মুফতি আবু সালেহ
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৪, ০২:৪৮ এএম
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলামের আলো

কোরবানির পশু কেমন হবে

কোরবানির পশু কেমন হবে

কোরবানির পশু গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু যেমন—গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া কিংবা দুম্বা হতে হবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানির বিশেষ রীতি নির্ধারণ করে দিয়েছি, যেন তারা এসব গৃহপালিত পশুর ওপর আল্লাহর নাম নিতে পারে। যেগুলো আল্লাহতায়ালা রিজিকরূপে প্রদান করেছেন।’ (সুরা হজ: ৩৪)। কোরবানির পশু সুন্দর, সুস্থ ও নিখুঁত হওয়া চাই। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন কোরবানিকৃত পশু লোম, খুর ও শিংসহ উপস্থিত হবে।’ (ইবনে মাজাহ : ৩১২৬)।

পশুর বয়স: কোরবানি শুদ্ধ হওয়ার জন্য কোরবানির পশুর বয়স পূর্ণ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে উটের বয়স কমপক্ষে পাঁচ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর হতে হবে। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে এক বছর হতে হবে। তবে ভেড়া বা দুম্বা ছয় মাসের বেশি ও এক বছরের কিছু কম হয়, কিন্তু দেখতে এক বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারা কোরবানি করা যাবে। অবশ্য ছাগলের বয়স এক বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই কোরবানি জায়েজ হবে না। (কাজিখান : ৩/৩৪৮)

পশু ত্রুটিমুক্ত হওয়া: কোরবানির পশু যাবতীয় দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত হতে হবে। যে পশুর দুটি চোখই নষ্ট হয়ে গেছে বা এক চোখ পুরো নষ্ট, এমন পশু দ্বারা কোরবানি জায়েজ নয়। যে পশুর এক পা খোঁড়া, তা মাটিতে রাখতে পারে না, তা দ্বারা কোরবানি জায়েজ নয়। হজরত বারা ইবনে আজেব (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলো কোরবানির পশুর মধ্যে কোনগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তার চারটি অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করলেন এবং বললেন, চার প্রকার পশু থেকে—১. স্পষ্ট খোঁড়া প্রাণী; ২. একদম অন্ধ প্রাণী; ৩. খুব অসুস্থ প্রাণী এবং ৪. অত্যধিক দুর্বল প্রাণী, যা আর সুস্থ হবে না।’ (মুসনাদে আহমদ : ১৮৬৯৭)

দাঁত ও শিং থাকা: যে পশুর দাঁত নেই, ঘাস বা খাদ্য চিবাতে পারে না এমন পশু দ্বারা কোরবানি জায়েজ নয়। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২১৫)। যে পশুর শিং গোড়া থেকে ভেঙে গেছে সেটাও জায়েজ নয়। আর যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু অংশ শিং ভেঙে গেছে অথবা শিং একেবারে ওঠেনি সে পশু কোরবানি করা জায়েজ। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২১৬)

কান বা লেজ কাটা না হওয়া: পশুর কান বা লেজ এক-তৃতীয়াংশের বেশি কাটা থাকলে কোরবানি হবে না। যদি জন্মগতভাবে কান ছোট হয় তবে সমস্যা নেই। হজরত আলি (রা.) হতে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা যেন ভালো করে পশুর চোখ ও কান পরীক্ষা করে নিই। আর আমরা যেন কানের পেছন থেকে কেটে ঝুলে থাকা এবং পশুর পেছনের কোনো অংশ কেটে ঝুলে থাকা পশু কোরবানি না করি।’ (ফাতাওয়া আলমগিরি : ৫/২৯৭)

অন্তঃসত্ত্বা পশু: অন্তঃসত্ত্বা পশু কোরবানি করা জায়েজ। জবেহর পর যদি বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তবে সেটাও জবেহ করতে হবে। কিন্তু বাচ্চা প্রসবের সময় আসন্ন হলে সে পশু কোরবানি করা মাকরুহ। (ফাতাওয়া শামি : ৫/২৮১)

লেখক: মুফতি আবু সালেহ, ইমাম ও খতিব

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

যশোরে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতার মৃত্যু

আমিরাতে লটারিতে ৬৬ কোটি টাকা জিতলেন প্রবাসী হারুন

আকাশপ্রেমীদের জন্য এ মাসে দারুণ খবর

আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

এসএসসি পাসেই চাকরি দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ

৪ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

সেপ্টেম্বরে বিশ্ব খাদ্যমূল্য সূচক কমেছে : এফএও

টিভিতে আজকের যত খেলা

১০

‘বিদেশি নম্বর’ থেকে ফোন করে ওসিকে হত্যার হুমকি

১১

ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে ট্রাম্পের আহ্বান

১২

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি

১৩

৪ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৪

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৫

গরুর মাংসে হাড়-চর্বি বেশি দেওয়ায় সংঘর্ষ

১৬

‘বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না’

১৭

এক ইলিশ ১০ হাজার টাকা

১৮

ভাতের হোটেলের পাওনা চাওয়ায় গুলি

১৯

ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না : সেলিমুজ্জামান

২০
X