আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধিভুক্ত কলেজগুলোর আগের গভর্নিং বডি বাতিল করে নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন শুরু করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এই কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। শতাধিক কলেজে দুই থেকে তিনবার পর্যন্ত কমিটি দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক কলেজে নিয়মানুযায়ী অধ্যক্ষ অ্যাডহক কমিটির প্রস্তাব পাঠালেও সেখান থেকে কিছু পদে তালিকার বাইরে থেকে সদস্য যুক্ত করার মতো ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক কলেজেই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির ক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষ উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। যে কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দু-তিনবার বদলির ঘটনা ঘটেছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কলেজগুলোতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, আগের সব কমিটি বাতিল করে গত ২৯ আগস্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে অ্যাডহক কমিটি গঠনের জন্য সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়ন দিয়ে একটি প্যানেল পাঠাতে বলা হয়। কমিটি গঠনের আগ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা প্রশাসক বা তার মনোনীত প্রতিনিধি এবং বিভাগীয় কমিশনার বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পালন করতে বলা হয়।
সে অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দেশের প্রায় আড়াই হাজার কলেজ থেকে অধ্যক্ষদের প্রস্তাব করা প্যানেল যায় উপাচার্যের দপ্তরে। এরপরই শুরু হয় সমস্যা। কয়েকটি কলেজে দুই থেকে তিনবার কমিটি দেওয়া হয়, আবার কিছু কলেজে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিশেষ সুপারিশে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্যানেলের বাইরে থেকে অনেকে কমিটিতে যুক্ত হন। এ নিয়েও আছে অসন্তোষ। শতাধিক কলেজে এভাবে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে অনেক কলেজেই পক্ষ-বিপক্ষ তৈরি হয়। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং চাঙ্গা হয়। এর প্রভাব পড়ে শিক্ষা কার্যক্রমেও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কলেজগুলোর অধ্যক্ষরা সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্যের জন্য তিনজন করে শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তির শিক্ষা সনদ এবং প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ইমেইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও স্থানীয় গণ্যমান্য প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে কলেজের সঙ্গে সম্পর্ক নেই—এমন লোকজনকে সভাপতি করা হয়েছে। যাদের অনেকেই সভাপতি কিংবা বিদ্যোৎসাহী সদস্য হওয়ায় কলেজে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
যেসব কলেজে বেশি সমস্যা হয়েছে, সেগুলোতে কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। তবে কমিটি বারবার পরিবর্তনের কারণে রাজনৈতিক গ্রুপিং শুরু হয়েছে। যাদের কমিটিতে রেখে পরে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা নষ্ট হয়েছে। কমিটি কেন্দ্র করে কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি সংঘাতের আশঙ্কাও রয়েছে। এ ছাড়া কলেজের দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটেছে। কলেজগুলোতে কমিটির স্থায়িত্ব না থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় করা যাচ্ছে না। ফলে অনেক কলেজে শিক্ষকরা ঠিকমতো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্যানেল পাঠানোর পরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি করা হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়বাদী শ্রমিক দলের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে। কিন্তু দুই সপ্তাহের মাথায় সেই কমিটি বাতিল করে আরেকটি কমিটি দেওয়া হয়। সেখানে গাজীপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইশরাক সিদ্দিকীকে সভাপতি করা হয়।
এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির কালবেলাকে বলেন, ইশরাক সিদ্দিকীর নাম তালিকায় কীভাবে গেছে, কে পাঠিয়েছেন তা জানি না। বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। সেজন্য আদালতে রিট করেছি। বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলা করব।
গত সেপ্টেম্বরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খোকন তালুকদারকে মাদারীপুরের কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কমিটির সভাপতি করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে ২৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি যুবদল নেতা মাহমুদ সর্দারকে সভাপতি করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে যুবদলের এক সভা থেকে কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে কমিটি বাতিলে বাধ্য করা হয়। জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, ‘সেদিন আমাকে ঘেরাও করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কল করতে বাধ্য করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগের কমিটি বহাল রাখা হয়।’
গত ১১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর হাজেরা-তজু ডিগ্রি কলেজে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনকে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও ফেরদাউস বশিরকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য করা হয়। বিভাগীয় কমিশনারকে পাশ কাটিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ এই তালিকা পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। ছয় দিনের মাথায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করে নূরুল্লাহ নূরীকে সভাপতি এবং মোহাম্মদ শামসুজ্জামান হেলালীকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য করা হয়। সর্বশেষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও এই দুজনকে সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী মনোনীত করা হয়েছে।
কলেজের একজন শিক্ষক কালবেলাকে জানান, সবার সঙ্গে আলোচনা করে বিভাগীয় কমিশনার গত ২৪ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ একটি প্যানেল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান। সেই তালিকা অনুযায়ী চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নূরুল্লাহ নূরীকে সভাপতি ও মোহাম্মদ শামসুজ্জামান হেলালীকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য করা হয়। কিন্তু পরে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এখন সেটি রিটের শুনানির অপেক্ষায়। এমন পরিস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এখন কলেজে আসছেন না। এমনকি সভাপতি না হয়েও দেলোয়ার হোসাইন শিক্ষকদের শোকজ করে যাচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
কুমিল্লার বঙ্গবন্ধু ল কলেজে গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্যানেল থেকে অ্যাডভোকেট আমির হোসেনকে সভাপতি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু অক্টোবরের শুরুর দিকে আওয়ামীপন্থি আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাককে সভাপতি করে আরেকটি কমিটি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আগের পক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের শরণাপন্ন হলে তাদেরই কমিটি ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। পরে তারা আদালতে রিট করেন। যার রায় তাদের পক্ষে যায়। এ বিষয়ে কলেজ সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শকের দপ্তরে গেলে তারা উপাচার্যকে বলতে বলেন। পরে কুমিল্লার কর্মকর্তার সহায়তায় উপাচার্যের দপ্তরে যান। কিন্তু তিনি শুধু আশ্বাস দিয়ে গেছেন, কোনো কাজ হয়নি।
সম্প্রতি ঢাকার উত্তরখানের কাঁচকুড়া কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন পরিচালককে। পরে সেই কমিটি বাতিল করে নাসির উদ্দিন নামে একজনকে সভাপতি করা হয়। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করেছেন, সেটি অনলাইনভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে এর ইকুইভালেন্ট বা সমতা নির্ধারণ সনদও নেওয়া হয়নি। নাসির উদ্দিন জানেন না ইকুইভালেন্ট কী। তবে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে এই সনদ অর্জন করেছেন বলে দাবি তার।
ঝিনাইদহের শৈলকুপার শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ এলাকার গণমান্যদের সঙ্গে আলোচনা করে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তুজাম মণ্ডলকে সভাপতি রেখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু সভাপতি করা হয় শৈলকুপা পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা সান্টুকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সান্টুর নাম প্রস্তাব করা হয়নি, কিন্তু কীভাবে তাকে সভাপতি করা হয়েছে, তা কেউ জানেন না। তাকে সভাপতি করায় এলাকায় রাজনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধ চলছে।
এসব বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার কালবেলাকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে কলেজের একটি বা একাধিক প্যানেলও এসেছে। একটি পক্ষকে কমিটিতে রাখা হলে অন্যরা অসন্তুষ্ট হয়। তখন তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে ফোন দেওয়ান। তখন উপাচার্য কমিটি বদল করতে বাধ্য হন। অনেকে আবার এই কমিটিতেও অসন্তুষ্ট হয়ে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন দিয়ে ফোন করিয়েছেন। অনেকে আওয়ামী লীগ করেও এখন নিজেকে অন্য দলের বলে দাবি করছেন। এত এত কলেজে কে কোন দল করেন, তা যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয় না। সে কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বারবার বদলি:
সরকার পতনের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমানের স্বাক্ষর ছাড়াই বেআইনিভাবে শুধুমাত্র রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরে একটি বদলি আদেশ জারি হয় গত ৮ আগস্ট। এরপর ১ সেপ্টেম্বর, ২৩ সেপ্টেম্বর, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২১ অক্টোবর ও ৩ নভেম্বর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি আদেশ জারি করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার কারণে একেকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে তিনবার বদলির ঘটনাও ঘটেছে। প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলার আরেক উদাহরণ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের অফিস সহায়ক প্রদীপ চন্দ্র মালাকারের নামের আগে ‘মোহাম্মদ’ ব্যবহার। তাকে উপাচার্যের নগর কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। তবে এখনো তিনি বদলি হননি বলে জানা গেছে।
কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, গত ৮ আগস্টের সেই বিতর্কিত বদলিতে নাম ছিল তৌফিক ইমাম মো. আশরাফুল আলমের। তাকে মোট তিনবার বদলি করা হয়েছে। প্রথমবার ৮ আগস্ট কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে বদলি করা হয়। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপপরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়। এক সপ্তাহ পর ৩০ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে তাকে প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর দপ্তরে উপপরিচালক পদে বদলি করা হয়।
পরিবহন দপ্তরের সহকারী পরিচালক আখতার হোসেন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক সুমন চক্রবর্তী এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের পরিচালক হাসানুর রহমানকেও তিনবার বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে আখতার হোসেনকে প্রশাসন (পরিষদ) দপ্তর থেকে পরিবহন দপ্তর এবং সর্বশেষ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে উপপরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়। সুমন চক্রবর্তীকে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর থেকে কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্র, রেজিস্ট্রার দপ্তরে সংযুক্ত করে সর্বশেষ রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত করা হয়। হাসানুর রহমানকে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর এবং রেজিস্ট্রার দপ্তরে সংযুক্ত করার পর সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত করা হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ বেলাল হোসেন ও সানাউল্লাহ মিঞাকে দুবার করে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া দুবার করে বদলি করা হয়েছে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপপরিচালক ফরিদ হোসেন খান, প্রকৌশল দপ্তরের উপপরিচালক খায়রুল ইসলাম মণ্ডল, উপ-কলেজ পরিদর্শক এম এম কুদরত উল্লাহ, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর দপ্তরের উপপরিচালক রতন কুমার সাহা, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তারিকুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান, অসিত কুমার সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী আসগর খান সাবেরী, সহকারী পরিচালক আশরাফ আলী, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম, শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের সহকারী পরিচালক কামাল হাছান, আব্দুল মজিদ, সাবেক উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব ওয়াহিদুল বাসার, সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহিল বাকী খান, ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মেজবাহ উদ্দিন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শুদ্ধাচার দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জয়ন্ত ভট্টাচার্য্য, জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক আতাউর রহমান এবং অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ওয়াজিয়ার রহমানকে।
এই তালিকায় আরও রয়েছেন আঞ্চলিক কেন্দ্র সমন্বয় দপ্তরের পরিচালক হোসনেয়ারা বেগম, সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, প্রকৌশল দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এমদাদুল হক, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা দপ্তরের পরিচালক (প্রক্টর) মু. আখতারুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ইয়াসমীন জেনিফার, উপ-কলেজ পরিদর্শক এস এম মাসুদ রানা, সহকারী রেজিস্ট্রার ইব্রাহীম খলিল, শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের সহকারী পরিচালক (কম্পিউটার) খন্দকার মামুন আফসার, উপ-রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সুজাউদ্দৌলা, সহকারী কলেজ পরিদর্শক ফখরুল ইসলাম মিলন, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর দপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফুল আলম, জান্নাতুল ফেরদৌস, উপ-উপাচার্যের দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার আব্দুল মজিদ, সাইফুল ইসলাম, প্রকাশনা ও বিপণন দপ্তরের পরিচালক আ. মালেক সরকার, সেকশন অফিসার রোকনুজ্জামান, আহসান হাবিব হাসান, কাজী ফাদিয়া ইকবাল, উচ্চমান সহকারী জাহিদ হাসান পিয়েল, টেকনিক্যাল অফিসার শাখাওয়াত হোসেন, সাব-টেকনিক্যাল অফিসার মিজানুর রহমান, অফিস সহায়ক সোহানুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, রইচ উদ্দিন ফকিরসহ আরও কয়েকজন।
সার্বিক বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এস এম আমানুল্লাহ কালবেলাকে বলেন, ঢাকার কলেজগুলোতে তেমন সমস্যা না হলেও স্থানীয় কলেজগুলোতে শুরুর দিকে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তবে দুই হাজারের বেশি কলেজের মধ্যে সর্বোচ্চ একশ কলেজে এমন হয়েছে। কমিটি একবার দিলে স্থানীয়রা সেখানে সমস্যা শুরু করেছে। এরপর আবার দিতে হচ্ছে। অবশ্য ধীরে ধীরে সমস্যার সমাধান হচ্ছে। আমরা সবকিছু ঠিক করে ফেলব।