মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়িত মেডিকো কোচিং সেন্টারের মালিক ডা. জোবাইদুর রহমান জনি। ২০০৫ সাল থেকে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনি। প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসিমের অন্যতম সহযোগী এই জনি।
গতকাল শনিবার প্রশ্নফাঁসে জড়িত সাত চিকিৎসকসহ চক্রের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। সংস্থাটির মুখপাত্র আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে আজ রোববার দুপুরে মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করবেন সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের প্রধান জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানায়। সিআইডি সূত্রে জানা যায়, তিনি প্রশ্নফাঁসে জড়ান খালাতো ভাই সালামের মাধ্যমে। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রেসে মেশিনম্যান হিসেবে কাজ করতেন সালাম। তার সঙ্গে প্রেসে যাতায়াত। এক সময় দুই ভাই মিলে গড়ে তোলেন প্রশ্নফাঁসের সিন্ডিকেট। এর আগে তিনবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জসিম। জামিনে ছাড়া পেয়ে একই অপরাধে আবার জড়ান। একসময় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এখন ঢাকার একাধিক এলাকায় বাড়ি, গার্মেন্টস, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, এমনকি বিদেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থী পাঠানোর কনসালট্যান্সি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার।
আর এই সিন্ডিকেটেরই অন্যতম সহযোগী মেডিকো কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পরিচালক জোবাইদুর রহমান জনি। দেশের বিভিন্নস্থানে কোচিং খুলে ফাঁস করা প্রশ্নপত্র বিক্রিতে সিন্ডিকেটকে সহায়তা করতেন তিনি।
মেডিকো ছাড়াও আরও কয়েকটি কোচিং সেন্টারের মালিকের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস এবং বিক্রিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, জনির বিরুদ্ধে অবৈধ কাগজ তৈরি করে মেডিকেলে চান্স পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও আছে। দেশে দামি বাড়ি-গাড়ির পাশাপাশি বিদেশেও কোটি টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে মেডিকো পরিচালকের বিরুদ্ধে।
সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার চক্রের আরেক সদস্য আক্তারুজ্জামান তুষার ই-হক কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত। এর আগে একবার পুলিশে আরেকবার র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ভুয়া কাগজ তৈরি করে এ পর্যন্ত কতজনকে মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়েছে, সে ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেছে। আর চক্রের বাকি সদস্যদের সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তুষার।
মন্তব্য করুন