মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেছেন, কোরআন অবমাননাকারীদের তওবা করা ও তৌহিদি জনতার বিরুদ্ধে করা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক মাঠের প্লেয়ার, আমাদের আঞ্চলিক প্লেয়ার বানাইয়েন না।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নেত্রকোনা বারহাট্টার চন্দ্রপুর বাজারের প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম মাদানি বলেন, এ সমাবেশের দুই দফা মেনে নিতে হবে। তা না হলে ৭ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচির দাবি হবে, বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বারহাট্টা থানার ওসির প্রত্যাহার। পরবর্তীতে নেত্রকোনা জেলায় কর্মসূচি দিয়ে শহরকে অচল করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, কোরআন অবমাননাকারীদের যারা প্রশ্রয় দেবে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। ইসলামবিরোধী অবস্থানে থাকার কারণে হাসিনার মসনদ যেভাবে কাঁপিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছি, ইসলামবিরোধী অবস্থান যদি এ সরকারও নেয় তাহলে তার মসনদও আমরা নাড়িয়ে দেব, ইনশাআল্লাহ।
প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে মাওলানা রফিকুল বলেন, দ্রুত এ বিষয়টির সমাধান করুন।
মুফতি তাহের কাসেমীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়জী। আরও উপস্থিত ছিলেন মুফতি রিজওয়ান রফিকী, মুফতি আরিফ জব্বার কাসেমী, মুফতি সালমান ফারসী, মুফতি আনিসুর রহমানসহ স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও জনতা।
মুফতি তাহের কাসেমী বলেন, দুই দফা দাবি না মানলে আন্দোলন চলবে। পরে ৭ দফা দাবি নিয়ে মাঠে নামব।
দাবিগুলো হলো—১. ২৫ শে সেপ্টেম্বর নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও বারহাট্টা স্মারকলিপি প্রদান। ২. ২ অক্টোবর নেত্রকোনায় জরুরি বৈঠক। ৩. ৪ অক্টোবর নেত্রকোনা জেলায় সাংবাদিক সম্মেলন ৪. ৮ অক্টোবর বারহাট্টায় মানববন্ধন। ৫. ১৩ অক্টোবর বারহাট্টায় বিক্ষোভ মিছিল। ৬. ১৯ শে অক্টোবর বারহাট্টা অবরোধ। ৭. ২ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই রাতে চন্দ্রপুর গেইরা বাজারে কোরআন শরিফ নিয়ে অবমানার অভিযোগ ওঠে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মামলা করলে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করে তৌহিদি জনতা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে আসামিদের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে এ নিয়ে তৌহিদি জনতার বিরুদ্ধে আদালতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন