ক্রিস্টাল এম ফ্লেমিং
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বর্ণবাদই নাহেল হত্যার জন্য দায়ী

বর্ণবাদই নাহেল হত্যার জন্য দায়ী

ফ্রান্স। ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী একটি রাষ্ট্র। ফ্রান্স এমন একটি রাষ্ট্র, যা ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতিগুলোর একটি বলে বিবেচিত। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এ দেশটির রয়েছে ব্যাপক প্রভাব। বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ফরাসি সাম্রাজ্যের প্রাক্তন উপনিবেশগুলো।

কিন্তু গত সপ্তাহে ফরাসি পুলিশ একটি ট্রাফিক সিগন্যালে প্রকাশ্য দিবালোকে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে নির্মমভাবে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো চেষ্টা করছে ফরাসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এ বাহিনী। পুলিশ গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, এ কিশোর গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং পুলিশের বানোয়াট তথ্য দিয়েই রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রতিবেদন বানিয়েছে। কিন্তু একজন পথিকের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও বলছে অন্য কথা। প্রকৃতপক্ষে সেই ভিডিওতেই উঠে এসেছে মূল সত্য। এ ভিডিওতে সারা বিশ্ব দেখেছে কীভাবে ফরাসি পুলিশ রাইফেলগুলো তাক করে ধরেছিল। কীভাবে পুলিশ প্যারিসের শহরতলি নানতেরেতে একটি হলুদ গাড়ির যাত্রীদের বন্দুকের ভয় দেখাচ্ছে এবং সবশেষে সেই গাড়ির কিশোর ড্রাইভারকে টেনে নিয়ে মাথায় গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। আর এর ফলে চালকবিহীন গাড়িটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। তবে এর আগে পুলিশ যে দাবি করেছিল, তার পুরোটাই মিথ্যা। কোনো পুলিশ কর্মকর্তা গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিল না। গাড়িতে বসা যাত্রীদের কেউই পুলিশকে কোনোরকম হুমকি বা রূঢ় ব্যবহার করেনি। মোট কথা, গাড়ির যাত্রীরা পুলিশের জন্য কোনোরকম হুমকি ছিলেন না। এ গুলিবর্ষণের ভিডিওগুলো দেখলে আধুনিক ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী এমাইল ডুরখেইম একে ‘সম্মিলিত বিবেকের জন্য ধাক্কা’ বলতেন। এ ঘটনার পর ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে আর কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব করে ‘জনশৃঙ্খলা’ পুনরুদ্ধার করা হবে। কিন্তু তা আসলেই কি সম্ভব?

এটা দুর্ভাগ্য। নাহেলের দুর্ভাগ্য। নাহেল একজন ফরাসি কিশোর। কিন্তু পুলিশের কারণে তার জীবনটা হারাতে হয়েছে মাত্র ১৭টি বসন্ত পার করেই। কারণ সে ছিল আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত একজন ফরাসি নাগরিক। ফ্রান্সের রয়েছে এক দীর্ঘ ইতিহাস। এ ইতিহাস মূলত ঔপনিবেশিক বর্ণবাদ এবং ‘অ-শ্বেতাঙ্গ’ হিসেবে বর্ণবাদী লোকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার একটি জঘন্য ইতিহাস। এর বিস্তৃতি ক্যারিবিয়ানের হাইতি থেকে গুয়াদেলুপ এবং মার্টিনিক থেকে ভারত মহাসাগরের রিইউনিয়ন দ্বীপ, উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকার পাশাপাশি ভিয়েতনাম পর্যন্ত বিস্তৃত এবং রয়েছে আরও অনেক তালিকাভুক্তহীন জনপদ। ফ্রান্স বিশেষ করে আলজেরিয়ার জনগণের ওপর নির্মমভাবে নিপীড়ন করেছে—বিশেষ করে এর মধ্যে যারা ফরাসি নাগরিক। প্রকৃতপক্ষে, আলজেরিয়ার ফরাসি উপনিবেশ শুরু হয় ১৮০০ সালের গোড়ার দিকে এবং এখানে ফরাসি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নৃশংস সহিংসতা ও গণহত্যার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। স্বাধীনতার জন্য আলজেরিয়ার যুদ্ধের সময় (১৯৫৪-১৯৬২), কয়েক হাজার এবং সম্ভবত দশ লাখেরও বেশি আলজেরিয়ান নাগরিকদের হত্যা ও নিপীড়ন করা হয়েছিল। আর এখানে বলা হয়েছিল যে স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য ফরাসি শাসকরা এ পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন। এ অঞ্চলে, বিশেষ করে ফ্রান্সে পুলিশি সহিংসতা বেশি ঘটে আরব এবং কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে। সেই ১৯৬১ সালে ফরাসি পুলিশ একশর বেশি আরব হত্যা করেছিল। তাদের অপরাধ ছিল, তারা প্যারিসে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল করছিল। তখন হাজার হাজার মানুষ আলজেরিয়ার স্বাধীনতার সমর্থনে এবং ভিন্নমত দমন করার জন্য কারফিউ জারি করার প্রতিবাদে মিছিল করছিল। এ প্রতিবাদের সমুচিত জবাবে, পুলিশ রাস্তায় ফরাসি আলজেরিয়ানদের হত্যা করে। এমনকি সিন নদীতে পুলিশ অনেক বিক্ষোভকারীকে ডুবিয়েও দেয়। সবচেয়ে কনিষ্ঠ নথিভুক্ত মৃত্যু ছিল ১৫ বছর বয়সী কিশোরী ফাতিমা বেদার। তখন স্মার্টফোনের প্রচলন ছিল না বললেই চলে। তাই আরও এক যুগ আগে ফরাসি কর্তৃপক্ষ এক নির্লজ্জভাবে তাদের অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করছিল এবং এতে বহুলাংশে সফল হয়েছিল। আর তাদের এ প্রক্রিয়া চলেছে কয়েক দশক ধরে। আবার এসব সত্য স্বীকার করতে একজন ফরাসি প্রেসিডেন্টের ৫০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। এমনকি এখনো পর্যন্ত এসব ঘটনার বিপরীতে ফ্রান্সের প্রশাসন দেশটির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি।

ঔপনিবেশিক বর্ণবাদ এবং পুলিশিংয়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট যা নাহেলকে নানতেরেতে হত্যার দিকে পরিচালিত করেছিল। তবে এ ঘটনা শ্বেতাঙ্গ ফরাসি রাজনীতিবিদ এবং মিডিয়া পণ্ডিতদের প্রভাবশালী সামাজিক প্ল্যাটফর্মের অ্যাকাউন্ট থেকে অনেকটাই অনুপস্থিত।

ফ্রান্সে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের শিকারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ বা আরব হওয়া সত্ত্বেও, ফ্রান্সে পদ্ধতিগত বর্ণবাদের বাস্তবতা নিয়মিতভাবে এবং আক্রমণাত্মকভাবে ফরাসি কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে। এর পেছনে কাজ করে বর্ণান্ধতা এবং সাংস্কৃতিক ঔদ্ধত্যের জোড়া পর্দা।

উল্লেখ্য যে, শ্বেতাঙ্গ ফরাসিরা এ বছরেই একটি ফরাসি উত্তর আফ্রিকান যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ব্যাখ্যা করতে আরও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। এর মূল কারণ শহরতলিতে অভিবাসন এবং দারিদ্র্যের জটিল সমস্যা। অথবা এখানে এমন একজন পুলিশ অফিসার পাঠানো হয়েছিল, যার প্রশিক্ষণের ভিত্তি খুব দুর্বল। প্রবাদ হিসেবে বলা যায় যে, এটি একটি পচা আপেল।

বর্তমানে ফিরে আসি। ফ্রান্সব্যাপী ব্যাপক এ বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে, অবশেষে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এ হত্যাকাণ্ডকে ‘অবর্ণনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু এটিও আরেকটি ফরাসি বানোয়াট এবং ক্রমাগত অস্বীকারের একটি রূপ। প্রকৃতপক্ষে নাহেলের মৃত্যু কোনো অমীমাংসিত রহস্য নয়। এটি ছিল পদ্ধতিগত বর্ণবাদের নেতিবাচক ফল।

কিছু সমীক্ষার ফলাফলের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, ফরাসি পুলিশিং বিশেষ করে আরব এবং কৃষ্ণাঙ্গদের লক্ষ্য করে ব্যাপক জাতিগত পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শন করেছে। ২০২০ সালে ফ্রান্সের নিজস্ব মানবাধিকার সংস্থা দেখেছে যে, তরুণদের যারা আরব বা কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে বর্ণবাদী হয়েছে, তাদের ২০ গুণ বেশি তালিকাভুক্ত রয়েছে এবং পুলিশ তাদেরও আটক করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বর্ণবাদ ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় কমিশন ফরাসি পুলিশ দ্বারা সংঘটিত জাতিগত বৈষম্য সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছে। একই সঙ্গে স্থলভাগে বসবাসকারী সম্প্রদায়গুলো বর্ণবাদী মতাদর্শের ফলস্বরূপ দানবীয় এবং হয়রানির শিকার হয়। এ ব্যাপারটি তারা মেনেও নিয়েছে। অন্যান্যদের মধ্যে গত দুই দশক ধরে ফ্রান্সে পুলিশের সহিংসতার শিকার হওয়া বর্ণবাদী সংখ্যালঘুদের নাম হচ্ছে জায়েদ ও বউনা, আদামা ট্রাওরে এবং থিও। কিন্তু পুলিশের দায়মুক্তির কারণে এসব ঘটনা কিছু বেদনাদায়ক স্মৃতি রেখে গেছে। যখন যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের পুলিশ হত্যাকাণ্ড ঘটতে থাকে, যেমনটি তারা প্রায়ই করে, মিডিয়া এবং উদারপন্থি ও বামপন্থিদের মধ্যে প্রায়ই স্বীকার করা হয় যে, বর্ণবাদ একটি মৌলিক কারণ। কিন্তু ফ্রান্সে ব্যাপারটি ভিন্ন। ফ্রান্সে, উদারপন্থি ও বামপন্থিরা প্রায়ই ফরাসি বর্ণবাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করার জন্য ডানপন্থি চরমপন্থিদের সঙ্গে যোগ দেয়। প্রকৃতপক্ষে, যেমন আমি আমার বই ‘দাসত্বের পুনরুত্থান : ফ্রান্সে জাতিগত উত্তরাধিকার এবং সাদা আধিপত্য’ (Resurrecting Slavery : Racial Legacies and White Supremacy in France) যুক্তি দিয়েছি যে, বিশেষ করে বর্ণবাদী সমাজ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক খ্যাতি একটি মূল কারণ, যা ফ্রান্স এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের নিজস্ব জাতিগত ধর্মান্ধতা ও বৈষম্য হ্রাস এবং অস্বীকার করতে সক্ষম করে তোলে। অনেক বিশিষ্ট আফ্রিকান আমেরিকান লেখক এবং বুদ্ধিজীবী যারা বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকে মধ্যভাগে ফ্রান্সে চলে আসেন, তারাও ফরাসি বর্ণান্ধতার পৌরাণিক কাহিনিকে উসকে দিয়েছিলেন। তবে জেমস বাল্ডউইন এ নিয়মের একজন উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম ছিলেন। ফ্রান্সে তার অভিজ্ঞতার প্রতিফলন করে তিনি লিখেছিলেন : ‘আমি প্রধানত দুর্ভাগ্যের মধ্যে বাস করতাম এবং প্যারিসে, দুর্ভাগারা ছিল আলজেরিয়ান।’

আজ দুর্ভাগারা, যারা নিজেদের বর্ণবাদ, ইসলামফোবিয়া এবং পুলিশ রাইফেলের লক্ষ্যবস্তু মনে করে, তারা এখনো আলজেরিয়ান। ফ্রান্স নিজেকে শোধরানোর সময় পাচ্ছে। তাই দেশটির উচিত রাষ্ট্রীয় সহিংসতার পরিচিত চক্রের বাইরে চলে যাওয়া এবং প্রক্রিয়াগত বর্ণবাদের সৎ স্বীকৃতিকে অস্বীকার করার পাশাপাশি পুলিশিং, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও রাজনীতিতে ব্যাপক বৈষম্য এবং পক্ষপাত দূর করার জন্য নীতি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া। এবং দিনের শেষে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা।

ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানে শুধু আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবনগুলো পুড়িয়ে ফেলা এবং সম্পত্তি ধ্বংস করা নয়, এটি নাহেলের মতো ক্ষতিগ্রস্তদের সত্যিকারের মানবিক মূল্য যা শতাব্দীর ফরাসি নিপীড়নের দ্বারা উৎপাদিত দেহের সংখ্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে কি ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করছে? বর্ণবাদ আমেরিকায় প্রচলিত অন্য যে কোনো নীতির চেয়ে বেশি প্রচলিত। ২০২০ সালের ২৫ মে, নিরস্ত্র একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরে। একপর্যায়ে জর্জ ফ্লয়েড নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি নিঃশ্বাস না নিতে পেরে মারা যান। ঘটনাটি ঘটে মিনিয়াপোলিস অঙ্গরাজ্যে।

ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০১৯ সালেই যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে ১ হাজার ১৪ জন। আর বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে, নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান। তবে এটা আশার বাণী যে, ফ্রান্সে নেহালকে হত্যাকারী অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা এখন কারাগারে আছেন। আর সেখান থেকে তিনি নেহালের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

লেখক : স্টনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ও আফ্রিকানা স্টাডিজের অধ্যাপক। নিবন্ধটি আলজাজিরার মতামত বিভাগ থেকে অনুবাদ করেছেন তৌহিদা জান্নাত

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বৈষম্যবিরোধী ছেড়ে ছাত্রদলে যোগ দিলেন ৪ প্রতিনিধি

ধীরে ধীরে খেলে কি সত্যি ওজন কমে?

চীন সফরে কিম-পুতিনসহ ২৬ রাষ্ট্রপ্রধান

বিকেলে ব্যাংকে ঢুকে লুকিয়ে ছিল সহিদুল, রাতে ডাকাতির চেষ্টা

সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হয়? মেনে চলুন এই ৬ টিপস

মেসি ঝলকে ফাইনালে মায়ামি

চাঁদা না দেওয়ায় গণঅধিকার নেতার হাতে ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত

মাদকসেবন করে মাতলামি করায় যুবকের কারাদণ্ড

আমাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না: সুনীতা আহুজা 

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে পরবর্তী আপিল শুনানি ৪ নভেম্বর 

১০

শহিদের সঙ্গে প্রেম-বিচ্ছেদের কারণ জানালেন কারিনা

১১

গাজায় তীব্র রূপ ধারণ করেছে দুর্ভিক্ষ, অনাহারে মৃত্যু ৩১৩ জনের

১২

রাজধানীতে লরির ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেল সিএনজি, নিহত ১

১৩

টিয়া পাখি নিয়ে ভিডিও করে বিপাকে শিক্ষিকা 

১৪

গ্রিন কার্ডের আবেদনে আসছে বড় পরিবর্তন

১৫

কেমন থাকবে আজকের ঢাকার আবহাওয়া

১৬

গাজাবাসীর জন্য রোজা থাকছেন বিশ্বের ১৫০ আলেম

১৭

ডেনমার্ক দূতাবাসে চাকরির সুযোগ

১৮

সকালে উঠেই কোন ভুলের কারণে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি 

১৯

গাজা সিটির নতুন এলাকায় ট্যাংক নিয়ে ঢুকেছে ইসরায়েলিরা

২০
X