সাইফুল ইসলাম রয়েল, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৫, ০৭:৫৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রক্ষাকবচ এখন গলার কাঁটা

কুয়াকাটা সৈকত
রক্ষাকবচ এখন গলার কাঁটা

দেশের সর্বদক্ষিণের জনপদ বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাগরকন্যা কুয়াকাটার ছবি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই সৈকতের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। তবে সৈকতকে ভাঙন থেকে রক্ষা করতে ব্যবহৃত বালুভর্তি জিও ব্যাগ দূরদূরান্ত থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সৈকতের জন্য রক্ষাকবচ হলেও এসব জিও ব্যাগে জমে থাকা পলি মাড়িয়ে হাঁটতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে আঘাত পাচ্ছেন অনেক পর্যটক।

শুধু জিও ব্যাগই নয়, বিস্তীর্ণ সৈকতজুড়ে উঁচু-নিচু গর্তের পাশাপাশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পুরোনো স্থাপনা বা কংক্রিটের অসংখ্য ভাঙা টুকরা সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। এ ছাড়া লোনা জলে ডুবে থাকা এসব ভাঙা টুকরায় আঘাত লেগেও প্রতিনিয়ত আহত হচ্ছেন ঘুরতে আসা ভ্রমণপিপাসুরা। ফলে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা কুয়াকাটার নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে মুগ্ধ হলেও এসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, দিচ্ছেন অভিযোগও।

এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারের পক্ষ থেকে সৈকতের সুরক্ষাসহ সংস্কার পদক্ষেপের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই তারা কাজ শুরু করতে পারবেন।

ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটক হাসান মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে কালবেলাকে বলেন, ‘শুক্রবার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। কিন্তু শান্তিতে এক পা ফেলারও জো নেই। ঢেউয়ের তোড়ে বালু সরে গিয়ে নিচে থাকা কংক্রিটসহ বিভিন্ন ভাঙা বস্তুর ধারালো টুকরো বেরিয়ে আছে, যা বাচ্চাদের ছোটাছুটিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আমিও হাঁটতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গেছি।’

বরগুনা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক বশির উদ্দিন জানান, বন্ধুদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে তিনি জিও ব্যাগে পা পিছলে পড়ে যান। সমুদ্রে গোসল করতে নেমে তার বন্ধু শাওনসহ আরও দুজন পানির নিচে লুকিয়ে থাকা কংক্রিটের মতো শক্ত বস্তুর আঘাতে পা কেটেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব ভাঙা টুকরা ও জিও ব্যাগ অপসারণের দাবি জানান তিনিসহ অনেক পর্যটক।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে পুরোনো স্থাপনার কিছু অংশ অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। জিও ব্যাগের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) জানানো হয়েছে।

কলাপাড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ-আলম বলেন, সৈকতের অব্যাহত ভাঙন ঠেকানোর জন্য দ্রুত জিও ব্যাগ ব্যবহারের বিকল্প ছিল না। জিও টিউব ব্যবহারের ফলে ভাঙন রোধ হয়েছে।

শাহ-আলম বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের চলমান সমস্যা তুলে ধরে সৈকত সংস্কারের লক্ষ্যে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন পাঠিয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুতই অর্থ বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করতে পারব।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন প্রজন্ম শান্তিপূর্ণ রাজনীতি প্রত্যাশা করে : ইশরাক

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা আজ

‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের আপনজন’

২০ বছরের ব্যবসা বাঁচাতে ছাড়লেন চেয়ারম্যান পদ

তাসনিম অনন্যার অনুসন্ধানে মহাবিশ্বের চাঞ্চল্যকর রহস্য উন্মোচন

২০২৬ বিশ্বকাপে কবে মুখোমুখি হতে পারে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল?

বিশ্বকাপের গ্রুপ অব ডেথে ফ্রান্স

নুরুদ্দিন অপুর হাত ধরে আ.লীগ নেতার বিএনপিতে যোগদান

২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: দেখে নিন কোন গ্রুপে কোন দল

২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ যারা

১০

রাতে আবার হাসপাতালে গেলেন জুবাইদা রহমান

১১

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ছে, তালিকায় ৩০টির বেশি দেশ

১২

খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, বন্ধ হয়েছে রক্তক্ষরণ

১৩

‘বাঁধের মাটি বড় বড় খণ্ড হয়ে ঝুপঝাপ শব্দে ভেঙে পড়ে’

১৪

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

১৫

দেড় হাজার দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন

১৬

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফ্রি যাত্রীসেবা

১৭

বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ 

১৮

যুবদল নেতা সুমনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৯

দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

২০
X