কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সুদানের বর্তমান যুদ্ধ অর্থনীতি

ওসামা আবুজায়েদ
সুদানের বর্তমান যুদ্ধ অর্থনীতি

আফ্রিকা মহাদেশে চলমান সংঘর্ষগুলোর মধ্যে তীব্রতম হলো সুদানের গৃহযুদ্ধ। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যেন অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে গোটা পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চল। ধারণা করা হচ্ছে, গত আড়াই বছরে এ যুদ্ধের দরুন প্রাণ হারিয়েছে প্রায় দেড় লাখ সুদানি নাগরিক। ৩৫ লাখ লোক পরিণত হয়েছে শরণার্থীতে আর দেশের ভূখণ্ডেই অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ। দেশব্যাপী যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে, তার কারণে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে ৪০ লক্ষাধিক শিশু। তবু এ যুদ্ধ নিরসনের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।

গত ৮ ডিসেম্বর সুদানের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী শহর হেগলিগে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ তেলক্ষেত্রটি দখল করে নেয় দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। এর ফলে প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ সুদানের রপ্তানি তেলের প্রধান প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র কার্যত অচল হয়ে পড়ে—যে তেল থেকেই দক্ষিণ সুদানের সরকারের প্রায় সমগ্র রাজস্ব উপার্জন হয়। এই একটি ঘটনাকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলেই সুদানে চলমান যুদ্ধের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপর্যয়ের পেছনের কারণগুলোকে উন্মোচিত করা যায়।

পশ্চিম কোরদোফানে, সুদানের দক্ষিণ সীমান্ত ঘেঁষা যে অঞ্চলে হেগলিগ তেলক্ষেত্রটি অবস্থিত, সেই ভূখণ্ডটি দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র শক্তিগুলোর আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এর আগেও সুদানের সামরিক বাহিনী (এসএএফ) অভিযোগ করেছিল যে, আরএসএফ ড্রোন হামলার মাধ্যমে এ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। এর ফলে আগস্ট মাসেও উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে হয়েছিল। অর্থাৎ, হেগলিগ শুধু একটি শিল্প স্থাপনা নয়; এটি যুদ্ধের অর্থনৈতিক রক্তপ্রবাহের একটি স্পন্দনরত ধমনি।

এ ঘটনার কিছুদিন আগেই উত্তর কোরদোফানের হামরাত আল-শেখ নগরের বাইরে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) একটি ত্রাণবাহী ট্রাকে চালানো হয় হামলা। ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক এ হামলার তীব্র নিন্দা জানান। উত্তর দারফুরের তাওয়িলায় বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার একটি বহরের অংশ ছিল এ ত্রাণবাহী গাড়ি। এদের অনেকেই এল-ফাশের ও আশপাশের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে পালিয়ে এসেছে এখানে। এ হামলায় আটজন নিহত এবং আহত হয় আরও বহু মানুষ। গত এক বছরে সুদানে ডব্লিউএফপির কর্মী, সম্পদ এবং স্থাপনার ওপর এমন অসংখ্য আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

যে তীব্র ঝুঁকির মধ্য দিয়ে সুদানে মানবিক সহায়তাকর্মীদের কাজ করে যেতে হচ্ছে, এ ধারাবাহিক সহিংসতা বিশ্ববাসীর কাছে তারই একটা নজির তুলে ধরছে। এ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাকে দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ থেকে আলাদা করে দেখা যায় না। এসব ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনা নয়; বরং এগুলো এমন একটি যুদ্ধের অংশ, যেই যুদ্ধ স্বীয় রাজনৈতিক অর্থনীতিতে পুষ্ট।

হেগলিগের মতো রাজস্ব-উৎপাদনকারী অবকাঠামোর দখল এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে ব্যাঘাত—এ দুটো ঘটনা একই যুদ্ধযন্ত্রের দ্বিমুখী কৌশলের মতো কাজ করে। একটি লড়াই চালানোর অর্থ জোগায়, অন্যটি অভাব ও অনাহারকে অস্ত্রে পরিণত করে জনপদ উজাড় করে এবং প্রতিরোধ গড়ার সুযোগ ধ্বংস করে দেয়।

এ দ্বিমুখী কৌশল এমন এক সংঘাতের রূপরেখা আঁকছে, যা সুনিপুণভাবে ক্ষমতার ভারসাম্যকে পুনর্বণ্টন করে দিচ্ছে। এখানে প্রাকৃতিক সম্পদ এবং মানবিক প্রবেশাধিকারের ওপর নিয়ন্ত্রণই যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করে চলেছে। এভাবে জোরপূর্বকভাবে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে ফেলা হলে সুদানের ভবিষ্যৎ ভয়ানক রূপ ধারণ করবে।

সুদানের গৃহযুদ্ধের বৃহত্তর সংঘাতটি চতুর্থ বছরে পা রাখতে চলেছে। সংঘর্ষ এত দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার কারণে বৈশ্বিক দৃষ্টি ধীরে ধীরে এখান থেকে সরে যাচ্ছে। অথচ প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ বাস্তুচ্যুত সুদানি মানুষের জন্য যুদ্ধের নিষ্ঠুরতা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। অদৃশ্য কিছু শক্তিকে ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে ভঙ্গুর করে ফেলা হয়েছে দেশটির অর্থনীতিকে। দেশের অভ্যন্তরে বিমান হামলা ও সর্বব্যাপী সহিংসতা আন্তর্জাতিক সংবাদ শিরোনামে জায়গা পেলেও, মুদ্রাস্ফীতি, সম্পদ লুণ্ঠন এবং সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার প্রক্রিয়াকে যেভাবে শ্বাসরুদ্ধ করার পাঁয়তারা চলছে, তা অনেকেরই নজর এড়িয়ে যাচ্ছে।

এ গৃহযুদ্ধ সুদানকে পরিণত করেছে লুণ্ঠনমূলক অর্থনীতির এক পরীক্ষাগারে, যেখানে যুদ্ধবাজরা অনাহারে ভোগা মানুষের দুর্দশা থেকে লাভবান হচ্ছে। দেশের ভেতর দুর্নীতির চক্রটা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর এমনটা হতে দিয়েছে বৈশ্বিক উদাসীনতা। এসএএফ ও আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সুদানি পাউন্ডের মূল্য ২৩৩ শতাংশ কমে গেছে। আর ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মূল্যস্ফীতি ১১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। দেশের ভেতর বর্তমানে ২ কোটি ৪৬ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগছে, যা বিশ্বে এখন পর্যন্ত অনাহারে ভোগা মানুষের সর্বোচ্চ নথিভুক্ত সংখ্যা।

কিন্তু এ পরিসংখ্যানের আড়ালে রয়েছে এক নির্মম বাস্তবতা। সুদানের যুদ্ধকে শুধু সামরিক বিশ্লেষণ করে বোঝা যাবে না। এটি এমন এক সংঘাত, যেখানে কূটনীতিকদের চেয়ে সোনার চোরাকারবারিদের ক্ষমতা বেশি; যেখানে ব্যাংকের জায়গা দখল করেছে চেকপোস্ট আর ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামোর ওপর গড়ে উঠেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত এক বিকৃত বাজার ব্যবস্থা। সুদানে যুদ্ধ যেমন গুলিতে লড়া হয়, তেমনি লড়া হয় অর্থ দিয়ে।

দেশটিতে কার্যত একটি মুদ্রাযুদ্ধ চলছে, যেখানে মূল্যস্ফীতিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক বিপর্যয় কোনো দুর্ঘটনা নয়; এটি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার একটি সচেতন কৌশল। সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। লুট হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের অসংখ্য শাখা; রাষ্ট্রের সিন্দুক খালি। দারফুরের কিছু এলাকায় পরিবারগুলো খাবারের বিনিময়ে নিজেদের শেষ সম্বল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।

সম্প্রতি একটি মানবিক বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু অঞ্চলে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে ৩০০ শতাংশেরও বেশি। সুদানি পাউন্ডের অবাধ পতন লেনদেনকে বিদেশি মুদ্রার দিকে ঠেলে দিয়েছে, ফলে সৃষ্টি হয়েছে দ্বিস্তরীয় অর্থনীতি—যেখানে শুধু সামরিক সংযোগ এবং বৈদেশিক মুদ্রাধারী ব্যক্তিরাই টিকে থাকতে পারছে।

এ মূল্যস্ফীতি আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে বেপরোয়া যুদ্ধকালীন নীতির মাধ্যমে, যার মধ্যে রয়েছে সামরিক মুদ্রায়ন, কৃষি অবকাঠামো ধ্বংস এবং সোনা ও গাম অ্যারাবিকসহ অপরিহার্য সম্পদের দখল। আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় স্টারলিংক টার্মিনালের মালিকদের বছরে দেড় লাখ সুদানি পাউন্ড (প্রায় ১০০ ডলার) ঘুষ দিতে হয়। অন্যদিকে জ্বালানি আমদানির ওপর একচেটিয়া দখল কায়েম করেছে এসএএফ। নিজেদের যুদ্ধ চলমান রাখতে অনানুষ্ঠানিক মুদ্রা ছাপাচ্ছে উভয়পক্ষ।

একসময় আফ্রিকার শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত সুদানের কৃষিজমি আজ অনাবাদি। রাজধানী খার্তুমে ৪০০টিরও বেশি কৃষি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে এবং দারফুরের ৭০ শতাংশ সেচব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে, যা খাদ্যসংকটকে আরও তীব্রতর করছে।

আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম সোনার মজুদ রয়েছে সুদানে। এ যুদ্ধের প্রধান আর্থিক ইঞ্জিনে পরিণত হয়েছে সেই সম্পদ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতি বছর বাজারজাতকৃত সোনার ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্য দিয়ে চোরাই পথে পাচার হয়ে যাচ্ছে, ২০২৪ সালে যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৬০০ কোটি ডলার। দারফুরের খনিগুলোর ৮৫ শতাংশ আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে, অন্যদিকে এসএএফ-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রীয় খনি থেকে উপার্জিত রাজস্ব অস্ত্র কেনার উদ্দেশ্যে সরিয়ে নিচ্ছে।

এসবের পরিণাম ভয়াবহ। জাতিসংঘের প্রতিবেদনগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে পাচার হওয়া সোনার গতিপথ চিহ্নিত করলেও, এসব নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। এটি বৈশ্বিক সহযোগিতার ব্যর্থতার একটি নগ্ন উদাহরণ।

আরএসএফ কোকা-কোলার মতো বৈশ্বিক পণ্যে ব্যবহৃত এক গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল—গাম অ্যারাবিককেও অস্ত্রে পরিণত করেছে। কোরদোফান ও দারফুরের প্রধান উৎপাদন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে অনানুষ্ঠানিক কর আরোপ, গুদাম লুট এবং সীমান্তপথে পাচার চালাচ্ছে তারা। ২০২৫ সালের মে মাসে আল-নুহুদ থেকে ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের ১০ হাজার টন গাম অ্যারাবিক চুরির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালে আরএসএফের যুদ্ধ পরিচালনার অর্থ জুগিয়েছে ছয় মাসে লুট হওয়া ১ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের গাম অ্যারাবিক। এ বাস্তবতা ঔপনিবেশিক যুগের সম্পদ আহরণের প্রতিধ্বনি তুলছে, যেখানে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আর এর থেকে মুনাফা কুড়িয়ে নিচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী ও বৈদেশিক বাজার।

আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য ভেঙে পড়ায় আরএসএফ ত্রাণ লুণ্ঠন ও ‘বেঁচে থাকার কর’ আরোপের মাধ্যমে এক লুণ্ঠনমূলক অর্থনীতি গড়ে তুলেছে। জাতিসংঘের ভাষ্যমতে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ব্যাপক লুটের শিকার হয়েছে অধিকাংশ মানবিক সংস্থা। খাদ্যবহর জব্দ করে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত বাজারে। বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো নিরাপদ যাতায়াতের জন্য চেকপোস্টে ঘুষ দিতে বাধ্য হচ্ছে।

স্বাস্থ্য খাতের ধস এ সংকটকে আরও নিষ্ঠুর করে তুলেছে। সংঘাতপূর্ণ এলাকায় ৮০ শতাংশ হাসপাতাল অচল। কিডনি ডায়ালাইসিস ও ক্যানসারের ওষুধ কালোবাজারে যুদ্ধ-পূর্ব দামের থেকে ২০ গুণ অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এখানে কলেরার মতো রোগকে কার্যত অস্ত্রে পরিণত করা হয়েছে।

সামাজিক বন্ধনকে ছিন্ন করে গোটা পূর্ব আফ্রিকাকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে এ অর্থনৈতিক বিপর্যয়। প্রতিবেশীরা খাবারের বিনিময়ে একে অন্যকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে; আত্মরক্ষায় অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছে নারীরাও। চাদ, মিশর ও দক্ষিণ সুদানে পালিয়ে গেছে ৩৫ লাখের বেশি মানুষ। প্রতি পাঁচ সুদানি শিশুর একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।

এরপরও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ায় পর্যাপ্ত ব্যস্ততা লক্ষ করা যাচ্ছে না। ২০২৫ সালের জাতিসংঘ মানবিক তহবিল আহ্বান মাত্র ২১ শতাংশ অর্থায়ন পেয়েছে আর ২০২৪ সালের তুলনায় সহায়তা ৪০ শতাংশ কমিয়েছে বড় দাতা রাষ্ট্রগুলো। অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গারের নির্বাহী পরিচালক জ্যঁ-মিশেল গ্রাঁদ সম্প্রতি বলেছেন, ‘সুদান পরীক্ষা করছে বিশ্ব এখনো মানব মর্যাদার সার্বজনীনতায় বিশ্বাস করে কি না এবং এখন পর্যন্ত আমরা সেই পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে এসেছি।’

সাময়িক যুদ্ধবিরতি এ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারবে না। সহিংসতাকে পুনর্জন্ম দেওয়া আর্থিক কাঠামোকে ভেঙে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলাই একমাত্র পথ। এখন প্রয়োজন লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা, সোনার প্রবাহের নিরীক্ষা করা, সামরিক সম্পদ জব্দ করা এবং সরকারের প্রশাসন বিভাগের নির্দেশনায় ও সাধারণ নাগরিকদের অংশগ্রহণে পরিচালিত নতুন খাদ্য কর্মসূচি তৈরি করা। সুদানের যুদ্ধ কাগুজে কূটনীতিতে শেষ হবে না; শেষ হবে তখনই, যখন বৈশ্বিক শক্তি দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক নেটওয়ার্কগুলো ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তা না হলে, আমরা সবাই এক অনন্ত যুদ্ধের নীরব সহযোগী হয়ে থাকব।

লেখক: সুদানের মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক; মানব উন্নয়ন ও সরকার ব্যবস্থাবিষয়ক গবেষক; জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে নিয়োজিত উন্নয়ন কর্মী। নিবন্ধটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ‘মিডল ইস্ট আই’-এর মতামত বিভাগ থেকে অনুবাদ করেছেন অ্যালেক্স শেখ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবিতে নয়, যেখানে নেওয়া হচ্ছে হাদির মরদেহ

খালেদা জিয়ার সবশেষ অবস্থা জানালেন ডা. জাহিদ

হাদি হত্যার প্রতিবাদে জুলাই ঐক্যের ‘কফিন মিছিল’

ঢাবি ভর্তিসহ ৫টি পরীক্ষা স্থগিত, পেছাল সমাবর্তন

ছাত্রলীগ নেতাকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা

ওসমান হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছেছে

দেড় যুগ পর পুলিশ ক্যাডার হলেন আলোচিত দম্পতি

হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শনিবারের এলএলবি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

১০

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের শনিবারের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত 

১১

নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

১২

সুদানে ফের হামলা, নিহত ১৬

১৩

নেকটার চার ক্যাটাগরির নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

১৪

আইনজীবী আলিফ হত্যার আসামি সুকান্ত গ্রেপ্তার

১৫

বাংলাদেশকে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন হাদি : মান্না

১৬

ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন প্রতিহত করা যাবে না : আমান

১৭

কোনো উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১৮

গ্রাহকদের ‘দুঃসংবাদ’ দিল তিতাস গ্যাস

১৯

ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে হাদিকে

২০
X