ঝালকাঠিতে একই পরিবারের তিনজনকে অবরুদ্ধ রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পৌর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে গত রোববার থেকে তাদের আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনা জানাজানি হয়।
নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন শহরের কলাবাগান এলাকার বলাই কর্মকার, তার স্ত্রী রাধা রানী কর্মকার ও মেয়ে সুবর্ণা (১২)। বলাই কর্মকার শারীরিক অসুস্থতার কারণে কর্মক্ষম নন, রাধা রানী গৃহপরিচারিকার কাজ করেন ও সুবর্ণা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
খবর পেয়ে ঘটনার তিন দিন পর গত বুধবার ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহার গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
নির্যাতনের শিকার বলাই কর্মকার বলেন, আমার স্ত্রী রাসেলের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করত। বেতন কম হওয়ায় তার বাসায় কাজ ছেড়ে দেয়। রাসেলের একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে আমার মেয়েকে সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ভয়-ভীতি দেখালে আমার মেয়ে মোবাইল ফোন চুরির কথা স্বীকার করে। পরে মোবাইল ফোন ফেরত না দিতে পারায় রাসেল ও তার স্ত্রী মিলে আমাদের তিনজনকে চার দিন ধরে মারধর করে বাড়িতে আটকে রাখে। রাসেলের স্ত্রী আমার স্ত্রীর নিম্নাঙ্গে আঘাত করে। আমার স্ত্রী এখন দাঁড়াতে পারছি না।
তবে অভিযুক্ত সৈয়দ রাসেল বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সুবর্ণা আমার মোবাইল ফোন চুরি করেছে; কিন্তু আমি বা আমার স্ত্রী তাদের মারধর করিনি।
ঝালকাঠি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমাউন কবির সাগর বলেন, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। দরিদ্র পরিবারটির সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর ইউএনও সাবেকুন নাহার বলেন, এক পরিবারের তিনজনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাধা রানীর নিম্নাঙ্গেও আঘাত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন