

পঞ্চায়েত ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় সিপিএম এবং ‘ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’-এর অন্যতম জোট সঙ্গী ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের (আইইউএমএল)। শেষমেশ ৪৭ ভোটে জয়ী হন কেরালার মলপ্পুরমের থেন্নেলা পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী সৈয়দ আলি মজিদ। সব কিছু ঠিকঠাকই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বিজয় মিছিলে তার দেওয়া বক্তব্যে সৃষ্টি হলো বিতর্ক।
মজিদ সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক ছিলেন। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন। ৬৬৬টি ভোট পেয়ে ৪৭ ভোটে আইইউএমএল প্রার্থীকে পরাজিত করেন। তার পরেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে আইইউএমএল সিপিএম নেতার মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছে। তবে এই বিতর্কে কেরালা সিপিএম নেতৃত্বের এ পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, মজিদের বিরুদ্ধে আইইউএমএল দাঁড় করিয়েছিল নারী প্রার্থীকে। তাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে সিপিএম প্রার্থীর মন্তব্য, নারীদের কাজ কেবল স্বামীর শয্যায়। তারা প্রকাশ্যে ... (অপ্রকাশযোগ্য) পারেন না। আমাদের দলেও অনেক বিবাহিত নারী আছেন। তাদের সংসার আছে। শুধু ভোটে জেতার জন্য নারীদের ব্যবহার করে না সিপিএম। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীরা সেটা করেছেন।
বিজয়ী প্রার্থীর ঘোষণা, ২০, ২৫ এমনকি ২০০, যত জন নারী প্রার্থীকেই ভোটে দাঁড় করান না কেন, আমাদের বাড়িতেও তো বিবাহিত নারীরা আছেন। ঠিক এই কারণেই বিয়ের আগে পারিবারিক ঐতিহ্য যাচাই করে নেওয়া হয়। একটি ভোট পেতে কিংবা একটি ওয়ার্ডে জয়লাভের জন্য অন্য পুরুষদের সামনে তাদের দাঁড় করানো হয় না। আমাদের বাড়ির নারীদের বিয়ে হয়েছে, সন্তানদেরও বিয়ে হয়েছে। নারীদের কাজ স্বামীর সঙ্গে থেকে সন্তান জন্ম দেওয়া।
মন্তব্য করুন