মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর (ডরপ)-এর উপনির্বাহী পরিচালক। সদ্য শেষ হওয়া কপ-২৮ সম্মেলন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও তা মোকাবিলায় করণীয়সহ নানা বিষয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন
কালবেলা: বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ শেষ হয়েছে। এ সম্মেলন নিয়ে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে অনেক আলোচনা হয়েছে। এ সম্মেলন থেকে আমাদের প্রত্যাশা কী ছিল এবং আমরা কী পেলাম?
মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান: এবারের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই আমরা দেখেছি বিশ্বনেতারা অনেক বিষয়ে একমত হয়েছেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন জীবাশ্ম জ্বালানি বিষয়ে পূর্বের মতো কঠিন ভূমিকায় থাকবেন না। যেসব দেশ কার্বন-ডাইঅক্সাইড এবং মিথেন গ্যাস বেশি প্রোডিউস করে তারা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে বলে একমত হয়েছে। জ্বালানি সম্মেলনের প্রথম সপ্তাহেই তারা এসব বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছে।
এখানে দুই ধরনের ফান্ড রয়েছে। একটি হলো অ্যাডাপটেশন ফান্ড এবং অন্যটি হলো মিটিগেশন ফান্ড। অ্যাডাপটেশন ফান্ডটি সবসময়ই বিভিন্ন ধরনের শর্তযুক্ত এবং ট্রিটি থাকে। এখানে রাজনৈতিক প্রভাব থাকে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নির্ধারণ ও দরকষাকষির ক্ষেত্রে অনেক লবিংয়ের ব্যাপার থাকে। ফলে এখানে ভুক্তভোগী দেশগুলো নানাভাবে বঞ্চিত হতে পারে। তারা যদি সেভাবে জোর দাবি উপস্থাপন করতে না পারে বা সেই ধরনের স্কিল না থাকে, তাহলে তাদের পক্ষে অ্যাডাপটেশন ফান্ডের অর্থ অঙ্গীকার করে নিয়ে আসা কঠিন হয়ে যায়। অন্যদিকে মিটিগেশন ফান্ডের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা অনেক নমনীয় থাকে। কারণ এর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের এক ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং মিটিগেশন ফান্ডর অর্থ সরাসরি সরকারের মাধ্যমে না এলেও বিভিন্ন মাধ্যমে সেটা আসে। যেহেতু আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে নেট জিরো কমিটমেন্ট হয়েছে সেহেতু এই ফান্ডের অর্থ পাবে বাংলাদেশ।
কালবেলা: পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। এ কারণেই কি কপ-২৮ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে?
মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান: এমনটা ঘটতে পারে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান হয়ে ওঠায় তারা এ বিষয়ে নতুন করে চিন্তা করছে। এ ছাড়া করোনার মতো মহামারি দেখেছি আমরা এ সময়ই। এবার যিনি কপ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক। তিনি সাগ্রহে এবং খুবই আনন্দের সঙ্গে আগামী পাঁচ বছরের মিটিগেশন ফান্ডের ব্যাপারে কথা বলেছেন। পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস এসব বিষয়গুলো জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু আমরা দেখছি এসব জায়গায় বিশ্বনেতারা তাদের অধিকার বাস্তবায়নের কথা বললেও একটি মহল বা ব্যবসায়িক মহলের চাপে সে ধরনের অঙ্গীকারে তারা পৌঁছতে পারছেন না।
আমরা দেখেছি সারা বিশ্বে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন মানুষ স্যানিটাইজেশন সুবিধা পাচ্ছে না। নিরাপদ পানি পাওয়ার ক্ষেত্রেও এ ধরনের সমস্যা রয়েছে। নিরাপদ ব্যবস্থাকৃত পানি না পাওয়ার কারণে খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে সমস্যা বিদ্যমান। পানির ঘাটতির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়। আর উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সামগ্রিক অর্থনীতি। সংযুক্ত আরব আমিরাত যেহেতু ব্যবসা-বাণিজ্যের মন-মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে চলছে, সেহেতু তারা বুঝতে পেরেছে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত শুধু ভুক্তভোগী দেশগুলোতে নয়, অন্যান্য দেশগুলোতেও প্রভাব পড়ছে। এটা বুঝতে পেরেই তারা জলবায়ু সম্মেলনে বেশ কিছু অঙ্গীকার করেছে।
কালবেলা: বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব দেখছি আমরা। জলবায়ু অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অবস্থান কীভাবে দেখছেন?
মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান: বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশন আগামী ১০০ বছরের একটি ডেল্টা প্ল্যান ঘোষণা করেছে। সেখানে তারা সারা দেশে মোট পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ হটস্পট চিহ্নিত করেছে। সেখানে রয়েছে উপকূল অঞ্চল, বরেন্দ্রভূমি, হাওর অঞ্চল, পাহাড়ি অঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লবণাক্ত অঞ্চল। এ ঝুঁকিপূর্ণ হটস্পট অঞ্চলগুলোতে যে পরিবর্তনগুলো আমরা দেখছি তা এসেছে মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। আগে যে পানির উৎসগুলো খাওয়ার উপযোগী ছিল এখন সেখানে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। গত এপ্রিল মাসে আমরা বড় ধরনের কলেরা সংক্রমণ দেখেছি। পানিতে বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তা বিভিন্ন ধরনের রোগজীবাণু বয়ে আনছে।
বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার ফলে অথবা ভূগর্ভস্থ পানি অনেক বেশি উত্তোলনের ফলে এ পানিতে বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে নদীভাঙন অনেক বেড়ে গেছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা বেড়ে গেছে। এসব বিষয় ডেল্টা প্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। দুভাবে ডেল্টা প্ল্যানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথমত, কাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে এবং দ্বিতীয়ত, মানুষকে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। এ দুটি বিষয়ই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার মূল ভিত্তি।
বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনে আক্রান্ত হওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি অনেক বেড়ে গেছে। এসব থেকে আমরা হঠাৎ করে মুক্তি পাব না। গত কিছুদিনের মধ্যে দুটি ঘূর্ণিঝড় এসেছে। ফলে আমাদের এই অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নও প্রয়োজন। সমুদ্র ও নদীতে পানির স্তর বেড়ে যাচ্ছে। নদীভাঙন বাড়ছে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের বাঁধ আরও উঁচু ও শক্তিশালী করতে হবে। এসব কাজে প্রয়োজন পরিকল্পনা ও অর্থায়ন।
কালবেলা: অর্থের জোগান কি সরকার দেবে নাকি আন্তর্জাতিক মিটিগেশন তহবিল থেকে আসবে?
মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান: আমি যদি কারও কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হই তাহলে সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দায়ী থাকে যার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম তার ওপর। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যই অ্যাডাপটেশন ফান্ড গঠন করা হয়েছে। সেই ফান্ড থেকে আমরা অর্থ পেতে পারি। এর বাইরে রয়েছে মিটিগেশন ফান্ড। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে মিটিগেশন ফান্ড থেকে অর্থ গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মিটিগেশন ফান্ডের অর্থ গ্রহণ করলে সেটা খারাপ নয়। বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের ভূমিকা খুবই কম। কিন্তু আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের অনেক বড় ভুক্তভোগী। ফলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন আমাদের প্রয়োজন। বিভিন্ন রকমের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রয়োজন আরও সাইক্লোন শেল্টার প্রয়োজন। আমাদের পরিকল্পিত অগ্রগতি প্রয়োজন।
কালবেলা: বাংলাদেশে নদীর পানি দূষণের ক্ষেত্রে শিল্পের একটি ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রিরও কমবেশি দায়ী রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ফান্ড গঠনে ব্যবসায়ী শ্রেণিকে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি?
মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান: প্রতিটি জিনিসের একটি ধনাত্মক এবং একটি ঋণাত্মক দিক রয়েছে। ব্যবসা করলেই যে খারাপভাবে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ইন্ডাস্ট্রিগুলো চাইলে পরিবেশ দূষণ অনেক কমিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। ইন্ডাস্ট্রি এবং কারখানার কারণে শুধু পানি দূষণ হচ্ছে তাই নয়, বায়ু দূষণ, মাটি দূষণও হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ী শ্রেণিকে আমরা কমিটমেন্টের মধ্যে খুব কমই দেখছি। একটি রেগুলেটরি অথরিটি হিসেবে শিল্প-কারখানাগুলোকে যে ধরনের মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখা উচিত ছিল, তা রাখা হয়নি। যে কোনো একটি কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার তাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করতে পারে। সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর রয়েছে, তারা সবসময় পরিবেশ ও দূষণ নিয়ে কাজ করে।
জলবায়ু সম্মেলনে আমি কয়েকটি সেশন দেখেছি যেখানে পানি পরিশুদ্ধকরণসহ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ও অন্যান্য বিষয় দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে কত বড় স্কেলে এগুলো করা যায়। এগুলো আমদানি করার সঙ্গে ব্যবসা জড়িত রয়েছে। ফলে সবকিছু আমাদের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে। সরকার যদি তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও এনজিওগুলোকে নিয়ে একসঙ্গে বসে এবং একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে, মনিটরিং করে এবং ধারাবাহিক পরামর্শ প্রদানের ব্যবস্থা করে তাহলে বিষয়গুলো অনেক সহজ হয়।
কালবেলা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মধ্যে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে কেমন দেখছেন?
মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান: পরিবেশসংক্রান্ত আলাদা একটি মন্ত্রণালয় রয়েছে আমাদের। মন্ত্রণালয়টির নাম বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। বেশিরভাগ দেশের এরকম আলাদা কোনো মন্ত্রণালয় নেই। এ মন্ত্রণালয়ে আমরা আলাদা কিছু কর্মপরিকল্পনা করতে পারি। এখান থেকে আলোচনার পর আমরা আমাদের দাবিদাওয়াগুলো বিশ্ব মঞ্চে পৌঁছতে পারি। আগামী বছর কপের সম্মেলন হবে আজারবাইজানে। সেখানে যদি আমরা আমাদের পরিকল্পিত এবং সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো উপস্থাপন করতে পারি, তাহলে আমাদের অবস্থান জোরদার হবে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি বেসরকারি এনজিও ও সংস্থাগুলোর একটি প্রতিনিধিদল পরিবেশ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু এ দুপক্ষের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় সরকার কোন বিষয় উপস্থাপন করছে, সেটা বেসরকারি সংস্থাগুলো জানতে পারে না। ফলে এক ধরনের ইনফরমেশন গ্যাপ তৈরি হয়। তাই পরিবেশ সম্মেলনে যোগদানের আগে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদলের মধ্যে আলোচনা প্রয়োজন।
জাতীয় পর্যায়ে চিন্তাভাবনা এবং পরিকল্পনা এক ধরনের জিনিস আর গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে নেগোসিয়েশনের জায়গাটি অন্য জিনিস। সুতরাং এ দুটি বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। আমরা যদি দেশে থেকেই আমাদের দাবি এবং চাওয়াগুলো আলোচনার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট করে তারপর গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে যাই, তাহলে আমাদের অবস্থানটি আরও শক্ত হয়।
কালবেলা: আমরা দেখেছি বাংলাদেশের তাপমাত্রার বৃদ্ধি ঘটছে, খরা বেড়ে যাচ্ছে, সাইক্লোনের ফ্রিকোয়েন্সি বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের করণীয় কী?
মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান: প্রথমত সরকারকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা তৈরি করতে হবে। আমাদের দেশে এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা অনেক বোঝেন ও জানেন। কিন্তু তারা যদি সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ মন্ত্রণালয়ের মধ্য থেকে বা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হয়ে তাদের বক্তব্যগুলো সামনে আনেন তাহলে তা অনেক বেশি কার্যকর হয়। এতে আমরা জোরালো ফলাফল পেতে পারি।
আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য আরও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলো সামনে রেখে এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে মন্ত্রণালয় যদি একটি পরিকল্পনা করে নেয়, তাহলে আমরা অনেক গোছানো পন্থায় এগোতে পারব। জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাত মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আমরা যদি এ অপরচুনিটিটা নিতে পারি এবং সঠিকভাবে নেগোসিয়েশন করতে পারি, তাহলে হয়তো আমরা একটা ভালো ফলাফল পেতে পারি।
শ্রুতিলিখন : মুজাহিদুল ইসলাম
সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি পড়তে ভিজিট করুন কালবেলার ওয়েবসাইট www.kalbela.com