বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, পোশাক খাতে চলমান শ্রমিক অসন্তোষ ও শ্রম অধিকার এবং সার্বিকভাবে মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে ঢাকায় সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল। গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে তারা এসব বিষয়ে আগ্রহ দেখান। মুখ্য সচিব তাদের কাছে সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।
একই দিন প্রতিনিধিদলটি তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা পামপালোনি। বৈঠকে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মুখ্য সচিব শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। চলমান আন্দোলন নিয়ে তিনি জানান, এ জন্য শ্রমিকরা দায়ী নয় এবং এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। একটি মহল নির্বাচনের আগে নিরীহ শ্রমিকদের ব্যবহার করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। মুখ্য সচিব জানান, মানবাধিকার, শ্রমাধিকার ও কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিজিএমইএর সঙ্গে বৈঠকে প্রতিনিধিদলটি ট্রেড ইউনিয়ন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চায়। আর শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন। সফররত প্রতিনিধিদলটি কারখানা মালিক ও শ্রমিক নেতাদের জানান, ইইউ চায় বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক অব্যাহত থাকুক এবং আরও বিকশিত হোক।
প্রতিনিধিদলটি আজ বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবে। বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব এবং শ্রম সচিবের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করবে দলটি।