বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২
রীতা ভৌমিক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৭ এএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

অবশেষে যমুনার কালীগঙ্গা মোহনায় হচ্ছে বেড়িবাঁধ

কালবেলায় প্রতিবেদনের পর নির্মাণকাজ শুরু
অবশেষে যমুনার কালীগঙ্গা মোহনায় হচ্ছে বেড়িবাঁধ

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ চলছে। যমুনায় বিলীন হওয়া ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, জমি, বাজার, দোকানপাট, অফিস ইত্যাদি নিয়ে গত বছরের ২৮ জুন ‘যমুনার গ্রাসে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ’ এবং ১৫ অক্টোবর ‘ভাঙছে নদী ভাঙছে ভবিষ্যতের স্বপ্ন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয় দৈনিক কালবেলা সংবাদপত্রে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। এরপর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি দপ্তিয়র ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রতিদিন বাঁধ নির্মাণের কাজ দেখতে বিভিন্ন পেশার হাজার হাজার মানুষ এখানে সমবেত হচ্ছে।

নিশ্চিন্তপুরে স্থায়ী বাঁধের মূল ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আহসানুল ইসলাম (টিটু) এমপি। আগামীতে যমুনা ব্রিজ থেকে আরিচা ঘাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে লিঙ্ক রোড নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান এই নতুন জনপ্রতিনিধি।

সরেজমিন দেখা যায়, চারটি ভেকু দিয়ে যমুনার মোহনা কালীগঙ্গার মুখে ৫০০ ফুটের বেশি গভীর খনন কাজ চলছে। জিওব্যাগও ফেলা হচ্ছে নদীর তীরে।

জালাই গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ সেতাব আলী। ইমামতির পাশাপাশি কৃষিকাজ করেন। কালবেলাকে তিনি জানান, তার বাড়ি থেকে নিশ্চিন্তপুর মাত্র তিন কিলোমিটারের পথ। তার ইউনিয়নের বাটকাটারিতে যমুনার মোহনা কালীগঙ্গা নাম হয়ে ঘিওরের তরার দিকে গেছে। পলি পড়ে সে মোহনার মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে নদীভাঙনে অনেক গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এখন কালীগঙ্গার মুখ খনন করে শুধু জিওব্যাগ ফেললে স্রোত নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, সেজন্য ব্লকও দিতে হবে।

বাঁধ নির্মাণের তদারকিতে আছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট মোহাম্মদ নাছির আহমেদ। তিনি কালবেলাকে জানান, ইউনিয়নের পুরো এলাকাই ডাম্পিং হচ্ছে। জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তাতেও ভাঙন রোধ না হলে ব্লক করা হবে।

ফৈয়জপুর গ্রামের মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন যমুনাপাড়ের অস্থায়ী হাটে বাঁশ বিক্রি করেন। নদীভাঙনে কমপক্ষে ১৮ বিঘা জমি হারিয়েছেন ৬০ বছরের এই বৃদ্ধ। তিনি জানান, বাঁধ হচ্ছে দেখে গ্রামবাসী খুশি। এই বাঁধের কারণে এখন বাড়িটা বাঁচলেই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। না হলে বাস্তুহারা হব।

বাঁধের কাজ দেখতে এসেছেন মোহাম্মদ খুলছান। তার বাড়ি মাত্র আধা মাইল দূরে। তিনি জানান, নদীভাঙনে আগেই সর্বস্বান্ত হয়েছি। বাঁধটা নির্মাণের মাধ্যমে গ্রামের বাড়িগুলো রক্ষা পেলেই সবাই খুশি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডাকসু নির্বাচন / ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার দায়ে বাদ জুলিয়াস সিজার

ধর্ষণসহ হত্যায় ফুফাতো ভাইয়ের যাবজ্জীবন

কাজী নজরুলের কবিতা দেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস যুগিয়েছে : তারেক রহমান

‘রোহিতকে সরানোর জন্যই ব্রঙ্কো টেস্ট এনেছে বিসিসিআই’

অভিনেত্রী হিমুর আত্মহত্যা, প্রেমিক রাফির বিচার শুরু

ভারতে প্রয়াত ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা পাবে অনুদান

রাজধানীতে একক ব্যবস্থায় বাস চলবে : প্রেস উইং

ভিনিকে বিক্রি করে দিতে বললেন রিয়াল কিংবদন্তি

নতুন বিচারপতিদের মধ্যে সংখ্যালঘু নেই, ঐক্য পরিষদের ক্ষোভ

বিসিবির হাতে বিপিএলের স্পট ফিক্সিং তদন্ত প্রতিবেদন

১০

ফেসবুকের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন মাওলানা মামুনুল হক

১১

চুল পড়া রোধ করবে যে জিনিস

১২

ডাকসু নির্বাচনে সাত সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন

১৩

সাদাপাথরকাণ্ডে এবার পুলিশে বড় রদবদল

১৪

৪৫ বছর ধরে ঝুপড়ি ঘরে থাকা সেই দম্পতির পাশে ইউএনও

১৫

শুনানিতে বিএনপি-এনসিপির মারামারির ঘটনায় ইসির জিডি

১৬

পাঁচ মাসে ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রস্তাব পেল বিডা

১৭

নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই হতে হবে : চরমোনাই পীর

১৮

৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণসহ হত্যায় ফুফাতো ভাইয়ের যাবজ্জীবন

১৯

বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা

২০
X