বাংলাদেশের আবহাওয়া গরম ও আর্দ্র। তাই একটু নড়াচড়া করলেই অনেকের শরীর ঘামে ভিজে যায়। অফিসে যাওয়ার পথে বা উৎসবে ভিড় ঠেলে দাঁড়ানোর সময় পরিস্থিতি যেন আরও বিব্রতকর হয়ে ওঠে। নতুন পোশাক ভিজে যাওয়া এবং সাজগোজ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি আসে দুর্গন্ধ আর ক্লান্তিও।
চিকিৎসকদের মতে, এটি শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলেও কিছু মানুষ অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি ঘামেন। তবে চিন্তার কিছু নেই, কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলো—
১. চিকিৎসকদের মতে, যারা তরলজাতীয় খাবার কম খান তাদের ত্বকের নিচে বেশি পরিমাণ তাপ সঞ্চিত হয়। যার ফলে ঘামও বেশি হয়। তাই শরীরকে আর্দ্র রাখা ঘাম কম হওয়ার প্রথম শর্ত। সুতরাং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বেশি করে পানি খান। তরল খাবার খেলেও চলবে। তাতে ঘাম কম হবে।
২. অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খান। বিশেষ করে কেক, চিপস ভুলেও খাবেন না।
৩. খাদ্য তালিকায় অবশ্যই যোগ করতে পারেন অলিভ অয়েল। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ অলিভ অয়েল আপনার হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. বেশি তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না। হালকা খাবার খেতে চেষ্টা করুন। অবশ্যই সবজি, ফল এবং দই খেতে ভুলবেন না।
৫. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ঘাম কমাতে সাহায্য করে। তুলোয় অ্যাপেল সিডার ভিনিগার লাগিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘষে নিতে পারেন। তাতে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
৬. মদ্যপান কিংবা ধূমপানের মতো বদভ্যাস ত্যাগ করুন। ধূমপানের ফলে শরীরে কেমিক্যাল অ্যাসিটাইক্লোলিন নির্গত হয়। আর যা ঘামকূপের মুখ খুলে দেয়। দেহের তাপ এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়। তার ফলে ঘামও হয় অনেক বেশি।
৭. মানসিক উদ্বেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর তা করতে পারলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে যোগব্যায়াম করতে পারেন। ধ্যান অভ্যাসও করতে পারেন।
৮. অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পর্যাপ্ত ঘুমও অত্যন্ত প্রয়োজন। সারাদিনে কমপক্ষে ৮-৯ ঘণ্টা টানা ঘুম দরকার।
৯. অবশ্যই সুতির নরম পোশাক পরুন। ভুলেও অন্যকোনো ধরনের কাপড়ের পোশাক পরবেন না। তাতে ঘাম হওয়ার সমস্যা আরও বাড়বে। সঙ্গে দুর্গন্ধের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
১০. নিয়মিত ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই গোস করে উঠে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে হবে। নইলে সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
মন্তব্য করুন