মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৫৭ এএম
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ভাঁড়ামির রাজনৈতিক সিন্দাবাদে দেশ

ভাঁড়ামির রাজনৈতিক সিন্দাবাদে দেশ

ছত্রিশ বছরের চাকরি জীবনে এমন অর্থনৈতিক সংকট আর দেখেননি বলে জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এর বিপরীতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মনে করেন, যত অভাবের কথা বলা হয়, আসলে অভাব তত নয়। নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বাড়লেও নিজের এলাকা রংপুরে মানুষ কষ্টে নেই। জানান, তার এলাকার ‘নারীরা দিনে তিনবার লিপস্টিক লাগাচ্ছে, স্যান্ডেল বদলাচ্ছে চারবার’। এর মাত্র কদিন আগে বলেছেন, বাংলাদেশের চার কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের স্ট্যান্ডার্ডে। গভর্নর, মন্ত্রী, আমলা বা নেতারা এত কথা পান কই? কে বলেছে, তাদের এত কথা বলতে? অথবা এ ধরনের কথা না বললেই কি নয়? তাও আবার রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক এ কঠিন সময়ে? কথাগুলো অর্থকষ্টে ভোগা ও রাজনৈতিক নানা শঙ্কায় আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের কলিজায় কী আঘাত হানে তা নিকটজনদের কেউ তাদের বলেনও না? তা যে সরকারকে মানুষের গালমন্দ শোনানোর কী আয়োজন করছেন, হয়তো ভাবছেনই না। এমনিতে নেতা-নেত্রীদের কারও কারও মুখের লচন, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, খিস্তি, ভেংচিতে মানুষ যারপরনাই বিরক্ত। তার ওপর বাস্তবতা ঢাকতে গিয়ে দুনিয়ার নানা উল্টাকথার খোঁচায় বিশেষজ্ঞ কয়েকজন রীতিমতো গোছ ন্যাংটি দিয়ে নেমেছেন। এ খেলার হালফ্যাশনে টপে উঠে যাচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি কোনোদিন কোন বচন ছাড়বেন গণমাধ্যম যেন সেই অপেক্ষাই করে। কিছুদিন সেই অপেক্ষার জোগান দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। ‘বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে’, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক’—ধরনের আচানক কথা বলে গোটা সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিলেও তার নিজের সমস্যা হয়নি। কদিন থেমে আবার হঠাৎ-হঠাৎ অস্বাভাবিক কিছু একটা বলে মিডিয়ার শিরোনাম সাপ্লাইয়ার হন তিনি। মুনশি-মোমেন ফাঁকে বা বাইরে আরও কয়েকজন আছেন প্রায় নিয়মিত উল্টাপাল্টা বলে শিরোনাম হন। ভাইরাল হতে বেশ পছন্দ তাদের। উজিরদের বাইরে কিছু নেতা ও আতিপাতি আছেন, আচমকা একটা কিছু বলে অন্যদের পেছনে হটিয়ে দেন। যুবলীগ দেখলে শয়তানও পালায় মন্তব্য করে একঝলক ভাইরাল হয়ে ধন্য এক সাবেক আলোচিত মন্ত্রী তার একান্ত সমর্থকদের কাছে জানতে চেয়েছেন, কেমন দিলাম? অন্যদের ডিফিট খাওয়াতে পেরেছেন কি না? নিম্নমানের হুংকার দেওয়া কথাবার্তায় নিত্য উল্টাপাল্টা সিক্সটি নাইন ধরনের একজন বলেছেন, বিরোধী দলে থাকতে হরতাল-অবরোধের সময় কোনো সহিংসতা করতেন না তারা। বড়জোর রিকশার হাওয়া ছাড়তেন। তার এমন বাণীর মধ্যে ঢাকার এক মেয়র বলে বসেছেন, তারা লাগলে আবার ‘লগি-বৈঠা’ নিয়ে নামবেন। ‘আবার’ মানে কী? আগেও নেমেছিলেন লগি-বৈঠা নিয়ে? নইলে কেন এত সুবোধ ছিলেন বলে জানান দেওয়া? কেন হরতাল-অবরোধের সময় শুধু রিকশার হাওয়া ছাড়ার মতো ‘গুডবয়’ দাবি করা?

রাজনীতি না বোঝা বা না করা ব্যক্তিরাও নেতা-নেত্রীদের কারও কারও সাম্প্রতিক কথাবার্তা ও আচরণে প্রশ্নবিদ্ধ যে, এই জনাবরা কোন পর্যায় থেকে উঠে এসেছেন? পারিবারিক পরিমণ্ডলইবা কেমন এ মহাশয়দের? ঘরে বা বাসাবাড়িতেও কি তাদের এমনই ভাবভঙ্গি? তাদের কোনো পরিবার-পরিজন নেই? বাইরে এ ধরনের ভাষায় কথা বলে বাড়িতে গেলে স্বজন-পরিজনরা তাদের কিছু বলেন না? তাদের ডাকদোহাই দেওয়ার মতো সিভিল সোসাইটিও এখন নেই। তবে, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ইইউভুক্ত দেশগুলো খোঁচাখুঁচি বন্ধের কিছু ডাকদোহাই দিয়েছে। রূপপুর প্রকল্পর জন্য আমদানি করা ইউরেনিয়াম বিরোধী দলের মাথায় ঢেলে দেওয়ার হুংকারটি বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের। কিন্তু হেদায়েতের নমুনা নেই। পা ভেঙে দেওয়া, মাজা ভেঙে দেওয়া, ঘাড় মটকে দেওয়া পর্যন্তই নয়; বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়া, মরণযাত্রায় শামিল করে দেওয়ার মতো উৎকট হুংকারও বাদ পড়ছে না। তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে ঘাড় ধরে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেওয়া, পিটিয়ে পিটারকে তক্তা বানিয়ে দেওয়ার হুংকারও যোগ হয়েছে।

যা ইচ্ছা তা বলার চর্চা থেকে যা ইচ্ছা তা করার সিন্দাবাদের এ ভূত এখন শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূলেও। তাদের ওপর থেকে কারও বলে দিতে হয় না। তারা নিজ দায়িত্ব সুয়োমোটোতেই তা করে ছাড়ছে। তাদের কাছে এটি এক ধরনের থ্রিল-হিরোইজম। লক্ষ্মীপুরে উপনির্বাচনে বুকে নৌকার ব্যাজ লাগিয়ে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার নৌকা মার্কায় ঝড়ের গতিতে সিল মারার অ্যাকশন ওই থ্রিলেরই উদাহরণ মাত্র।

বিরোধী দলের আন্দোলনকে হোমিওপ্যাথিক, হামাগুড়ি, গান্ধীবাদী ইত্যাদি নামে তাচ্ছিল্য করে এই সিন্দাবাদরা এক ধরনের তৃপ্তি পেতে পারেন। রাজনীতির বাইরের মানুষরা কী ভাবেন এই মহাশয়-মাননীয়দের নিয়ে? কাঁচা কথার ছ্যাবলামিতে কিংবদন্তির মতো আছেন কয়েকজন। তারা বেশ বিনোদনও জোগান। ঘুষকে স্পিডমানি, সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা হ্যাক হয়ে যাওয়াকে সামান্য টাকা, বিদেশে অর্থ পাচারকে অর্থ রপ্তানি, বাংলাদেশে এখন গরুও ভাত খায়, বাঙালি ভাত বেশি খাওয়ায় চালের দাম বেড়ে যায়, হাতিরঝিলে গেলে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক মনে হয়, বুড়িগঙ্গার পাড়ে গেলে টেমস নদী মনে হবে, যানজট-ডেঙ্গু দেশের উন্নয়নের প্রমাণ ইত্যাদি কথায় তারা ভাঁড়ের পর্যায়ে চলে গেছেন বহু আগেই। তারা একদম মাগনা বিনোদন জোগান দিচ্ছেন মানুষকে। একসময় দিলদার, হাসমত, টেলি সামাদ, খান জয়নুলদের কৌতুক বা কমিক দেখে যে বিনোদন মিলত, এর চেয়ে ঢের বেশি বিনোদন নিশ্চিত হয় তাদের মাধ্যমে। এ ধরনের মুখপণ্ডিতিতে অভাবী-দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মনে ঘা দিয়ে বদদোয়াও কি কামাচ্ছেন না? সরকারের অর্জনগুলোকেও ঢাকা দিয়ে ফেলছেন না ফালতু-ফাতরা কথার চাপায়?

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে গিয়ে খোঁচা দেওয়া, তাচ্ছিল্য করা বা উত্তেজিত করার সংস্কৃতি দেশে দেশে আছে, ছিল। থাকবেও। রাজনীতিতে তা আরেকটু বেশি। তা করতে গিয়ে অন্তত নিজের ওজনটা ঠিক রাখার বিষয় রয়েছে। আর ওজন ঠিক রাখতে গেলে যে শিক্ষা, শালীনতা, সামাজিক বোধ দরকার সেখানে বড় আকাল। একসময় বলা হতো, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার হলো কাব্যিক, শাসন গদ্যময়। বাংলাদেশে রাজনৈতিক গদ্য-পদ্য এখন ঠিক-ঠিকানাহীন। কর্মীদের চাঙা রাখতে কত কথাই বলতে হয়, এ যুক্তি আছে নেতাদের। কর্মীদের তারা সেই পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পেরেছেন। নেতারা যা বলেন কর্মীরা সায় দিয়ে হাততালি দেয়। এটাই স্বাভাবিক। রাজনৈতিক নেতারা সবার কাছে না হলেও দলের কর্মীদের কাছে আইকনের মতো। তাদের দ্বারা প্রভাবিতও। তা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে স্পর্শ দেয়। সেই ছোঁয়ায় ‘ফাইট্টা যায় ফাইট্টা যায় বা টিপ্পা দে টিপ্পা দে’ গানও পাবলিক ভালো খায়। সমাজে উচ্চারণ অযোগ্য হলেও বাংলা সিনেমায় ডিপজলের নোংরা ডায়ালগও অনেকে খায়। বিদেশ থেকে কথিত সেপু দার কদাকার-বিশ্রী শব্দবোমাও কি কম খায়?

রাজনীতির ময়দানে লড়াইটা বহুমুখী। রাজনীতিকদের কথাও বহুমুখী। তাদের শেষ কথা বলে কিছু নেই। তারা মিথ্যাও বলেন না। সকাল-দুপুর, বিকেল-সন্ধ্যা-রাতসহ বিভিন্ন প্রহরে যখন যা বলেন সবই তখনকার জন্য সত্য। এ সত্য এখন সহিংসতার বার্তায় এসে ঠেকা সুস্থ-বিবেকমান যে কারও জন্য কষ্টের-উদ্বেগের। সাধারণ জনগণ মোটেই রাজনীতিকদের পীর-সন্ন্যাসী ভাবেন না। সচরাচর রাজনীতিকদের কাছে তারা সত্য কথা আশাও করেন না। ধরেই নেন, তাদের কথা ঠিক নেই। তাই বলে অহরহ আস্তিন গুটানো, ভেংচি কেটে খিঁচুনি, হুংকার-পাল্টা হুংকারে এভাবে?

ভ্যাংচাতে ভ্যাংচাতে একজন এও বলে ফেলেছেন, আর খেলা নয়, এবার হবে ফাটাফাটি। এর আগে সবসময় অজু-গোসলে পবিত্র থাকা, তসবিহ পড়া, ৭০ রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ার মতো নানা বায়বীয় কথায় ভাইরাল এ মাননীয়র বিশেষ বিশেষত্ব হচ্ছে, সবকিছুতে প্রধানমন্ত্রীকে কোনো না কোনোভাবে কোট করা। এতে তিনি তার গুরুত্ব তৈরিতে কামিয়াবি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ইমেজের কী দশা করে ছাড়ছেন। এখন যে সামনে ফাটাফাটি হবে, তা কি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে বলেছেন? চন্দ্রবিন্দু দিয়ে ‘তাঁদের’ সম্বোধন করতে হয়। ‘তাঁরা’ মান্যবর। নামের পূর্বাপরে বলতে হয় মাননীয়, মহোদয়, মহাশয়সহ কত কিছু। এটা তাদের সাংবিধানিক প্রিভিলেজ। নিজ নিজ এলাকায় তাদের কেউ কেউ শুধু মাননীয়, মহোদয় নন; মহামান্যের মতো। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, তত বেপরোয়া এ মান্যবররা। জনগণকেও নানা উদামকাণ্ড মেনে নিতে বাধ্য করে ছাড়ছেন তারা। যেখানে যার মন যা চায় করছেন, বলছেন। এর মধ্য দিয়ে নিজেরা ফ্রিস্টাইলে উদাম বা দিগম্বর হচ্ছেন। আর সরকারকে ফেলছেন মোটা দাগের প্রশ্নের মুখে। জনগণকে তোয়াক্কা না করতে করতে এখন আর সরকারকেও তোয়াক্কার দরকার মনে করে না তারা। যেন ধরেই নিয়েছেন, সরকার বা দলের শীর্ষ পর্যায় এখন আর তাদের কিছু করবে না বা করতে পারবে না।

শুধু কর্মী নয়, গোটা জাতিকেই উদ্ভট-উৎকট কথা হজম করার নিয়তিতে নিয়ে আসার সফলতায় সক্ষম হয়ে চলছেন তারা। নাট্যজন মামুনুর রশীদ রুচির দুর্ভিক্ষের কথা বলে নাকানি-চুবানিতে পড়ে গিয়েছিলেন। সাহস করে কেউ জানতেও চাইলেন না তিনি কী উদ্দেশ্য, কী বোঝাতে চেয়েছিলেন। বেচারা বোবার মতো দমে গেছেন। গত কদিনের রাজনীতির মাঠের বাস্তবতায় তার সেই রুচির দুর্ভিক্ষ বড় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কোনো রাজনৈতিক পক্ষই রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনের কথা বলে না। এমনকি নির্যাতিত কোনো বিরোধী দলও রাজনৈতিক এই নোংরা সংস্কৃতির পরিবর্তনের কথা বলে না। এবারের দৃশ্যায়নটির তীব্রতা বেশির চেয়েও বেশি হয়ে যাচ্ছে। তাদের ননস্টপ সার্কাস-ভাঁড়ামির শোডাউনে যেন ক্লান্ত হওয়ার অবস্থাও নেই মানুষের। খেতেই হবে? হজমই করতে হবে? বমিও করা যাবে না?

লেখক : ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাঙামাটিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে দুদকের অভিযান

আর্জেন্টিনায় ম্যাচ চলাকালে সমর্থকদের তুমুল মারামারি

আশুলিয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জুয়েল গ্রেপ্তার

৬০০ কোটি আয় ছাড়াল রজনীকান্তের ‘কুলি’

শেখ হাসিনার বিচার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে সাইদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি

গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে নির্দেশনা দিলেন হাইকোর্ট

ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের ছবি যুক্তের দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়াল পাকিস্তান

র‌্যাঙ্কিংয়ে উধাও রোহিত-কোহলির নাম, কারণ জানাল আইসিসি

১০

রাজসাক্ষী হতে চান পুলিশ সদস্য শেখ আফজালুল

১১

ভাঙন ভাঙন খেলায় দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষ

১২

চালককে ওয়াশরুমে রেখে প্রাইভেটকার নিয়ে ছুটছিলেন তিন বন্ধু

১৩

নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি / কর কমিশনার মো. মুস্তাকসহ ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করছে দুদক

১৪

‎আশাশুনি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের স্থায়ী ভবন নির্মাণে জরুরি আলোচনাসভা

১৫

দেবের প্রশংসায় ইধিকা

১৬

গ্যাসের ব্যথা ভেবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নিয়ে ঘুরছেন না তো?

১৭

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

১৮

বয়স ৪০ হলেও চাকরির সুযোগ, আবেদন করুন আজই

১৯

জ্বালানি তেলের দাম কমবে কবে

২০
X