সাম্য রাইয়ান
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৩, ০১:৫৭ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছোট কাগজের বড় যোদ্ধা সন্দীপ দত্ত

ছোট কাগজের বড় যোদ্ধা সন্দীপ দত্ত

বাংলা লিটল ম্যাগাজিন সম্পর্কে যারা খোঁজখবর রাখেন তারা জানেন, টেমার লেন মানেই ‘কলিকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি এবং গবেষণা কেন্দ্র’। যা চার দশকের বেশি সময় ধরে বাংলা ও বাঙালির লিটল ম্যাগাজিন চর্চা ও তত্ত্বতালাশের আখড়া হিসেবে সুপরিচিত। এই উদ্যোগের প্রাণপুরুষ ছিলেন সন্দীপ দত্ত। ব্রাত্য হয়ে থাকা লিটল ম্যাগাজিনগুলোকে তিনি বুকে টেনে নিয়েছিলেন; একক প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছেন জীবন্ত মহিরুহের মতো প্রতিষ্ঠানটি। তার হাতে গড়া লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত লিটল ম্যাগাজিনগুলোই বাংলা সাহিত্যের মূল ধারার প্রতিনিধি হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠিত। তার অস্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল লিটল ম্যাগাজিন। তাই নিবেদিতপ্রাণ এ মানুষটি ছুটে গিয়েছেন ভারতের বিভিন্ন জেলায়, গ্রামাঞ্চলে, এমনকি বাংলাদেশেরও নানা লিটল ম্যাগাজিন মেলায়। যারা তাকে দেখেছেন—একটি বিশেষ ছবি তাদের মস্তিষ্কে গাঁথা রয়েছে, মাথায় আটকানো মোটা কাগজের লম্বাটে ধরনের টুপি, জ্বলজ্বল করছে ‘লিটল ম্যাগাজিন পড়ুন, লিটল ম্যাগাজিন কিনুন, লিটল ম্যাগাজিন ভাবুন’। এরকম টুপি পরে কলকাতা বইমেলার মাঠজুড়ে তিনি ঘুরে বেড়াতেন। গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় ৭২ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বাংলার লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব সন্দীপ দত্ত।

মাত্র একুশ বছর বয়সে স্কটিশ চার্চ কলেজে বাংলা নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ার সময়ে একদিন আলিপুরের ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যাতায়াতের সূত্রে তার চোখে পড়ে লাইব্রেরির একটা ঘরে অবহেলায় স্তূপীকৃত হয়ে রয়েছে বিপুল লিটল ম্যাগাজিনের সম্ভার। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, জঞ্জালের মতো এসব পত্রিকা ফেলে দেওয়া হবে। কারণ ‘এগুলো নাকি নিয়মিত বেরোয় না, বাঁধাইয়ে অসুবিধা আছে তাই ঠিকমতো সংরক্ষণ করার নানা সমস্যা’। কলেজপড়ুয়া তরুণ সন্দীপ দত্ত লিটল ম্যাগাজিনের এই অপমান সহ্য করতে পারেননি। বিদ্রোহী সন্দীপ প্রতিবাদ করেন এ ঘটনার। দেখা করেন আচার্য সুকুমার সেনের সঙ্গে; তিনি বলেন, ‘কেন ওইসব আবর্জনার স্তূপ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন!’ অতঃপর সন্দীপ দত্ত সিদ্ধান্ত নেন, সাহিত্যের চিরকালীন ধারা বয়ে চলেছে যে লিটল ম্যাগাজিনের মধ্যে দিয়ে, তাদের সংরক্ষণের জন্য তিনিই কিছু করবেন এবং প্রতিবাদস্বরূপ ন্যাশনাল লাইব্রেরি যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরির লিটল ম্যাগাজিনের প্রতি যে ব্যবহার তাতে অবাক হলাম। এত যে কাজ হচ্ছে, ভালো ভালো কাজ। সেসব সংরক্ষণের ভাবনা থেকেই জেদে শুরু করি।’ এরপর এসব এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে সাড়ে সাতশ ছোট পত্রিকা জোগাড় করে তিনি নিজ বাড়িতে লিটল ম্যাগাজিনের প্রদর্শনী করেন। স্থানীয় ক্লাবের ছেলেদের সহযোগিতায় ১৯৭২-এর ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পাঁচ দিন ধরে চলেছিল এ প্রদর্শনী। শিল্পী শুভাপ্রসন্ন প্রদর্শনীটি সাজিয়েছিলেন টাটকা শাকসবজি দিয়ে। জাতীয় গ্রন্থাগারের উপেক্ষা, তাচ্ছিল্য, অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এ প্রদর্শনী বলা চলে। বছর ছয়েক নানাভাবে ভাবতে ভাবতে শেষতক তিনি স্থির করলেন, এগুলোর স্থায়ী সংরক্ষণের জন্য কিছু একটা শুরু করা দরকার। তার ভাষ্যে, ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরির ওই ঘটনাটা আমায় আরও এগিয়ে দেয়। ভাবলাম যে, ন্যাশনাল লাইব্রেরির যদি এমন অবস্থা হয়, তার একটা কাউন্টার এসটাবলিশমেন্ট (Counter Establishment) আমি ছোট করে আমার বাড়িতেই করতে পারি! প্রদর্শনী করতে গিয়ে আমার কাছে কিছু পত্রিকা জমেছিল, এভাবেই শুরু বলা যায়। এসব চিন্তারই ফসল এই লাইব্রেরি।’ তার বাড়ির তিনতলায় ছিল স্টাডিরুম। সেটাই নেমে এলো একতলায়। একটা কষ্টিপাথরের বড় টেবিল ছিল, ছয়টা চেয়ার বানানো হলো, একটা আলমারি আর মায়ের রান্নাঘর থেকে একটা র‌্যাক। দড়িতেও টানানো থাকত পত্রিকা। এই দিয়ে শুরু। ১৯৭৮ সালের ২৩ জুন, ১৮ এম টেমার লেনের পৈতৃক বাড়িতেই শুরু হলো সেই মহাযাত্রা। লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরির সূচনা। কোনো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন নয়, ঘটা করে অনুষ্ঠান নয়। ‘ডায়েরিতে লিখে রাখলাম শুরুর দিনটা—২৩শে জুন, ১৯৭৮ সালে টিপ টিপ বৃষ্টি ছিল। আর লিখলাম—To do something constructive; এভাবেই তিনি স্মৃতিচারণ করেছেন আনুষ্ঠানিকভাবে লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র শুরুর। শুধু ওই ডায়েরিতে লেখাটুকু ছাড়া কোনো ঐতিহাসিক তথ্য অবধি নেই উদ্বোধনের। উদ্বোধনটিও প্রতিষ্ঠানবিরোধী; যেভাবে যাত্রা শুরু হয় একটি লিটল ম্যাগাজিনের—সেরকমই আড়ম্বরহীন।

কলেজ স্ট্রিটের পথে ঘুরে ঘুরে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাচীন পত্রিকাগুলোকে তিনি পরম ভালোবাসায় তুলে আনতেন নিজের বাড়িতে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’, প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার একেবারে শুরুর দিকের অরিজিনাল সংকলন থেকে শুরু করে প্রবাসী, কবিতা, কৃত্তিবাস, কৌরব, শতভিষা, অচলপত্র, দেশলাই বাক্সের আদলের লিটল ম্যাগাজিন, কী নেই তার সংগ্রহে। লাইব্রেরির বইয়ের র‌্যাকে থরে থরে সাজানো জানা-অজানা অজস্র ছোট পত্রিকা। ছোট্ট সে ঘরে প্রায় নব্বই হাজারের কাছাকাছি ম্যাগাজিন।

তবে শুধু এ লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা বলা হলে অবমূল্যায়ন করা হবে তাকে। আসলে তাকে বাংলা লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের অন্যতম ধারক, পৃষ্ঠপোষক এবং অভিভাবক বলা হলেও অত্যুক্তি করা হয় না বোধহয়। প্রকৃতপ্রস্তাবে তিনি লিটল ম্যাগাজিনের অধিকার, সম্মান প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন লড়াই করে গেছেন।

১৯৫১ সাল। ২৪ জুলাই কলকাতা কলেজ স্ট্রিটের ১৮এম ট্যামার লেনের বাড়িতে জন্ম সন্দীপ দত্তের। সেন্ট পলস স্কুল থেকে তার শিক্ষাজীবনের সূত্রপাত। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ করেন। সেখান থেকেই বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন। সাহিত্যের সঙ্গে শৈশবেই গড়ে উঠেছিল তার নিবিড় সম্পর্ক। তবে ক্ল্যাসিকাল লিটারেচারের বদলে তাকে বেশি টানত ছোট পত্রিকা। শখ ছিল সংগ্রহের, সঙ্গে পেপার কাটিং সংগ্রহ করার নেশা। কলকাতার বুকে কোথাও সাহিত্য সভা হলে, সেখানেও নিঃশব্দে হাজির হতেন তরুণ সন্দীপ।

কলকাতার মির্জাপুরের সিটি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, কলকাতার সিনে সেন্ট্রালসহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। একাধিক পত্রপত্রিকার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন।

১৯৭০ সাল। কলেজে পা রাখার পরই স্বতন্ত্র একটি ছোট পত্রিকার সম্পাদনা শুরু করেন তিনি—‘পত্রপুট’। তার বছর দুয়েক পরই ন্যাশনাল লাইব্রেরির সেই আশ্চর্য ঘটনা। যা শুধু সন্দীপ দত্তের জীবনই নয়, বদলে দিয়েছিল বাংলার লিটল ম্যাগাজিনের পরিমণ্ডলকেও।

১৯৮২ সাল। লিটল ম্যাগাজিন নিয়ে তার গবেষণার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। হতাশ হননি তিনি। বরং বছরখানেক বাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই আয়োজন করেছিলেন লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠান। হাজির করেছিলেন শঙ্খ ঘোষ, পবিত্র সরকার, শুদ্ধসত্ত্ব বসু, বার্ণিক রায়, দেবকুমার বসুর মতো ব্যক্তিত্বদের। তবে সবাই সাদরে গ্রহণ করেননি তার এ উদ্যোগ। সুকুমার সেন সাফ জানিয়েছিলেন, লিটল ম্যাগাজিন আসলে জঞ্জাল।

সুকুমারের এ কটূক্তির প্রতিবাদে পরবর্তীকালে ‘পত্রপুট’-এর বইমেলা সংখ্যায় বড় বড় করে ছাপা হয়েছিল ‘জঞ্জাল রাবিশকে প্রশ্রয় দেবেন না’। সঙ্গে ‘লিটল ম্যাগাজিন কিনুন/ লিটল ম্যাগাজিন পড়ুন’ স্লোগানে সাজানো টুপি পরে, বইমেলায় প্রচার শুরু করেন তিনি। বলতে গেলে তার এই অক্লান্ত লড়াই লিটল ম্যাগাজিন করিয়েদের এনে দিয়েছে দাঁড়ানোর প্ল্যাটফরম। আজ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত হওয়া লিটল ম্যাগাজিন মেলাগুলোই প্রমাণ করে, তার সেদিনের জেদ-স্বপ্ন বৃথা যায়নি, বরং তা ছিল অত্যন্ত সময়োপযোগী।

লিটল ম্যাগাজিনের প্রতি তার ভালোবাসা দেখে সত্যিই বিস্মিত হতে হয়! শুধুই কি লিটল ম্যাগাজিনের সংরক্ষণ? না, বরং অপ্রতিষ্ঠিত লেখকদেরও দাঁড়ানোর একটা জায়গা তৈরি করতে চেয়েছিলেন তিনি। বহু লেখক, যারা নিশ্চুপে সাহিত্যচর্চা করেন, তাদের দাঁড়ানোর জন্য ‘লেখক ব্যাংক’ তেমনই একটি প্ল্যাটফর্ম।

সাল ১৯৯০। অন্তরীপ পত্রিকার একটি সংখ্যায় প্রকাশিত হলো এক অভিনব বিজ্ঞাপন। লেটারপ্রেসের হরফে ছাপা ছোট্ট বিজ্ঞাপনের দিকে তাকালে ঘিরে ধরবে একরাশ বিস্ময়। সে বিজ্ঞাপনের বক্তব্য এরকম—“সেইসব লেখক যাঁরা নির্জনে চুপচাপ লিখে যান, কিংবা কোন লেখা কোন পত্রিকায় প্রকাশ করবেন বুঝতে পারেন না, কিংবা সঠিক যোগাযোগ হয়ে ওঠে না, সেইসব লেখকদের জন্য তৈরী হলো লেখক ব্যাঙ্ক। বহির্বঙ্গের লেখকদের যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠুক লেখক ব্যাঙ্ক। আপনার প্রিয় লেখাটি নিচের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন।” পাঠক, লেখক—সবাই অবাক হয়েছিলেন। হ্যাঁ, ভাবনাটি অবাক করার মতোই! অনেক রকমের ব্যাংক হতে পারে। তাই বলে ‘লেখক ব্যাংক’—সে আবার কী? অনামি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের সাহিত্যের মূলস্রোতে নিয়ে আসতেই এহেন উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। তাদের মাথায় ছাতা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মহিরুহের মতো মানুষটি। সে সময় একাধিক ছোট পত্রিকায় প্রকাশ পেত লেখক ব্যাংকের বিজ্ঞাপন। কী জমা হতো এই ব্যাংকে? কবিতা ছাড়াও গদ্য, প্রবন্ধ, গল্প— সবকিছুই জমা দিতেন লেখকরা। সেগুলো থেকে মনোগ্রাহী লেখাগুলো প্রাথমিক বাছাই করে আলাদা করে রাখতেন তিনি। পরে সেখান থেকে পছন্দের লেখাগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে যেতেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সম্পাদকরা। সন্দীপ দত্তের ভাষ্যমতে, ‘সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশরও বেশি লেখা এভাবেই জায়গা করে নিয়েছিল নানা পত্রিকায়।’ তবে এ অভিনব লেখক ব্যাংকের আয়ুষ্কাল ছিল সামান্যই। বছর তিনেক চলার পরই লেখক ব্যাংক বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তিনি। তার পেছনে কারণ ছিল মূলত দুটি। অনেক সময়ই তার থেকে লেখা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার পর অন্য নামে তা ছাপতেন সম্পাদকরা। পাশাপাশি কোথাও যেন থেকে যেত অনিশ্চয়তার অবকাশও। কোনো লেখা ছাপা হলো কি না, সে ব্যাপারেও অবগত হতে পারতেন না লেখকরা। এ দুই সমস্যার জন্যই ১৯৯২ সালে থেমে যায় লেখক ব্যাংকের পথচলা।

এমন বেশ কিছু প্রকাশনা তিনি করেছেন যা রীতিমতো সমীহ আদায় করে নেওয়ার মতো। ২০০০ সালে তার ‘লিটল ম্যাগাজিন ভাবনা’ বইটি প্রকাশিত হয়। ২০০২ সালে প্রকাশিত হয় ‘ভুবনেশ্বরী’ এবং বাংলার বিবাহের নানা রীতিনীতি নিয়ে ‘বিবাহ-মঙ্গল’। ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয় তার সম্পাদিত ‘বাংলা ভাষা বিতর্ক’। ২০০৮ সালে তার সম্পাদনায় ‘জন্মদিন’ প্রকাশ পায়। বাংলার অশিষ্ট ভাষা নিয়ে ‘স্ল্যাংগুয়েজ’ বা ‘জীবনানন্দ প্রাসঙ্গিকী’ কিংবা ‘প্রসঙ্গ লিটল ম্যাগাজিন’ ও ‘লিটল ম্যাগাজিন : স্বতন্ত্র অভিযাত্রা’র মতো বই তিনি লিখেছেন। এ ছাড়া লিখেছেন কবিতা ও ছড়া; ছড়া সংকলন প্রকাশিত হয়েছে ‘ছড়া দিলাম ছড়িয়ে’ নামে। তার প্রথম কবিতার বই ‘কোলাজ’। পরে আরও তিনটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে—‘বহতা’ (২০০৪), ‘ভুবনেশ্বরী’ (২০০৭), ‘কবিতাভাণ্ড’ (২০১৩)। ‘বাংলা সাময়িকপত্রের ইতিবৃত্ত’ বেরিয়েছে দুই খণ্ডে। তার লেখা আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ বই ‘বাংলা গল্প-কবিতা আন্দোলনের তিন দশক’, ও ‘বাংলা কবিতার কালপঞ্জি ১৯২৭-১৯৮৯’। এ ছাড়া তিনি সম্পাদনা করেছেন ‘লিটল ম্যাগাজিনে দেশভাগ’-এর মতো অমূল্য গ্রন্থ। এর পাশাপাশি তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য গবেষণামূলক নিবন্ধ, সাময়িকপত্রের ইতিহাস, ছোট-বড় প্রবন্ধ-নিবন্ধ। সন্দীপ দত্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে একগুচ্ছ লিটল ম্যাগাজিন—‘পত্রপুট’, ‘হার্দ্য’, ‘উজ্জ্বল উদ্ধার’, ‘অল ইন্ডিয়া লিটল ম্যাগাজিন ভয়েস’। তার সংকলিত ‘উজ্জ্বল উদ্ধার’ সিরিজের প্রকাশনাগুলো আজও সাহিত্যপ্রেমী মানুষের কাছে অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪১২

সারা দেশে একযোগে ৫৩ বিচারককে বদলি

‘রুমিন ফারহানাসহ সব নারীর প্রতি স্লাট-শেমিংয়ের বিরুদ্ধে আমার স্পষ্ট অবস্থান’

ফল প্রকাশের দাবিতে রাবির আরবি বিভাগে শিক্ষার্থীদের তালা

খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা : বুলু

সমুদ্রে পর্যটকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা

রিয়াল ছেড়ে ফরাসি ক্লাবে যাচ্ছেন স্প্যানিশ তারকা

বিশ্লেষণ / চীন-ভারতের বাঁধ যুদ্ধ : ব্রহ্মপুত্রের ভাগ্য নিয়ে শঙ্কায় বাংলাদেশ

নাফ নদ থেকে আরও ৭ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

কেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চান, জানালেন সাদিক কায়েম

১০

সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে চার্জশিট দাখিল

১১

স্পন্সর হারিয়ে কত টাকার ক্ষতির মুখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড?

১২

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনপ্রতিনিধি হওয়ার কোনো স্বপ্ন আমার নেই : তারিকুল

১৩

মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ রাখতে সাহায্য করতে পারে এমন ১১ অভ্যাস জেনে নিন

১৪

কোন অস্ত্র উদ্ধারে কত টাকা পুরস্কার?

১৫

ডাকসু নির্বাচনে ভোট ও প্রচারণা নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১৬

টাইগারদের সাবেক কোচের জায়গা নিলেন শেন বন্ড

১৭

এ বছর আর কয়টি সরকারি ছুটি বাকি

১৮

ভুয়া মামলায় কেন গ্রেপ্তার করতে হবে, তৌহিদ আফ্রিদিকে নিয়ে রাশেদের প্রশ্ন

১৯

নিউইয়র্কে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজকে হেনস্তার চেষ্টা

২০
X