

টেস্ট সাদা জার্সিতে তার অনুপস্থিতি যেন নিউজিল্যান্ড দলের মাঝেই এক শূন্যতা তৈরি করেছিল। দেড় বছর পর সেই শূন্যতা পূরণে ফিরছেন তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার—কেন উইলিয়ামসন। ডিসেম্বরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের আগে ব্ল্যাকক্যাপস শিবিরে যেন নতুন প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে তার প্রত্যাবর্তন।
নিউজিল্যান্ড সোমবার ঘোষণা করেছে ১৪ সদস্যের প্রথম টেস্ট দল। সেখানে আছেন উইলিয়ামসন, আছেন সদ্য ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা ড্যারিল মিচেলও। একই সঙ্গে দলে রাখা হয়েছে তিন পেসার—জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফল্কস ও ব্লেয়ার টিকনারকে।
উইলিয়ামসনের শেষ টেস্ট ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। এ বছরের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে নিজেই সরে দাঁড়ান তিনি, এরপর আর সাদা বলের ক্রিকেটে মাঠে নামা হয়নি। দীর্ঘ বিরতির পর আবার ছন্দ ফেরাতে তিনি খেলবেন প্লাঙ্কেট শিল্ডের দ্বিতীয় রাউন্ডে, সেখান থেকেই প্রস্তুত হয়ে নামবেন হ্যাগলি ওভালের টেস্টে।
এদিকে দলে রাখা দুই পেসার ডাফি ও ফল্কস জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একসঙ্গে টেস্ট অভিষেক করেছিলেন। বিশেষ করে ফল্কস নজর কাড়া ৯ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সেরা টেস্ট ডেবিউ ফিগারের রেকর্ড গড়েন। টিকনার ফিরছেন প্রায় দুই বছরের বিরতি কাটিয়ে—তার শেষ টেস্ট মার্চ ২০২৩ সালে।
এদিকে কাইল জেমিসন ও গ্লেন ফিলিপসকে নেওয়া হয়নি ইনজুরি থেকে ধীরে ধীরে ফেরার পরিকল্পনার কারণে। আর ম্যাট ফিশার, উইল ও’রউর্কে ও বেন সিয়ার্স এখনো চোটের পুনর্বাসনে ব্যস্ত।
হেড কোচ রব ওয়াল্টার উইলিয়ামসনের ফেরাকে দেখছেন দলের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার সুযোগ হিসেবে। তিনি বলেন, “কেনের মাঠের দক্ষতা নিজের কথাই বলে। আবার তাকে টেস্ট দলে পাওয়া আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার—ব্যাট হাতে যেমন, নেতৃত্বেও তেমন।”
নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড (প্রথম টেস্ট):
টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), টম ব্লান্ডেল (উইকেটকিপার), মাইকেল ব্রেসওয়েল, ডেভন কনওয়ে, জ্যাকব ডাফি, জ্যাক ফল্কস, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, রচিন রাবিন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, নাথান স্মিথ, ব্লেয়ার টিকনার, কেন উইলিয়ামসন, উইল ইয়াং।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২ ডিসেম্বর, ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে। নিউজিল্যান্ডের নজর থাকবে—ফিরেই কি উইলিয়ামসন আবার সেই ছন্দে ফিরতে পারেন?
মন্তব্য করুন