ডা. আয়েশা আক্তার
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ০৮:৩৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

করোনাভাইরাস: আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে

করোনাভাইরাস: আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে
ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাস নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যেহেতু বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে, তাই আমাদের দেশে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে আগাম সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে, যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের একমাত্র পথ হলো স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মেনে চলা। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রয়োজনীয় সতর্কতা : যেহেতু করোনাভাইরাস হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তাই একজন থেকে আরেকজনে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণ যখন বেশি হবে তখন মৃত্যুঝুঁকি বাড়তে থাকবে। তাই আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কারা ঝুঁকিতে : দেশে করোনার নতুন ধরনে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু-বয়স্কসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা। বিশেষ করে যারা নানা ধরনের দীর্ঘমেয়াদির সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগে ভুগছেন। যেমন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা, ক্যানসার, কিডনি, লিভার, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত (সিওপিডি), অ্যাজমা রোগীরা। এ ছাড়া গর্ভবতী, শিশু ও বয়স্ক, যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম, তারাও ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাদের প্রতি বাড়তি যত্নে নিতে হবে।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে : যদি জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা বা যে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

পজিটিভ হলে করণীয় : পরীক্ষায় যদি কারও কভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়ে থাকে, তাহলে বাসায় অবস্থান করতে হবে এবং নিজেকে আইসোলেশনে (সঙ্গ নিরোধ) রাখতে হবে। তার কাছ থেকে বাসার অন্য সদস্যরা দূরত্বে অবস্থান করবেন এবং মাস্ক পরে থাকবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন সেবা চালু আছে, স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ নাম্বার চালু আছে, যে কোনো মানুষ সেগুলোতে সহজে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেতে পারেন।

কখন হাসপাতলে যাবেন : তুলনামূলক তীব্র বা জটিল লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া, নিউমোনিয়া, অতিমাত্রায় কাশি, অতিমাত্রার জ্বর, শরীরে অস্বাভাবিক দুর্বলতা। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। এ ছাড়া যাদের আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির রোগ, হার্টের রোগ রয়েছে, তাদেরও হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। করোনা পজিটিভ গর্ভবতী নারীদেরও চিকিৎসায় অধিক গুরুত্বের প্রয়োজন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা আজ

‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের আপনজন’

২০ বছরের ব্যবসা বাঁচাতে ছাড়লেন চেয়ারম্যান পদ

তাসনিম অনন্যার অনুসন্ধানে মহাবিশ্বের চাঞ্চল্যকর রহস্য উন্মোচন

২০২৬ বিশ্বকাপে কবে মুখোমুখি হতে পারে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল?

বিশ্বকাপের গ্রুপ অব ডেথে ফ্রান্স

নুরুদ্দিন অপুর হাত ধরে আ.লীগ নেতার বিএনপিতে যোগদান

২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: দেখে নিন কোন গ্রুপে কোন দল

২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ যারা

রাতে আবার হাসপাতালে গেলেন জুবাইদা রহমান

১০

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ছে, তালিকায় ৩০টির বেশি দেশ

১১

খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, বন্ধ হয়েছে রক্তক্ষরণ

১২

‘বাঁধের মাটি বড় বড় খণ্ড হয়ে ঝুপঝাপ শব্দে ভেঙে পড়ে’

১৩

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

১৪

দেড় হাজার দৌড়বিদের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন

১৫

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফ্রি যাত্রীসেবা

১৬

বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ 

১৭

যুবদল নেতা সুমনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৮

দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

১৯

গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন সমন্বয়ক সাইফুল হক

২০
X