

অ্যাডিলেডে তৃতীয় অ্যাশেজ টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে বড় পরিবর্তন—দলে ফিরেছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও অভিজ্ঞ স্পিনার নাথান লায়ন। তবে টানা দুই টেস্টে জয়ের পরও জায়গা হয়নি উসমান খাজার। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে অ্যাশেজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নামা স্বাগতিকরা ওপেনিং জুটিতে আবারও আস্থা রেখেছে ট্রাভিস হেড ও জেক ওয়েদারাল্ডের ওপর।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) শুরু হতে যাওয়া অ্যাডিলেড টেস্টের একাদশে কামিন্স ও লায়ন ঢুকেছেন মাইকেল নেসার ও ব্রেন্ডন ডগেটের জায়গায়। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন কামিন্স, যিনি জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পিঠের চোটে পড়েছিলেন। অন্যদিকে লায়নের প্রত্যাবর্তনে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ আরও শক্ত হলো—এই দুজনের ঝুলিতে মিলিয়ে আছে ৮৭১টি টেস্ট উইকেট।
তবে পরিবর্তনের মাঝেও সবচেয়ে আলোচনার বিষয় খাজার বাদ পড়া। হেড-ওয়েদারাল্ড ওপেনিং জুটি ভাঙতে রাজি হয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনারের ওপর। ৩৯ বছরে পা রাখতে যাওয়া খাজাওয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও কামিন্স আপাতত দরজা বন্ধ করেননি।
অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের কাছে এই কম্বিনেশনটাই যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে। পরিস্থিতি বদলালে সিদ্ধান্তও বদলাতে পারে। উজির শক্তি হলো—সে টপ অর্ডারেও রান করেছে, মিডল অর্ডারেও। প্রয়োজন হলে তার ফেরার পথ আছে।’
নেসার ও ডগেট বাদ পড়ায় কিছুটা দুর্ভাগ্যের শিকার বলা যায় দুজনকেই। ব্রিসবেন টেস্টে নেসার দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন, আর ডগেট প্রথম দুই টেস্টে স্কট বোল্যান্ডের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন। তবু অভিজ্ঞতার ভারে তাদের জায়গা ছেড়ে দিতে হলো।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ট্রাভিস হেড, জেক ওয়েদারাল্ড, মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথ, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স কেয়ারি (উইকেটকিপার), জশ ইংলিস, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন, স্কট বোল্যান্ড।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডও একাদশে পরিবর্তন এনেছে। ব্রিসবেন টেস্টের দল থেকে গাস অ্যাটকিনসনের জায়গায় দলে ফিরেছেন জশ টাং। অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার আগে দুই দলের এই পরিবর্তন অ্যাশেজ লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করল—এখন দেখার বিষয়, অভিজ্ঞতার ওপর ভর করে কামিন্স-লায়নের ফেরা অস্ট্রেলিয়াকে কত দ্রুত ট্রফির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়।
মন্তব্য করুন