বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট কুমিল্লায় পুলিশের গুলিতে আহত মো. সাব্বির (১৭) মারা গেছে।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় নিজ বাড়িতে মারা যায় সে। সাব্বির দেবিদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলমগীর মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর সারা দেশের মতো দেবিদ্বার উপজেলায়ও ছাত্র-জনতা উল্লাসে মেতে ওঠেন, চলে আনন্দ মিছিল। একপর্যায়ে কিছু দুষ্কৃতকারী থানায় আক্রমণ করে পুড়িয়ে দেয় পুলিশের পিকআপভ্যান। এ সময় থানায় থাকা পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে পুলিশ গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় সাংবাদিকসহ প্রায় ৬০ জন ছাত্র-জনতা।
ওই সময় সাব্বির মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওইখানে এক মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাব্বির বাড়িতে ফেরে। কিন্তু বাড়ি ফেরার এক দিন পরই শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।
সাব্বিরের মা রিনা বেগম বলেন, দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গতকাল ছেলেকে নিয়ে বাড়ি আসি। কিন্তু সকালে আমার ছেলেটি মারা গেল। দুবছর আগে সাব্বিরের বাবা মারা যাওয়ায় তার আর লেখাপড়া করা হয়নি। সিএনজি চালিয়ে সংসারের হাল ধরে সে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, সাব্বিরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মরদেহ দাফন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাব্বিরের পরিবারের পাশে আমরা সবসময় থাকব।