গত কয়েক বছর ধরে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে বারবারই প্রশ্ন উঠছে। ছিনতাইকারীদের হাতে পুলিশ সদস্যের প্রাণ হারানোসহ দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও চুরির ঘটনাও ঘটেছে অনেক। এবার ঈদেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশসহ (ডিএমপি) অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা। ডিএমপি জানিয়েছে, বিগত সময়ের ঘটনাগুলো থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে এবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধীদের তৎপরতা বেড়ে যায়। সামগ্রিক নিরাপত্তার ত্রুটির কারণে ফাঁকা বাসায় চুরি, সড়কে ছিনতাই, ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটে। এবার তাই সবপক্ষকে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে ডিএমপির পক্ষ থেকে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি, সোসাইটি নেতৃবৃন্দ, বাড়ির মালিক, দারোয়ান, এলাকার নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল জুমার নামাজে প্রতিটি মসজিদে খুতবার আগে থানার ওসি থেকে শুরু করে অন্য অফিসাররা ডিএমপির পক্ষ থেকে বেশ কিছু নিরাপত্তা পরামর্শ দিয়েছেন। যেগুলো মেনে চলার অনুরোধ করেছে ডিএমপি।
আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে। সাপ্তাহিক ও ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের ছুটি মিলিয়ে এবার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে লম্বা ছুটি মিলছে। তাই এই ছুটিতে বেশিসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়ে যাবে বলে ধারণা পুলিশের।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধ দমনে মাঠপর্যায়ে কাজ করবে ডিএমপির স্পেশাল টিম। তারা এলাকায় এলাকায় টহল দেবে এবং আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় সন্দেহজনক কারও চলাফেরা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মোবাইল টহল টিমের পাশাপাশি চেকপোস্ট জোরদার করা হবে। মাঠপর্যায়ে থাকবে স্পেশাল টিম। ঢাকার ৫০টি থানাকে দেওয়া বিশেষ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঈদের ছুটির কয়েক দিন আগে থেকে এবং ঈদের ছুটির কয়েক দিন পর পর্যন্ত টহল ও চেকপোস্ট জোরদার করতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি থানাধীন এলাকায় রাতে ও দিনে টহল দিতে হবে।