স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জন করতে হলে বাজেটকে হতে হবে স্মার্ট। কিন্তু এ কেমন বাজেট, যেখানে একটি প্রতিষ্ঠিত সিটি করপোরেশনের বরাদ্দের ঘরে শুধুই শূন্য। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ যেখানে ১ হাজার ৩৪৪ কোটি ৮ লাখ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ ৯১৮ কোটি ১৮ লাখ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ ৩৫০ কোটি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ ৪৯৯ কোটি ৯৮ লাখ; এমনকি নবগঠিত বিভাগ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ ৩০০ কোটি টাকা, সেখানে রংপুর সিটি করপোরেশনের বরাদ্দের ঘরে একটি শূন্য। বঞ্চনার ধারাবাহিকতায় চূড়ান্ত ফলাফল। উন্নয়ন বাজেট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত তিন অর্থবছরের বাজেটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ যেখানে ১ হাজার ৩৪৪ কোটি ৮ লাখ (২০২৪-২৫), ১ হাজার ৪০৯ কোটি ৬৩ লাখ (২০২৩-২৪, সংশোধিত) এবং ১ হাজার ২০৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা (২০২২-২৩); অথচ গত তিন অর্থবছরে বাজেটে রংপুর সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ শূন্য (২০২৪-২৫), ২০ কোটি ৯৪ লাখ (২০২৩-২৪, সংশোধিত) এবং ১৭ কোটি ৭ লাখ টাকা (২০২২-২৩)। বৈষম্য এখানেই শেষ নয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবার বরাদ্দ পেয়েছে ২ হাজার ২৩৩ কোটি ৫ লাখ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ পেয়েছে ১১৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, সেখানে রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন তৈরি ২০১৪ সালে শুরু হলেও অদ্যাবধি আলোর মুখ দেখেনি। এমনিভাবে ঢাকা ওয়াসা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উন্নয়ন বাজেট পেয়েছে ২ হাজার ২২০ কোটি ৯ লাখ টাকা, রাজশাহী ওয়াসা পেয়েছে ১ হাজার ২১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সেখানে রংপুর ওয়াসা গঠন নিয়ে আদৌ চিন্তাভাবনা কেউ করছে বলে জানা নেই, কোনো জনদাবিও নেই। এরকম প্রতি খাতে হাজার কোটি টাকার বৈষম্যের শিকার রংপুর বিভাগ। ভিশন ২০৪১-এ ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল ও খুলনা আটটি আঞ্চলিক নগর কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট যুক্তিযুক্তভাবেই সুপ্রতিষ্ঠিত। সুতরাং, প্রধান গুরুত্ব দেওয়া হবে অবশিষ্ট পাঁচটি নগরের নাগরিক সুবিধা সংবলিত অবকাঠামো শক্তিশালী করায়। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর দারিদ্র্য বিমোচনের কৌশল হলো—‘পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুদান বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শক্তিশালী করে তোলা’। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় উল্টো চিত্র।
দেশের খাদ্য চাহিদার ৫০ ভাগ ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রায় ৭০ ভাগ কাঁচামাল উত্তরাঞ্চল থেকে সরবরাহ করা হলেও এ অঞ্চলে অদ্যাবধি কাঁচামাল বা কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেনি। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সব অঞ্চলে উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিনিয়োগ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০’ অধ্যাদেশ দ্বারা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের মাধ্যমে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান ও অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও ২০১০ সালের ৪২ নম্বর আইন ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০’-এর শুরুতে সুস্পষ্ট বলা রয়েছে—‘দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর এলাকাসহ সম্ভাবনাময় সব এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং উহার উন্নয়ন, পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন’। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ সরকারি ৬৮টি ও বেসরকারি ২৯টি অর্থাৎ মোট ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৬টি (সরকারি ১৮টি ও বেসরকারি ১৮টি), চট্টগ্রাম বিভাগে ২৫টি (সরকারি ২১টি ও বেসরকারি ৪টি), রাজশাহী বিভাগে ৮টি (সরকারি ৬টি ও বেসরকারি ১টি), খুলনা বিভাগে ৮টি (সরকারি ৭টি ও বেসরকারি ১টি) সিলেট বিভাগে ৬টি (সরকারি ৪টি ও বেসরকারি ২টি), ময়মনসিংহ বিভাগে ৮টি (সরকারি ৬টি ও বেসরকারি ২টি), রংপুর বিভাগে ৪টি (সরকারি ৪টি) এবং বরিশাল বিভাগে ৩টি (সরকারি ৩টি) বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ সালের অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ ৩২৫ কোটি টাকা, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩-এর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ ২৬৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের তিনটি প্রকল্পে বরাদ্দ ৭৮১ কোটি ১৬ কোটি টাকা। দেখা যায়, ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে। হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ। বিশেষ এ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিনিয়োগ নিয়ে এসেছে ভারত, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ড। বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও অন্যান্য দেশকে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করার। পাশাপাশি রংপুর বিভাগের চিত্র ভিন্ন। রংপুর বিভাগে চারটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন পেলেও অগ্রগতি নেই। রংপুর বিভাগে নয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। রংপুর বিভাগের মধ্যে প্রথম অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা আছে দিনাজপুরে।
স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ নেই রংপুর বিভাগে, তবে বঞ্চনা আছে। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পে বরাদ্দ ১ হাজার ৫০০ কোটি, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পে বরাদ্দ ১ হাজার ১৯ কোটি ২৩ লাখ, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পে বরাদ্দ ১ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। রংপুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা বলা হলেও এ বাজেটে কোনো বরাদ্দ পায়নি।
কৃষি খাত রংপুর অঞ্চলের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে এ খাতে রংপুর অঞ্চলের জন্য উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ নেই। উল্টো অনেক প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেমন—রংপুর, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার উৎপাদিত টমেটো সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণন উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও এবার কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলের নতুন জাতের গম-ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ ও সম্প্রসারণ কর্মসূচিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ১ কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও এবার কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি।
দারিদ্র্যশূন্য দেশ গড়তে প্রবৃদ্ধিকে হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দারিদ্র্য নিরসনমূলক আর অবকাঠামোগত দুর্বলতা দূর করতে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোয় সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করতে হবে। অবকাঠামোগত দিক থেকেও রংপুর বিভাগ অনেক পিছিয়ে রয়েছে, যার অন্যতম প্রধান কারণ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দে আঞ্চলিক বৈষম্য, যা ২০১২-১৩ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে এডিপির বরাদ্দের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) ‘জাতীয় বাজেটে আঞ্চলিক উন্নয়ন ভাবনা: বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অঞ্চলভিত্তিক বরাদ্দের তুলনামূলক চিত্র’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটিতে প্রতীয়মান হয়েছে।
রংপুর বিভাগে দারিদ্র্যের হার বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৩ সালের ২২ জুন প্রকাশিত খানা আয়-ব্যয় জরিপ ২০২২-এর প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, রংপুর বিভাগে দারিদ্র্যের হার ২৪.৮ শতাংশ, যেখানে জাতীয় দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ। ভিশন ২০৪১-এ দারিদ্র্য নিরসন কৌশলের মূল উপাদানের একটি হলো সামাজিক সুরক্ষা বা সোশ্যাল সেফটি নেট বৃদ্ধি। কর্মসংস্থানভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব। আবার অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর দারিদ্র্য বিমোচনের কৌশল হলো পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোয় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেওয়া কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, রংপুর অঞ্চলে দারিদ্র্য বেশি হলেও সামাজিক সুরক্ষার জন্য বেশি বাজেটের আলাদা কোনো প্রকল্প এবারের উন্নয়ন বাজেটে নেই।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রচুর প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন মেটাতে রংপুর বিভাগে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা। রংপুর বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা উন্নীতকরণ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা প্রদান, গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি, ঢাকার ওপর চিকিৎসা চাপ কমানো ও চিকিৎসার জন্য ভারতনির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ইত্যাদির জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণ।
এটা দুঃখজনক যে, দেশ স্বাধীনের ৫২ বছরেও কোনো অর্থমন্ত্রী এক দিনের জন্য রংপুর বিভাগে এসে রংপুরের উন্নয়ন নিয়ে সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেননি। এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন বঞ্চনার কথা শোনেননি। রংপুরের উন্নয়নের জন্য এ অঞ্চলের সব রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, পরিকল্পনাবিদ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সাধারণ জনগণকে Voice Raise করতে হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে প্রকল্প গঠন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
দেশে যখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে তখন রংপুর বিভাগের জনগণ অনেক পেছনে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার; দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে ৩ শতাংশের কম মানুষ আর চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়; মূল্যস্ফীতি সীমিত থাকবে ৪-৫ শতাংশের মধ্যে; বাজেট ঘাটতি থাকবে জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে; রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত হবে ২০ শতাংশের ওপর; বিনিয়োগ হবে জিডিপির ৪০ শতাংশ। শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক স্বাক্ষরতা অর্জিত হবে। সবার দোরগোড়ায় উন্নত প্রযুক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে। স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগব্যবস্থা, টেকসই নগরায়ণসহ নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সব সেবা থাকবে হাতের নাগালে। তৈরি হবে পেপারলেস ও ক্যাশলেস সোসাইটি। স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ ২০তম অর্থনীতির দেশ হবে। আমরা রংপুরবাসী বাজেটে শূন্য বরাদ্দ পেয়ে আদৌ স্মার্ট হতে পারব? তাই আমরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর বিভাগের উন্নয়নের জন্য ‘স্মার্ট রংপুর বিভাগ উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন, উন্নয়ন সমস্যা চিহ্নিতকরণ, অর্থ বরাদ্দ এবং তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
লেখক: প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর