিশন নিয়েছে : রাশেদ খান

পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে তিন জাহাজে মার্কিন হামলা, নিহত ৮

স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিতে চায় : মির্জা ফখরুল

আইইএলটিএস পরীক্ষায় বড় পরিবর্তন, কার্যকর ফেব্রুয়ারিতে

১০

রিয়ালে খেলা ডিফেন্ডারকে দলে নিল ইন্টার মায়ামি

১১

আইপিএল নিলাম আজ: যেসব বিষয়ে জানা জরুরি

১২

অ্যাডিলেড টেস্টের আগে অজি একাদশে বড় পরিবর্তন

১৩

খুবিতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

১৪

মির্জা আব্বাস / গোলাম আযম-নিজামীকে ‘সূর্যসন্তান’ আখ্যা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে জামায়াত

১৫

আইপিএল ২০২৬-এর সূচি জানাল বিসিসিআই

১৬

জাতিসংঘে পাকিস্তানকে তুলাধুনা ভারতের

১৭

পুলিশের বিশেষ অভিযানে আ.লীগ নেতা ও সাবেক মেয়র গ্রেপ্তার

১৮

সন্দেহভাজন হামলাকারীরা ভারতে, সীমান্তে যেতে ৫টি যানবাহন পাল্টান তারা

১৯

বাংলাদেশের বোলিং কোচ হওয়ার প্রশ্নে যা বললেন শোয়েব

২০
X