রাজধানীর ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের নানা অনিয়ম নিয়ে গত বছর ৭ নভেম্বর কালবেলায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ‘ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ; অনিয়ম যেখানে নিয়ম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন মাতুব্বরকে সভাপতি করে অধিদপ্তরের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. উপল সিজারকে সদস্য সচিব এবং মুগদা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষসহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত ২৭ ডিসেম্বর সরেজমিন মেডিকেল কলেজ ঘুরে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর কেটে গেছে নতুন বছরের অন্তত আড়াই মাসের বেশি সময়। কিন্তু প্রতিবেদনের আলোকে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
এর আগে বিদেশি শিক্ষার্থীর আসনে দেশি শিক্ষার্থী ভর্তি, মেধাতালিকায় নেই এমন শিক্ষার্থী নাম নিবন্ধনের জন্য প্রেরণ, নিরাপত্তা তহবিলের টাকা তুলে নেওয়া, প্রাক্তন অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক, অবকাঠামো ও অন্যান্য সুবিধাদি না থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কলেজ পরিদর্শক দপ্তর গত বছরের ৬ জুন সুনির্দিষ্টভাবে ১৩টি বিষয়ে জানতে চেয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একটি চিঠি দেয়। কিন্তু মেডিকেল কর্তৃপক্ষ সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। কলেজে কর্মরত একাধিক চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী জানান, অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা খুবই কম।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রের তথ্যমতে, বিদেশি শিক্ষার্থী কোটায় তিনজন দেশি শিক্ষার্থী ভর্তি প্রস্তাব, সাবেক অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং ফান্ডের টাকা তছরুপ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিতে কোনো হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্ট ছিল না। অডিট এক্সপার্ট ছিল না। তাই দুটি বিষয়ে কোনো বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিদেশি শিক্ষার্থী কোটায় তিনজন দেশি শিক্ষার্থী ভর্তির প্রস্তাব বিষয়ে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে। তবে এখন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি অধিদপ্তর।
জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন মাতুববর কালবেলাকে বলেন, আমরা নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এরপর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিঞাকে
ফোন করা হয় এবং খুদেবার্তা পাঠানো হয়; কিন্তু তিনি সাড়া দেননি।