উসমান দেম্বেলে যে ব্যালন ডি’অর জিততে যাচ্ছেন, তা ঘোষণার আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রদ্রি। তিনি অবশ্য পিএসজির কারও জেতা উচিত বলে দুজনের নাম করেন। একজন উসমান দেম্বেলে অন্যজন ভিতিনিয়া। পুরস্কার ঘোষণার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা তালিকা ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানে দেম্বেলেকে পেছনে ফেলেছিলেন লামিনে ইয়ামাল। কিন্তু সোমবার প্যারিসের বিখ্যাত থিয়েটার দ্যু শাঁতলে-তে ব্যালন ডি’অরের নতুন বিজয়ী দেম্বেলে।
ব্যালন ডি’অর হাতে নিয়ে তিনি কাঁদলেন। অবশ্যই প্রাপ্তির আনন্দে। এরপর সেই শিরোপা তিনি উৎসর্গ করেছেন পিএসজির সতীর্থদের। আগস্টে সম্ভাব্য সেরাদের যে সংক্ষিপ্ত তালিকা দেওয়া হয়েছিল, সেই তালিকায় ছিল লামিনে ইয়ামাল, উসমান দেম্বেলে ও ভিতিনিয়ার নাম। সেখান থেকে ইয়ামালকে হারিয়ে বাজিমাত করেছেন দেম্বেলে। গত মৌসুমে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন রদ্রি। পিএসজি গত বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল। সেই দলের হয়ে অসাধারণ খেলেছিলেন দেম্বেলে। সর্বশেষ মৌসুমে পিএসজির হয়ে সব মিলিয়ে ৩৫ গোল করেন তিনি। তার দাপটেই দল জিতেছিল ঘরোয়া ট্রেবল আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। তিনি ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে অন্যতম ফেভারিট ছিলেন। প্রত্যাশামতো তার হাতেই উঠেছে পুরস্কার। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছেন, ‘আমি কাঁদতে চাইনি, কিন্তু যখনই আমি পরিবার সম্পর্কে কথা বলতে শুরু করলাম, যারা আমার জন্য সবসময় সেখানে ছিলেন, চোখে পানি চলে এলো এবং আমি এটা আটকে রাখতে পারলাম না।’ পিএসজির সবাইকে পুরস্কার উৎসর্গ করে তিনি বলেন, ‘এটা কখনোই ব্যক্তিগত লক্ষ্য ছিল না। ব্যক্তিগত দিক থেকে এ ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া অসাধারণ। তবে এমন কিছু যখন ঘটে, অবশ্যই, যে কেউই খুশি হয়, আনন্দিত হয়। হ্যাঁ, অবশ্যই এটা দলের জন্য। যারা আমার ভক্ত, পিএসজির সমর্থক, পুরো ক্লাব, স্টাফ ও দলের সব খেলোয়াড়ের জন্য এটি।’
টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়েদের ব্যালন ডি’অর জিতেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আইতানো বোনমাতি। তিনি প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে তিনবার বর্ষসেরার এই পুরস্কার জিতলেন। ছাড়িয়ে গেছেন দুবার জেতা বার্সেলোনা ও স্পেনের আরেক ফুটবলার আলেক্সিয়া পুতেয়াসকে। বোনমাতি গত মৌসুমে বার্সেলোনা নারী দলের ঘরোয়া ট্রেবল জয়ে অবদান রেখেছিলেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৬ গোল করার পাশাপাশি ১২টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। এ ছাড়া নির্বাচিত হন উইমেনস চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড়।
এদিকে দেম্বেলের পর পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ে যার অবদান ছিল, সেই জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা জিতেছেন বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার ইয়াশিন ট্রফি। তিনি এখন ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়। পুরস্কার হাতে নিয়ে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, পিএসজিতে থাকতে চেয়েছিলাম। যখন এত ইতিবাচক কিছুর মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, দারুণ সব বন্ধুর সঙ্গে এত এত আনন্দময় সময় কাটাচ্ছি, এরপর ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারটা খুবই কঠিন। পরিবর্তন সবসময়ই কঠিন। পিএসজিতে ভিত আমি খুঁজে পেয়েছিলাম, সত্যিকার অর্থেই অসাধারণ সমর্থক, দুর্দান্ত সব ফুটবলার, স্টাফ, কোচ, ক্রীড়া পরিচালক, ক্লাব সভাপতি—সবই ছিল দারুণ। এজন্যই আমি সেখানে থাকতে চেয়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে এটাও সত্যি, আরেকটি অসাধারণ ক্লাব আমি খুঁজে পেয়েছি। এখানেও দুর্দান্ত সব ফুটবলার আছে এবং তারা আমাকে বিশাল এক পরিবারের মতোই স্বাগত জানিয়েছে। আমার কাছে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
মন্তব্য করুন