জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যে যুদ্ধ ছাড়াও অভিবাসন ইস্যু উঠে আসে। এ সময় তিনি একাধিক রাষ্ট্রের নীতির সমালোচনা করে তাদের তুলাধুনা করেন।
অধিবেশনের শুরুর দিনেই তিনি ভাষণ দেন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশ্বকে কাজ করার আহ্বানের পরই ট্রাম্পের বক্তব্য পরিষদে উত্তেজনা ছড়ায়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের সম্মেলন শুরু হয়। উদ্বোধনী ভাষণে গুতেরেস সংস্থাটির ওপর গুরু দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ইউরোপ গুরুতর সমস্যায় পড়েছে। অবৈধ বিদেশিরা আসছে। তারা এ ব্যাপারে একেবারেই কিছুই করছে না। ইউরোপীয় নেতাদের রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প।
তিনি লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, তিনি ভয়ানক মেয়র। তারা শরিয়া আইনে যেতে চায়। আপনি একটি ভিন্ন দেশে আছেন, আপনি তা করতে পারবেন না।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও সাদিক খান লন্ডনকে শরিয়া আইনের আওতায় আনার কোনো পরিকল্পনা ঘোষণা করেননি। ট্রাম্প কী উল্লেখ করছেন তা স্পষ্ট নয়।
অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি তাৎক্ষণিকভাবে কিছু না করা হয় তবে পশ্চিম ইউরোপের মৃত্যু হবে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জার্মানি, গ্রিস এবং সুইজারল্যান্ডের নাম উল্লেখ করে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করেন।
ট্রাম্পের মতে, বেশ কয়েকটি দেশ সীমান্ত উন্মুক্ত করে পরীক্ষা করছে। যদিও ওই সব দেশের কঠোর অভিবাসন আইন রয়েছে। তিনি বলেন, তোমাদের দেশগুলো নরকে যাচ্ছে। আমরা সীমান্ত অতিক্রমকারী সবাইকে আটক-নির্বাসন শুরু করার অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আরও সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছি।
ট্রাম্প ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক অভিযানের প্রশংসাও করেছেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বিষাক্ত ওষুধ পাচারকারী প্রতিটি সন্ত্রাসী গুন্ডা দয়া করে সতর্ক থাকুন। আমরা তোমাদের অস্তিত্বই উড়িয়ে দেব।’
মন্তব্য করুন