বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
অ্যাড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:০০ এএম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সুশাসন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই এখন মূল রাজনীতি

সুশাসন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই এখন মূল রাজনীতি

বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে শ্রমজীবী মানুষের শ্রম ও ঘামের ওপর। কৃষি উৎপাদন, প্রবাসী রেমিট্যান্স এবং গার্মেন্টস শ্রমিকরাই সচল রেখেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। আরও স্পষ্ট করে বললে, তুলনামূলক স্বল্পশিক্ষিত মেহনতি মানুষরাই বাংলাদেশের আর্থিক খাতের প্রাণশক্তি। আর মধ্য ও উচ্চশিক্ষিত বিরাট এক জেনারেশন এ দেশে বেকার! কিন্তু দুর্ভাগ্য, যাদের পরিশ্রমে রক্ত আর ঘামে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে, তারা আজ অধিকার থেকে বঞ্চিত। নায্য প্রাপ্যটা পাওয়ার জন্য রাজপথে তাদের লড়াই করতে হচ্ছে। ব্রিটিশভারত, পাকিস্তান-পরবর্তী বাংলাদেশে এখনো শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস অনেক উজ্জ্বল। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং ’৭১-এর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শ্রমিক আন্দোলন বড় ভূমিকা রেখেছে। ঐতিহাসিকভাবে শ্রমিকশ্রেণি শুধু নিজের জন্য নয়, সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে থাকে।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানেও শ্রমিক-কর্মচারীরা জোটবদ্ধ হয়ে (স্কপ) ছাত্র-জনতার সঙ্গে মিলে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে লড়াই করে রক্ত ঝরিয়েছে। স্বৈরাচারের পতন, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীরা বারবার রক্ত ঝরিয়েছে। কলকারখানা ও অফিস ছেড়ে শ্রমিকরা রাজপথে নেমে এসেছে। অধিকারের প্রশ্নে ঐতিহাসিকভাবে শ্রমিকশ্রেণি যুগে যুগে আপসহীন।

সত্তরের দশকে গাজীপুরের টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জের আদমজী, খুলনার খালিশপুর, যশোরের নোয়াপাড়া আর চট্টগ্রামের শ্রমিক আন্দোলন এ দেশের রাজনীতির গতিপথ পাল্টে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীরা কর্তৃত্ববাদী শাসন টিকিয়ে রাখার জন্য সুস্থধারার রাজনীতিকে বিনষ্ট করেছে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণা, বিজ্ঞান, জ্ঞানচর্চা ও চিরাচরিত সহাবস্থানের ধারা বিনাশ করেছে এবং অফিস, প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানায় শ্রমিক আন্দোলনের টুঁটি চেপে ধরে রেখেছে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় শ্রমিকশ্রেণি এবং ছাত্রসমাজ কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর শক্তি। ছাত্রসমাজ ও শ্রমিকশ্রেণি জেগে উঠলে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস লেখা সম্ভব। এরই মধ্যে শ্রমিকরা নতুন উদ্যমে সংগঠিত ও সোচ্চার হয়েছে। গার্মেন্টস, পরিবহনসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকরা নিজেদের অধিকার নিয়ে মাঠে নামছে।

দুই.

বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি মানুষের মধ্য প্রায় ১২ কোটি ভোটার এবং বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ৭ কোটি ৩৫ লাখ। ৭ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্য নিবন্ধিত শ্রমিক কর্মচারীর সংখ্যা ৭০ লাখ এবং অনিবন্ধিত শ্রমিকের সংখ্যা ৬ কোটি ৬৫ লাখ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও শ্রম সংস্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বাংলাদেশে শ্রমিক শোষণ ও নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক। শ্রম আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠন করার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও পুলিশ ও আওয়ামী লীগদলীয় ক্যাডারদের সহায়তায় সরকার ভিন্নমতসহ বিএনপি সমর্থক ট্রেড ইউনিয়নের অফিসগুলোর বেশিরভাগই দখল করে নিয়েছে। সরকার সমর্থক শ্রমিক লীগ বিরোধী দল সমর্থক শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম পেশিশক্তি ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বন্ধ করে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হাতে পেয়ে বিরোধীপক্ষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রমে অংশ নিতে বাধা দিয়ে আসছে। ফলে সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে একতরফাভাবে শ্রমিক লীগ সিবিএ নির্বাচিত হয়। আওয়ামী লীগ সমর্থক শ্রমিক লীগ সরকারি ক্ষমতা ও পেশিশক্তির জোরে অবৈধ ও অনৈতিকভাবে সিবিএ নির্বাচিত হয়ে শ্রমিক দলের অন্তর্ভুক্ত বেসিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের গণহারে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে হয়রানিমূলক বদলি শুরু করে। আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল সমর্থক শ্রমিক-কর্মচারীদের বরাদ্দকৃত বাসা বাতিল করে তাদের বাস্তুচ্যুত করে। বিরোধীদলীয় সমর্থক শ্রমিক-কর্মচারীদের ঘন ঘন হয়রানিমূলক বদলির ফলে শ্রমিক নেতাদের সন্তানদের লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।

তিন.

বাংলাদেশে শ্রম আইন অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণের অধিকার থাকলেও শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অংশগ্রহণের কারণে ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের অনেক নেতাকে পুলিশ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলার ফলে তারা চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শ্রমিক আন্দোলন এবং শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলা বর্তমান সরকারের আমলে অপরাধের পর্যায়ে চলে গেছে। গ্রেপ্তারের পরের চিত্র আরও ভয়াবহ। গ্রেপ্তারকৃতদের পুলিশি হেফাজতে থানায় শারীরিক নির্যাতন করা হয়। বিনা বিচারে মাসের পর মাস জেলখানায় আটক করে রাখা হচ্ছে। বিরোধী মতের ট্রেড ইউনিয়ন ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের জেলখানায় প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। প্রয়োজনীয় খাদ্য, অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসা, এমনকি ওষুধ পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। যার সর্বশেষ উদাহরণ কারাগারে আটক বিচারাধীন শ্রমিক দল নেতা ফজলুর রহমান কাজলের বিনা চিকিৎসায় করুণ মৃত্যু।

বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বানচাল করার লক্ষ্যে ২৬ অক্টোবর বিনা ওয়ারেন্টে শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মুগদা থানা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুর রহমান কাজলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দেওয়া মিথ্যা মামলায় আদালত কাজলকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে। আটক অবস্থায় কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনে কাজল অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারা কর্তৃপক্ষ হাতে হ্যান্ডকাফ ও পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বিনা বেডে হাসপাতালের ফ্লোরে দুই হাতে হ্যান্ডকাফ ও পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ২৮ ডিসেম্বর রাতে শ্রমিক দল নেতা ফজলুর রহমান কাজল বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন। কারাগারে আটক শ্রমিকনেতা কাজলের হাতে-পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় মৃত্যুতে সচেতন মহল থেকে প্রতিবাদ হলেও সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষ একেবারে চুপ। প্রকৃতপক্ষে কাজলের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। এটা একটি হত্যার শামিল। এ হত্যার তদন্ত এবং বিচার হতে হবে।

চার.

বৈদেশিক মুদ্রা ও দেশের সুনাম অর্জনকারী গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকরা নায্য মজুরির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আঞ্জুয়ারা খাতুন, রাসেল হাওলাদার, জালাল উদ্দীন ও ইমরান রাজপথে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। গার্মেন্টস মালিকদের পক্ষ নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা কারখানায় হামলা করে হাজার হাজার শ্রমিককে আহত ও অনেককে চিরতরে পঙ্গু করে। শুধু হামলাই নয়, উল্টো পুলিশ ও গার্মেন্টস মালিকপক্ষ আন্দোলনরত শ্রমিকদের নামে মামলা করে হাজার হাজার শ্রমিককে হয়রানি করছে এবং অনেককে চাকরি হতে ছাঁটাই করেছে। ন্যায়বিচার, সুশাসন ও গণতন্ত্র হত্যা করে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে ৭ জানুয়ারি পুনরায় একটি পাতানো ও একতরফা নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করেছে। দেশের সচেতন মানুষের পাশাপাশি শ্রমিক সমাজ পাতানো ও একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। শ্রমিক সমাজের প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে শুধু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। বিরোধী দলসহ শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে না। পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত তাদের কর্মস্থল ও বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে। বিরোধী দল ও শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা বাসায় রাতযাপন করতে পারছেন না। নেতাদের বাসায় না পেয়ে স্ত্রী, সন্তানদের পুলিশ হয়রানি করে ভীতিকর এক ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

পাঁচ.

এত স্বপ্নভঙ্গ আর হতাশার মধ্যে আশার দিক হচ্ছে গণতন্ত্রকামী জনতার পাশাপাশি শ্রমিকরা আবার সংগঠিত হচ্ছে। শ্রমিকশ্রেণি সংগঠিত প্রতিরোধের মাধ্যমে নিজেদের কথা বলছে। রাস্তায় নামছে। রক্ত ও জীবন দিতেও পিছপা হচ্ছে না। শ্রমিকশ্রেণি নতুন ইতিহাস লেখার রসদ জোগাচ্ছে। নবোদ্যমে আন্দোলন ও সংগ্রামের ভিত্তি তৈরি করছে। শ্রমিকদের পক্ষে সোচ্চার হয়েছে দেশ ও বিদেশের গণতান্ত্রিক শক্তি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শ্রমিক অধিকারের পক্ষে কথা বলছেন। শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে, নির্যাতন করলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওয়াজ উঠছে। বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের কর্মী কল্পনা আক্তারের নাম উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কথা বলছেন। এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশের অধিকার বঞ্চিত শ্রমিক আন্দোলনে নতুন আশার দিক। শ্রমিকশ্রেণির সাংগঠনিক ও সমষ্টিগত লড়াই সমাজে ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য। শ্রমিকরা সাহস পাচ্ছে, সংগঠিত হচ্ছে, রাস্তায় নামছে শুধু বেতনের জন্য নয়, দেশ ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যও। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ৪০ বছর পর ২১টি শ্রমিক সংগঠন ‘জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশনে’ মিলিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে।

আওয়ামী লীগ নিজেদের ভোগ দখলের উদ্দেশ্যে রাজনীতি ও রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে জাতিসত্তার বিকাশের মূলে আঘাত করেছে। এই ঘোর দুঃসময়ে দরদি রাজনীতির পাশাপাশি কৃষক, শ্রমিক আর ছাত্র আন্দোলনই পারে বাংলাদেশকে মুক্তির পথ দেখাতে। দেশে এখন কৃষক আন্দোলন নেই, এ সুযোগে সরকার অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিলের মাধ্যমে শ্রমিক আন্দোলনের হাতে-পায়ে বেড়ি পরাতে চায়। আওয়ামী লীগ দেশে আধিপত্য বহাল রাখার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শ্রমিক আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিন্নমতের ছাত্রদের সহাবস্থান, ছাত্র সংসদ গঠন ও সুস্থধারার ছাত্ররাজনীতির প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে উঠতে পারছে না! দেশ ও জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে শ্রমিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়ার ঘটনা আমাদের নতুন স্বপ্ন দেখায়। নিজেদের অধিকার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনেও শ্রমিক আন্দোলন অনেক বেশি প্রয়োজন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন পদক্ষেপ শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার পেতে সহায়ক হবে। নতুন দিনের সূচনা করতে শ্রমিক আন্দোলন অতীতের মতো ভবিষ্যতেও নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। শ্রমিকদের মুক্তি এবং বাংলাদেশের মুক্তির জন্য শ্রমিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সেই লড়াইয়ের একটা শক্ত ভিত্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। আশা রাখছি মুক্তির এ সংগ্রামে মানুষ বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।

অতীতে শ্রমিকশ্রেণি বারবার সভ্যতার গতিপথ পাল্টে দিয়েছে। আধুনিক সমাজে আজও শ্রমিকের সেবা ছাড়া একটি মুহূর্ত কল্পনা করা যায় না। শ্রমিকদের রক্ত আর ঘামের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই সভ্যতা। শ্রমিকদের নায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত রেখে তাদের ওপর জুলুম করা চরম মানবাধিকারের লঙ্ঘনের শামিল। এ জুলুমের অবসান করে একটি কল্যাণকামী ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রগঠনের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন আওয়ামী লীগের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা। আসুন এ লড়াইয়ে অংশ নিয়ে মা-মাটি আর মাতৃভূমিকে মুক্ত করি।

লেখক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাহবাগে এসে ডিএমপি কমিশনারের ‘দুঃখ প্রকাশ’

ইনকিলাব সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাল ছাত্রশিবির

বিএনপি নেতাকে কোপাল যুবলীগ নেতা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী হাটহাজারী বিমানবন্দর

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ডাকসু নির্বাচন / ১৩২ শিক্ষার্থীকে খাওয়ালেন প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা বললেন আচরণবিধি লঙ্ঘন

সাদাপাথর লুটপাট নিয়ে সিলেটে গণশুনানি

একাধিক উপকারিতা কাঠবাদামের, যাদের জন্য ক্ষতিকর

একই দিনে দুইবার পরিবর্তন, রাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ

পারকি সৈকতের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

১০

জয়পুরহাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্ধর্ষ চুরি

১১

হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের নামে প্রতারণা, সতর্ক থাকার নির্দেশ

১২

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের প্রচারণার ভিডিওতে থাকায় বিপাকে শেবাগ

১৩

ভারতের ছাড়া পানি থেকে বাঁচতেই বাঁধ উড়িয়ে দিল পাকিস্তান!

১৪

সিলেটে পানির জন্য হাহাকার, সড়ক অবরোধ

১৫

অপারেশনের পর জ্ঞান না ফেরায় রোগীর মৃত্যু

১৬

শাহপরাণ (রহ.)-এর মাজারে ওরস বৃহস্পতিবার

১৭

অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য পুলিশ ‘ক্ষমা’ চাইবে, জানালেন ফাওজুল কবির

১৮

নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শনে গেলেন উপদেষ্টা শারমিন মোরশেদ

১৯

বাবরকে নিয়ে মন্তব্য করায় হারিসকে লাঠি দিয়ে মারতে চান সাবেক পাক ক্রিকেটার

২০
X