

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেছেন ছাত্র-জনতা। এতে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, এনসিপি, জামায়াত ইসলামী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ শেষে দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু করে প্রায় এক ঘণ্টা মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় মহাসড়কের উভয় দিকে প্রায় ৩ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে দূর-দূরান্তর যাত্রী ও চালকরা। পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন দলীয় নেতাকর্মীরা দলে দলে জড়ো হন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে। পরে মহাসড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন তারা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এতে দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উভয়পাশে প্রায় ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে দূর-দূরান্তের শত শত যাত্রী ও চালকরা। অবরোধকারীরা অবিলম্বে ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সরকারকে আলটিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেন।
বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, হাদিকে গুলি করে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার কার্যকর করতে হবে। যারা জুলাই অভ্যুত্থানকে মুছে ফেলতে চায়, সেইসব স্বরযন্ত্রকারীদের বিচার করতে হবে। বাংলার মাটিতে কোন সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না। জনগণ সব সন্ত্রাসী ও স্বড়যন্ত্রীকারীদের বিচার দেখতে চায়। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটির আহ্বায়ক নেয়ামত উল্লাহ, সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ, এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী হাফেজ মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ, সদস্য আব্দুর রহিম, যুবশক্তির আহ্বায়ক রিশাদ রাব্বি, সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
এদিকে এর আগে শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার চেয়ে রাজৈর পৌর ঈদগাহ মাঠের সামনে বিক্ষোভ ও শিবচর উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন