কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০২:৩৮ এএম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০১:২৩ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আর দেখা হবে কি না, জানি না

আবুবকর সিদ্দিক
আবুবকর সিদ্দিক

আবুবকর সিদ্দিক বাংলা ভাষার একজন বিরলপ্রজ কবি, ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক। শুরু থেকেই তিনি ছিলেন স্বতন্ত্র। প্রথম দিকে কবিতা লিখেছেন, তারপর ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গণসংগীত, ছড়া, স্মৃতিকথা—এমন বহু শাখায় তার প্রতিভার ছায়া পড়েছে। পঞ্চাশের দশকের লেখকদের মধ্যে তিনি বিপ্রতীপ ধারার শক্তিশালী একজন। বরাবর পাশ্চাত্য প্রভাবকে পাশ কাটিয়ে লিখতে চেষ্টা করেছেন। প্রথম কবিতার বই ‘ধবল দুধের স্বরগ্রাম’, ছোটগল্পের বই ‘ভূমিহীন দেশ’ আর উপন্যাস ‘জলরাক্ষস’। তারপরই লেখক হিসেবে তিনি আলোচনায় আসেন। কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় রাজধানীর বাইরে কাটিয়েছেন আবুবকর সিদ্দিক। আগামীকাল বাংলা সাহিত্যের এই সব্যসাচীর জন্মদিন। কাল নব্বইয়ে পা রাখবেন ১৯৩৪ সালের ১৯ আগস্ট বাগেরহাটে জন্ম নেওয়া এই নিভৃতচারী সাহিত্যিক। দীর্ঘদিন তিনি পক্ষাঘাতজনিত কারণে শয্যাশায়ী। দিনরাত্রিময় শুয়ে থাকেন। সম্প্রতি খুলনায় তার বোনের বাসায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কবি নিষাদ নয়ন। সঙ্গে ছিলেন আরেক তরুণ কবি ও গল্পকার সাদী মোহাম্মদ। নিষাদ নয়নের সঙ্গে আবুবকর সিদ্দিকের একান্ত আলাপচারিতার বিশেষ অংশ এখানে পত্রস্থ হলো।

আপনাকে দেখতে এসেছি স্যার, আপনি কেমন আছেন?

এখন আমার আর সেতুবন্ধনের বয়স নেই, সুযোগ নেই। সেই যে একটা বয়স, সেই যে একটা জীবন, যৌবনের—যেটা অতীত হয়ে গেছে। এখন যে বয়স তা তো বিদায়ের, যে কোনো সময় বিদায় নিতে হবে।

আপনার লেখক জীবনের শুরুর দিকের কথা কিছু বলুন। অনুপ্রেরণার কেউ ছিল?

সম্পূর্ণ একা তো সম্ভব নয়। বর্ধমানে বাবা চাকরি করতেন। সেই সূত্রে বর্ধমানে বাসা ছিল—আমার খুব প্রিয় জায়গা। প্রথম গল্প বা কবিতা লিখি বর্ধমানে থাকতে একা একা। এ ছাড়া দুজন মানুষ ছিলেন। কালিদাস মুখোপাধ্যায় কলকাতার মানুষ এবং ব্রজেন্দ্র কুমার দেবনাথ ছিলেন সিলেটের মানুষ। এই দুজন বাগেরহাট পিসি কলেজে আমার শিক্ষক ছিলেন। আমার প্রিয় দুজন শিক্ষক। এই পড়ন্তবেলায় তাদের কথা খুব মনে পড়ে, আমাকে খুবই ভালোবাসতেন তারা। এখন প্রায়ই তাদের ছবি মনে আসে। আমার আদর্শ শিক্ষক ছিলেন কালিদাস মুখোপাধ্যায়। আমরা তাকে কে এম বলতাম।

আপনার অবসর জীবন কোথায়, কীভাবে কাটিয়েছেন?

লেখক জীবনের তো অবসর বলে কিছুই নেই। প্রায় ষাট বছর ধরে লেখালেখি করেছি। এখন আর লিখতে পারি না। ইচ্ছে করে কিন্তু সেই বয়স আর নেই বুঝতে পারি। মনে হচ্ছে, দুশোর বেশি গল্প লিখেছি। তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আমার প্রিয় কর্মস্থল ছিল। সেখানে আমার অনেক স্মৃতি আছে। এরপর নটর ডেম কলেজ আর কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে পড়িয়েছি এক প্রকার অভ্যাসবশত। পড়াতে আমার খুবই ভালো লাগত। পড়ানোর মধ্য দিয়ে নির্মল আনন্দ পেতাম, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একাকার হয়ে যেতাম—আর সবচেয়ে বড় কথা একসঙ্গে অনেক কিছু জানা-বোঝা-শেখার সুযোগ তৈরি হতো।

২০১০ সালে আপনার শ্রেষ্ঠগল্প প্রকাশিত হয়। এই সংকলনে আপনার প্রথম ছোটগল্পের বই ‘ভূমিহীন দেশ’ থেকে একটি গল্পও নেই কেন? কিন্তু আমার তো মনে হয়, ‘ভূমিহীন দেশ’ আপনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্পের গ্রন্থ?

এই সংকলনের নির্বাচন প্রকাশকের। তোমাদের হয়তো জানা নেই। এর আগে ২০০৭ সালে আমার শ্রেষ্ঠগল্পের সংকলন বের হয়েছিল কলকাতার করুণা প্রকাশনী থেকে।

সুদীর্ঘকাল লেখালেখি করেছেন, সে জীবনে আপনার লেখক বন্ধু কারা ছিলেন?

হ্যাঁ, তা তো করেছিই। তবে তেমন কিছু হয়েছে বলে মনে হয় না। আরও অনেক বেশি সময় দেওয়া দরকার ছিল, তা দিতে পারিনি। [আক্ষেপের সঙ্গে বলেন] শ্রেষ্ঠকবিতা, কবিতাসমগ্র, শ্রেষ্ঠগল্প, গল্পসমগ্র বের হয়েছে এই যা। লেখালেখির প্রথম দিকে আমার কারও সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল না। পরবর্তী সময়ে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে, যোগাযোগ হয়েছে। সেটি খুব বেশি না। লেখক হিসেবে বরাবর আমি অনেকটা নিঃসঙ্গ ছিলাম। আমার সময়ের অধ্যাপক, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীরা সাহিত্যচর্চা কম করেছেন। আমি ডুবে থাকতাম সাহিত্য নিয়ে। কিছু ছাত্র আমার সঙ্গে থাকত। সেই তারা আজ কে কোথায়, মনে পড়ে নানা স্মৃতি।

আপনার লেখা বাংলাদেশের প্রথম সারির অনেক পত্রিকায় ছাপা হতো। আবার প্রচুর লেখা কলকাতার পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিল। সম্ভবত আপনার সময়ে আপনারই লেখা বেশি প্রকাশিত হয়েছে, কেন্দ্র থেকে দূরে থেকে তখন এত লেখা কীভাবে ছাপানো সম্ভব হয়েছিল?

প্রথম দিকে আমি পত্রিকার ঠিকানা জোগাড় করে ডাকে লেখা পাঠাতাম। সেভাবেই ধীরে ধীরে হয়ে গেছে। তারপর অনেক সময় লেখা চেয়েছে, দিয়েছি। তবে বেশিরভাগ সময় লেখা পাঠানো সম্ভব হয়নি। নানা ধরনের ব্যস্ততায় সময় বয়ে গেছে, সাড়া দিতে পারিনি।

আপনার প্রিয় কবি-লেখকদের সম্পর্কে জানতে চাই, কাদের লেখা আপনি বেশি পড়েছেন?

মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশ বেশি পড়েছি। আর চল্লিশের কবি-সাহিত্যিকরা তো আমাদের সামনেই ছিল। তাদের লেখা পড়ে অনেক কিছু শিখতে চেষ্টা করেছি। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা পড়ে খুবই বিমোহিত হতাম।

প্রেমেন্দ্র মিত্র, জগদীশ গুপ্ত, সমরেশ বসু, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বা তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়—তাদের লেখা আপনার কেমন লাগত?

এইমাত্রই আমি প্রেমেন্দ্র মিত্রের নাম তোমাকে বলতে যাচ্ছিলাম। প্রেমেন্দ্র মিত্র, সমরেশ বসু, জগদীশ গুপ্তর লেখা পড়ে আমরা অনেক কিছু শিখতাম, অনুপ্রেরণা পেতাম। তবে মানিক-বিভূতি-তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এক-একজন এক-একরকম, কারও সঙ্গে কারও তুলনা করা যাবে না। সতীনাথ ভাদুড়ী আর জগদীশ গুপ্তের লেখা আমরা বাচ্চা বয়স থেকেই পড়তে শুরু করেছি। তাদের লেখার মধ্যে দিয়ে আমরা বড় হয়েছি, গড়ে উঠেছি।

ত্রিশের দশক পেরিয়ে চল্লিশের দশকের ভাঙা-গড়া, ভঙ্গুর জীবনযাপন, ধসে যাওয়া সমাজ-বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে যে পরিবর্তন ঘটেছিল, এ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন? এই বিষয় নিয়ে আমরা ‘সপ্তক’-এর একটি কাজ করছি।

এটা কি ঢাকাকেন্দ্রিক পত্রিকা?

না, সপ্তক মাগুরা থেকে বের হয়। তবে ঢাকা থেকে ছাপা হয়।

বাহ্! খুবই ভালো। এটা তো বিরাট গবেষণার কাজ! তোমাদের এই বয়সটা হলো তৈরি হওয়ার। তোমাদের এই বয়সকে ক্ষুধাকে নিবারণ কর। ঘোরাঘুরি করে বেড়াও, মানুষ দেখো। এই যে তোমরা আমার কাছে এসেছ। খুব ভালো লাগছে।

আপনার সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্, শওকত ওসমান, আবুল ফজলের লেখা কেমন লাগত?

ওহ্ রে, বাহ্! খুবই ভালো লাগত। উনারা আমাদের বেশ সিনিয়র, আমাদের সামনে ছিলেন।

কবি আহসান হাবীব, ফররুখ আহমদ, আবুল হোসেন, সৈয়দ আলী আহসান—তাদের মধ্যে কার কবিতা আপনার বেশি ভালো লাগত?

তাদের মধ্যে আহসান হাবীবের লেখা আমার বেশি ভালো লাগত।

আর পাশ্চাত্য সাহিত্যের কাদের লেখা আপনার বেশি ভালো লাগত?

পাশ্চাত্য সাহিত্য খুব কমই পড়েছি। শেকসপিয়র, টিএস ইলিয়ট, ডব্লিউ বি ইয়েটস, এজরা পাউন্ড, অ্যাডগার অ্যালান পো, রবার্ট ফ্রস্টের লেখা বেশি ভালো লাগত। তারা এক-একজন এক-এক ধরনের। রবার্ট ফ্রস্ট তো লেখাপড়া জানতেন না তবুও অনেক ভালো লিখেছেন।

আপনি কি হোসেনউদ্দীন হোসেনের লেখা পড়েছেন? যশোরের ঝিকরগাছায় থেকে লেখালেখি করেন। ‘যশোরদ্য দেশে’, ‘বাঙালির বিদ্রোহ’, ‘নষ্ট মানুষ’, ‘ইঁদুর ও মানুষেরা’, ‘প্লাবন ও একজন নূহ’, ‘সাধুহাটির লোকজন’ তার লেখা।

ঢাকার বাইরে থেকে নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ করে গড়ে তুলেছেন তিনি। দুঃখের বিষয় আমি তার লেখা পড়িনি। তার সঙ্গে যোগাযোগও হয়নি। আমি অনেক পেছনে পড়ে আছি। খুব বেশি খোঁজখবর নেওয়া হয় না।

অসিত বিশ্বাস নামে মাগুরার প্রত্যন্ত এলাকায় একজন স্বশিক্ষিত লেখক আছেন। তিনি প্রান্তিক মানুষের জীবন নিয়ে লিখে চলেছেন। তার লেখায় উঠে আসে বুনো, বাগদি, কাহার, ধাই, সর্দার, মুন্ডা, পাটনী, সূত্রধরদের জনজীবনের আখ্যান।

বেশ, বেশ। বড় খবর। তোমরা আসাতেই এই বড় খবরটি পেলাম। ঢাকার বাইরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকে লেখালেখি করে উঠে আসা খুব বড় ব্যাপার।

সাহিত্য রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়ার কারণ কী? মফস্বলের অনেক ভালো লেখককেও অনেক সময় কম মূল্যায়িত হতে দেখা যায়। আপনি এই বিষয়টা কীভাবে দেখেন?

[এ-প্রশ্নের প্রত্যুত্তর দিয়েছেন শুধু হাসি দিয়ে]। পশ্চিমবঙ্গের ধারা কিন্তু একদম আলাদা। সেখানে গুণের আর গুণীর কদর আছে এখনো। আমরা যারা ঢাকার বাইরে থেকে সাহিত্যচর্চা করেছি, আমরা হচ্ছি সেলফ মেড। নিজেরাই নিজেকে তৈরি করেছি।

আপনার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘খরাদাহ’—তাতে উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবনসংগ্রাম পাওয়া যায়। এ অভিজ্ঞতা আপনি কীভাবে পেলেন?

পড়তে পড়তে অনেক সময় সেলফ ট্রেনিং হয়ে যায়। এরপর গ্রহণ-বর্জনে এই ধারা তৈরি হয় অধ্যবসায়ের মাধ্যমে।

আপনার কথাসাহিত্যে নিপীড়িত, সুবিধাবঞ্চিত, নিরন্ন মানুষের আর্ত-জীবনের বয়ান পাওয়া যায় নির্মোহভাবে। সেইসঙ্গে শাসক-শোষক ও রাজনীতির খোলনলচে খুলে দিয়ে আপনি তুলে এনেছেন সমাজের দগদগে ঘা। এর জন্য আপনার কী ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয়েছে?

এসব নিয়ে বেশি কিছু বলব না। আমার প্রথম উপন্যাস ‘জলরাক্ষস’ প্রকাশের পরে আমাকে প্রথম মামলায় পড়তে হয়েছিল। পরে অবশ্য তেমন বেশি ঝামেলা হয়নি। আমার তখন বয়স কম ছিল, সে একটা সময় গেছে। তখন আমার অনুপ্রেরণায়, চেতনায় ছিল কল্লোলযুগের কথাসাহিত্য। তখনকার সময় প্রচুর পড়তাম, নেশা ছিল বই পড়া।

জীবনানন্দ দাশের সময়ে আপনি তো পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন, তাকে কখনো কাছ থেকে দেখেছেন?

না, জীবনানন্দ দাশকে দেখিনি। তবে তাকে অশরীরীভাবে খুবই অনুভব করতাম বিশেষ করে কবিতার ক্ষেত্রে।

আপনার কবিতা, গল্প, উপন্যাস এমনকি প্রবন্ধও পাঠককে তুমুলভাবে টানে। আপনি কি নিজেকে সব্যসাচী লেখক হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন?

আমার লেখা আসলে কেমন, এটা আমার বলা ঠিক হবে না। পাঠকরা ভালো বলতে পারবেন। তবে সব লেখা অনায়াসে এসেছে এমন নয়, আমিও লেখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছি, অনেক কাটাছেঁড়া করেছি।

এই সুযোগে আপনার জীবনের কোনো মূল্যবান অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাই।

অবসর নেওয়ার আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একবার বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলাম। ওখান থেকে গিয়েছিলাম আমার জায়গা বর্ধমানে। আমার শৈশব কাটানো বাড়িতে গিয়ে আমি প্রথমেই বাথরুমে প্রবেশ করি। সাধারণত, কোথাও বেড়াতে গিয়ে মানুষ, পায়খানা-প্রস্রাব চেপে রাখে। কিন্তু, আমার ঘটনা ভিন্ন ছিল। পরে বুঝতে পারলাম—বাবার ভয়ে বাথরুমে গিয়ে আমি বই পড়তাম। এত বছর পরেও সেই ভেতরের বিষয়টি অবচেতনে আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছে নেশার মতো। যদিও বাবা প্রচুর বই পড়তেন। আমি তার থেকেই সেই নেশা পেয়েছি। কিন্তু, বাবা সব সময় গল্পের বই পড়া পছন্দ করতেন না। বর্ধমান আমার প্রিয় জায়গা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আমার প্রিয় জায়গা। পড়াশোনা করেছি মফস্বলের গ্রামে থেকে। দেশভাগের সময় বাংলাদেশে ফিরে এসেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।

এখন যারা লেখালেখি শুরু করেছে কিংবা করতে আগ্রহী, তাদের উদ্দেশে কিছু বলবেন কি?

তোমরা যারা নতুন লিখতে এসেছ, ধারাবাহিকভাবে পড়ে যাও। ধারাবাহিক ইতিহাসের মতো সাহিত্যের দশক বা সময় ধরে ধরে পড়ে আসবে সমসাময়িক পর্যন্ত। তাহলে লেখার পরম্পরা ধরতে ও ভবিষ্যতে লেখালেখিতে সুবিধা হবে। সারাক্ষণ লেখালেখির ভাবনাগুলোতে বুঁদ হয়ে থাকবে। পড়। প্রচুর পড়তে থাক। পড়ার কোনো মাপ নেই, পড়ার কোনো ছুটি নেই। পড়াশোনা যখন করবে, ভালো উচ্চারণ শিখবে। সে-টা শুধু শুদ্ধ উচ্চারণ না। ধ্বনি শৈল্পিক ও স্পষ্ট হবে। জীবনও গড়ে উঠুক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে। এই বয়সে কৌতূহল থাকবে, জানার আগ্রহ রাখবে। আর সব কিছুর মধ্য দিয়ে সামনের দিকে, জীবনের দিকে এগিয়ে যাবে।

স্যার, আপনি বিশ্রামে থাকুন। আবারও আসব। অনেক ভালো থাকুন। আপনার জন্য অশেষ প্রীতি ও ভালোবাসা।

এখন তো আমার যে বয়স আর দেখা হবে কি না, জানি না। যে কোনো সময় চলে যেতে পারি [অপলক চেয়ে থেকে আক্ষেপের সঙ্গে বলেন] আমি বরাবরই নিঃসঙ্গ। ভালো থেকো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভিসাপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের জরুরি নির্দেশনা দিল যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের হামলায় মর্মান্তিক ক্ষতি হচ্ছে : নেতানিয়াহ

পানিতে ডুবে ও কুকুরের আক্রমণে ৩০০ ভেড়ার মৃত্যু, নিঃস্ব খামারি

হ্যালো আমেরিকা, তোমার দিকে প্রেতাত্মা ছুটে আসছে : যুক্তরাষ্ট্রকে শি জিনপিং

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন কালবেলার ফজলে রাব্বী

আবারও গড়া হচ্ছে সেই ইটভাটা

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে এক হাত নিল ইউরোপের দেশ ক্রোয়েশিয়া

ঢাকায় আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা

ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে বলছেন ট্রাম্প, সিআইএ বলছে না

ইরান নিয়ে মুখ খুললেন কিম জং উন

১০

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ১২৩ বাংলাদেশি

১১

পল্টনে ডিবির অভিযান / মাদক কারবারিদের গুলিতে আহত দুই পুলিশ 

১২

ফক্স নিউজের জরিপ / ইরান-ইসরায়েল ইস্যুতে দ্বিধাবিভক্ত মার্কিনিরা

১৩

আলোচনায় এল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা এমওপি

১৪

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন / এ সপ্তাহেই ইরানে হতে পারে মার্কিন হামলা

১৫

১৯ জুন : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৬

ইরানে নিহতের সংখ্যা জানাল মানবাধিকার গোষ্ঠী

১৭

ইরানে হামলার অনুমোদন দিয়েছেন ট্রাম্প, তবে...

১৮

বোমা ফেলবে ইসরায়েল, ইরানের দুই শহর খালি করার নির্দেশ

১৯

বৃহস্পতিবার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

২০
X