হুমায়ুন কবির, রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪০ এএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রানীশংকৈল পৌর শহরে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ

দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা
রানীশংকৈল পৌর শহরে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার পৌর শহরের প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত বন্দর কুলিক নদীর বড় ব্রিজের সামনে মূল সড়কের দুই ধারে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। সেখানকার ময়লা পানিতে ভাসছে পলিথিনসহ নানা ধরনের বর্জ্য। এতে চারদিকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এতে অতিষ্ঠ পৌর বাজারের ব্যবসায়ীসহ ওই এলাকার বাসিন্দা ও চলাচল করা শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা। বর্ষাকালে এ দুর্গন্ধ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায় স্থানটি ময়লা ফেলার জন্য নির্ধারিত জায়গা না হলেও পৌর শহরের সব ময়লা-আবর্জনা নিয়মিতই ফেলা হচ্ছে। বলার বা বাধা দেওয়ার যেন কেউ নেই। আবার মাঝেমধ্যেই ওইসব আবর্জনায় দেওয়া হয় আগুন। সে আগুনের ধোঁয়া পাশের মার্কেট ও বাসাবাড়িগুলোতে চলে যায়। ফলে ব্যবসায়ী, পথচারীসহ আশপাশের বাসাবাড়ির মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। দুই বছর ধরে এ সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন পৌরসভার অনেক বাসিন্দা। অপরিকল্পিত ও উন্মুক্তভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচল ও বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়ছে বলে জানান পথচারী ও স্থানীয়রা। ট্রাক্টর ও ট্যাঙ্ক-লরির সভাপতি মোকসেদ আলী অভিযোগ করেন, পৌরসভার এসব ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলাতে আমাদের প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে। দুর্গন্ধে ঠিকমতো কাস্টমার দোকানে আসতে চায় না। আবর্জনায় কুকুরের উৎপাত ও আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়ায় প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।

পৌর শহরের সাবেক কাউন্সিলর মো. শেফা ও অমর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ময়লার দুর্গন্ধ ও কুকুরের অত্যাচারে স্কুলে ঠিকমতো বাচ্চারা আসতে চায় না।

এ ব্যাপারে রানীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচএ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, আগুনের ধোঁয়া ও আবর্জনার গন্ধ থেকে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তাই এ ধরনের রোগের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে এই স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা দরকার। পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি ২০২১ সাল থেকে মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছি। রানীশংকৈল পৌরসভার নিজস্ব কোনো জমি না থাকায় ব্রিজের সামনের দুপাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডাম্পিং স্টেশনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পৌরসভার জন্য প্রজেক্ট অনুমোদন হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে না। অধিগ্রহণের অনুমতি পেলেই পৌরসভার সব ময়লা-আবর্জনা ওই ডাম্পিং স্টেশনে স্থানান্তরিত করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

আর্জেন্টিনা-মরক্কো ফাইনাল কবে কোথায়

চট্টগ্রামে ফল বিপর্যয়, পাসের হার কমেছে ১৮ শতাংশ

এইচএসসির ফলাফল খারাপ হওয়ায় শিক্ষার্থীর কাণ্ড

জুলাই জাতীয় সনদে যা রয়েছে

শিক্ষকদের ‘মার্চ টু যমুনা’ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রাম ইপিজেডে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন

বদলির পর সরকারি কোয়ার্টারের ‘দরজা-জানালা’ খুলে নিলেন গণপূর্ত কর্মকর্তা

কুড়িগ্রামে ৯ কলেজে শতভাগ অকৃতকার্য

৩ কোটি টাকার সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের ইট, অতঃপর...

১০

নতুন লুকে আহান

১১

নতুন করে গাজায় ড্রোন হামলা, অভিযোগ অস্বীকার আইডিএফের

১২

আমি পুরোনোতে বাঁচি : জয়া আহসান

১৩

চট্টগ্রামে মাদক মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

১৪

ভেনেজুয়েলায় গুপ্ত অভিযানের অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

১৫

ক্যাম্পাসে মন্দির নির্মাণের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৬

এইচএসসি ফল : যে ৩ বিষয়ে ‍সবচেয়ে বেশি ফেল

১৭

এইচএসসির ফল ভালো নাকি খারাপ, যা বললেন ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান

১৮

শাহ আমানত বিমানবন্দরে প্রায় ১৯ লাখ টাকার সিগারেট জব্দ

১৯

দিনাজপুর বোর্ডের ৪৩ কলেজে পাস করেননি কেউ

২০
X