ফুলের মরুভূমি আতাকামা। চিলির উত্তরাঞ্চলের এ মরুভূমি পৃথিবীর অন্যতম শুষ্ক স্থান, যা বালুময় বিশাল অনুর্বর বিরানভূমি। তা সত্ত্বেও প্রায় বছর এ অনুর্বর এলাকা সাদা ও বেগুনি রঙের ফুলে ছেয়ে যায়। চোখের দেখায় শুধু মনে হয়—বিছানো হয়েছে রক্তনীল রঙের ফুলেল কার্পেট। যেন দিগন্তছোঁয়া নীল-লোহিত বর্ণে বদলে গেছে মরুর রূপ।
আতাকামাকে ফুলের মরুভূমি বলার কারণ বর্তমানে প্রায় প্রতি বছর এটি ফুলে ঢেকে যাচ্ছে। যখন বৃষ্টিপাত ও সঠিক তাপমাত্রার সমন্বয় হচ্ছে, তখন এর বীজগুলো উদগিরণ করছে। সাধারণত এটি বসন্তকালে ঘটে। তবে এখন প্রায় অস্বাভাবিকভাবে মৌসুমের আগে প্রস্ফুটিত হচ্ছে; দক্ষিণ গোলার্ধের শীতের মাঝামাঝি, এল নিনো প্রবাহিত বৃষ্টিপাতের আশীর্বাদ হিসেবে। এটি একটি প্রাকৃতিক জলবায়ুজনিত ঘটনা, যা বিশ্ব আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে।
চিলির পন্টিফিকাল ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, গত ৪০ বছরে প্রায় ১৫টি প্রস্ফুটনের ঘটনা ঘটেছে।
চিলির জাতীয় সংস্থা ফরেস্ট্রি করপোরেশন-সিওএনএএফের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রধান সিজার পিজারো রয়টার্সকে বলেন, পুষ্পগুলো এখনো এতটা বিস্তৃত হয়নি যে, আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ‘ফুলের মরুভূমি’র অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে আরও প্রত্যাশিত বৃষ্টি হলে ফুলগুলো একটি বৃহত্তর অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
চিলির সরকার ২০২২ সালে আতাকামা মরুভূমিকে নতুন একটি জাতীয় উদ্যান তৈরির ঘোষণা দেয়। এখানকার পোকামাকড়, সরীসৃপ, পাখিসহ অন্য বন্যপ্রাণীগুলোকেও সহায়তার কথা বলা হয়, যা মূলত ওই বিরল ফুলগুলো সুরক্ষার প্রয়াস। সূত্র: সিএনএন