শিলং পুলিশ বাজারের একদিকের ঢালু পথ ধরে এগোলেই বাংলাদেশের টিম হোটেল ভিভান্তা। উল্টো দিকের আরেক ঢালু পথ ধরে খানিক নিচে নামলে ভিশাল মার্টের অবস্থান। ম্যাচের দিন দুপুরে মার্টে তপু বর্মণের দেখা মিলল। এ প্রতিবেদককে দেখে পড়িমরি করে ছুটলেন বাংলাদেশের এ সেন্টারব্যাক। দুপুরে শপিংয়ে, সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ম্যাচের ২০ মিনিটেই মধ্যেই মাঠের বাইরে অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে নামা তপু বর্মণ!
ম্যাচের দিন একজন ফুটবলারের ধ্যান-জ্ঞান থাকার কথা মাঠের লড়াই। ওই অবস্থায় শপিংয়ে যাওয়া অবাক করার মতো ঘটনাই! এটা শৃঙ্খলা পরিপন্থি কি না—এ নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে; কিন্তু এটা যে দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারের দায়িত্বহীনতা—এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। তপু বর্মণের ইনজুরির সঙ্গে দলছুট হয়ে শপিংয়ে বের হওয়ার যোগসূত্র আছে না কি—তাৎক্ষণিক বোঝার সুযোগ ছিল না। দল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন এ সেন্টারব্যাক।
ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। হামজা চৌধুরীর কারণে যাকে ঘিরে হাইপ তৈরি হয়েছে। এমন ম্যাচের আগে একজন ফুটবলার কি করে টিম হোটেলের বাইরে যান? উত্তরে ম্যানেজার আমের খান কালবেলাকে বলেন, ‘মধ্যাহ্নভোজের পর ফুটবলারদের হাঁটার জন্য ১০-১৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল। এসময় অনেকে সেলুনে গিয়েছিল বলে জানি। শপিংমলে যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’ সাবেক এ ফুটবলার আরও বলেন, ‘তপু বর্মণ জানত, সে আজ অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামবে। তার মতো একজন ফুটবলারের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে সবাই।’
ম্যাচের ২০ মিনিটে খেলোয়াড় পরিবর্তন করাটা যে কোনো কোচের জন্য সুখকর বিষয় নয়। তপু বর্মণের বাইরে চলে যাওয়ার পর এ সেন্টারব্যাকের জায়গায় মাঠে আসেন ফুলব্যাক রহমত মিয়া। পরে তারিক কাজীর সঙ্গে সেন্টার ব্যাক পজিশনে খেলেছেন শাকিল আহদ তপু।
তপু বর্মণের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। আলোচিত মদকাণ্ডে জড়িত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ থেকে উঠে আসা এ ফুটবলার। যে কারণে বসুন্ধরা কিংস ও জাতীয় দল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন