

দেশে থাকতে তারেক রহমান বগুড়ায় গেলে যে বাড়িতে অবস্থান করতেন শহরের সূত্রাপুর এলাকার রিয়াজ কাজী লেনে অবস্থিত সেই বাড়িটিও সংস্কার করা হচ্ছে। বাড়িটি সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরছেন।
বাড়িটি বর্তমানে অযত্ন ও অবহেলায় অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। অথচ দেশে থাকা অবস্থায় তারেক রহমান উত্তরাঞ্চলের কোনো জায়গায় গিয়ে ফেরার পথে বগুড়ার এ বাড়িটিতে রাত্রিযাপন করতেন। এখান থেকেই তিনি বগুড়া তথা উত্তরের জেলাগুলোর নেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতেন।
নেতাকর্মীরা জানান, অনেক বছর আগে সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু নিজ বাড়ির পাশে পাঁচ শতাংশ জমি তারেক রহমানকে মৌখিকভাবে দেন। পরে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেন তারেক রহমান। বিশেষ নিরাপত্তা অনুযায়ী বাড়ির নকশা করা হয়। মূলত এই বাড়িটিকে ঠিকানা হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি।
ওয়ান ইলেভেনের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন এবং পরে মুক্ত হয়ে লন্ডন চলে যান। এরপর থেকে বাড়িটিতে কোনো কেয়ারটেকারও ছিল না। বাড়ির গেট এবং দেয়ালের রং চটে গেছে। লোকজন যখনই ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যায়, এক নজর হলেও তাকিয়ে থাকে।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগে তারেক রহমান দেশে ফিরবে এমনটি জানা গেলেও বাড়িটি সংস্কার হয়নি। এ ছাড়া বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে নির্বাচনও করতে যাচ্ছেন তারেক রহমান। সেক্ষেত্রে বাড়িটি নির্বাচনের প্রধান কেন্দ্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য তারেক রহমানের দেশে ফেরার তারিখ ঘোষণার পর পরই বাড়িটির সংস্কারকাজ শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেই তারেক রহমানের বাড়ি। আমি জায়গাটি উনাকে দিলেও নিজের পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন করে বাড়ি নির্মাণ করেন তিনি। ওই বাড়ি থেকেই বগুড়া তথা উত্তরের সংগঠনের খোঁজ নিতেন। সেখানে রাতভর রাজনৈতিক আলোচনা করতেন তারেক রহমান। আর বাড়ির বাইরে হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান করতেন।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফেরার তারিখ ঘোষণার পরই বাড়িটির সংস্কারকাজ শুরু করা হয়েছে। সংস্কারকাজ এখনো চলমান। দেশে ফিরে প্রথম দিকে ঢাকায় ব্যস্ত থাকবেন তিনি। তারপর বগুড়ায় আসবেন। কারণ, বগুড়া-৬ আসন থেকে তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এ কারণে তাকে এখানে মাঝেমধ্যই থাকতে হবে।’
মন্তব্য করুন