জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) নিয়ে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর কুষ্টিয়া শাখার নেতা মুফতি আমির হামজাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রশাসন, শিক্ষার্থী (বর্তমান ও সাবেক), অভিভাবক (বর্তমান ও অতীত) এবং বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট কমিউনিটির উদ্দেশে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে এ ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, সিনেট সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মুফতি আমির হামজার কুষ্টিয়ার ঠিকানায় ওই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে মিথ্যা বক্তব্যসংবলিত ওই ভিডিও ক্লিপটি ইউটিউবসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অবিলম্বে সরাতে ব্যবস্থা নিতে মুফতি আমির হামজাকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে আবেদন করতেও বলা হয়েছে।
বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন নিউজ ও ইউটিউব ভিডিওর বরাত দিয়ে নোটিশে বলা হয়, আমির হামজা নিজেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী দাবি করেছেন এবং আবাসিক হলে শিক্ষার্থীরা সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটান—এমন মিথ্যা, অবমাননাকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দেন। এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, আমির হামজার ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি দিলেও মুফতি আমির হামজা কোনো ধরনের প্রতিবাদ জানাননি, অর্থাৎ তার বক্তব্য ইতোমধ্যে অসত্য ও মানহানিকর প্রতীয়মান হয়েছে।
সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে এ ধরনের বক্তব্যে নোটিশদাতার (শিহাব উদ্দিন খান) অনুভূতিতেও আঘাত লেগেছে বলে আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশের দাবি অনুসারে প্রতিকার না পেলে ফৌজদারি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য দেওয়ানি আদালতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নোটিশদাতা।
মন্তব্য করুন