

পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করার কথা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। স্টেডিয়ামের নকশা থেকে শুরু করে নানা কাজের পেছনে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার মতো অর্থও ব্যয় করেছিল নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড। কিন্তু রাষ্ট্র ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সবকিছু থমকে গেছে। মাঠের কাজ তো হচ্ছেই না। উল্টো স্টেডিয়ামের লাখ টাকার মাটি চুরির খবর প্রকাশ পাচ্ছে এখন গণমাধ্যমে।
পূর্বাচলে স্টেডিয়ামের অবকাঠামো তৈরির আগেই ঘরোয়া ক্রিকেট চালুর ভাবনা ছিল বিসিবির। সে লক্ষ্যে দুটি মাঠ তৈরির উদ্যোগও নেয় বোর্ড। উইকেট তৈরির জন্য মাটিও কেনা হয়। কিন্তু সরেজমিন দেখা গেল, মাটিতে বিশাল চুরির দেখা মিলল। ২০ হাজার সিএফটি পরিমাণ মাটি কিনেছিল বিসিবি। কিন্তু মাঠে ফেলা হয়েছে মাত্র সাড়ে ৭ হাজার সিএফটি। অর্থাৎ সাড়ে ১২ হাজার সিএফটি মাটি উধাও! যার বাজারমূল্যও প্রায় ২৪ লাখ টাকা। এত মাটি কোথায় গেল—সে প্রশ্নই এখন আলোচনার জন্ম দিল। গতকাল বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট স্টেডিয়াম পরিদর্শনে যান।
সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এটা আমি শুনেছি (মাটি চুরি)। আমাদের একটি টিমও এসেছিল। আমরা যখন দায়িত্ব পাই তার আগে থেকেই এরকম ঘটনা হচ্ছে বলে শুনেছি। আমি কাগজে দেখেছি যে, মাটি মাপ দিয়ে সাড়ে ৭ হাজার সিএফটি পাওয়া গেছে। প্রায় সাড়ে ১২ হাজার সিএফটি মাটি দেখছি না। আমরা তদন্ত করছি এবং খুব শিগগির একটা তদন্ত কমিটিও করব।’ মাটি চুরি হয়েছে জেনেই বাকি মাটিও ব্যবহার করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এ জন্যই (পরিমাণে কম) মাটিটা ব্যবহার করতে চাচ্ছি না। কারণ, ব্যবহার করলে কোনো প্রমাণ থাকবে না। শুনেছি মাটি নাকি অনেক বাজেও আছে, অনেক মাটি পিচে ব্যবহার উপযোগীও না।’ এই মাটি নয়ছয়ে জড়িতদের খুঁজে আনা উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সঠিক জিনিসটা বেরিয়ে আসা উচিত—কারা কারা এখানে জড়িত; বাইরের কারা আছে এবং আমাদের কারা কারা জড়িত আছেন, সেটা আমার মনে হয় বের করা উচিত।’
মন্তব্য করুন