বীর সাহাবী
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৩ এএম
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

লেবুর হালি ১০০ টাকা

লেবুর হালি ১০০ টাকা

শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। এই মাসকে ঘিরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর দেওয়া হয় বিভিন্ন ছাড়। তবে বাংলাদেশে সাধারণ মানুষকে এক প্রকার জিম্মি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। তবে এবার রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে কিছুটা ভিন্নতা দেখা গেছে। গত বছর রমজানের দামেই মিলছে বিভিন্ন পণ্য। বিশেষ করে ইফতারির প্রচলিত পণ্যগুলোর দাম আগের বছরের মতোই। দুয়েকটার দাম কমেছে। তবে মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে লেবুর দাম। ফলে ইফতারিতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও লেবুর শরবতে গলা ভেজাতে কষ্ট হয়ে যাবে অনেকের।

গতকাল শনিবার রাজধানীর সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, ধূপখোলা, শ্যামবাজার, বাদামতলীসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। শেষ সময়ে রোজার বাজার করতে মানুষের ভিড়। তারা ইফতার এবং সেহরির জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার ইফতার পণ্যের দাম না বাড়ায় কিছুটা স্বস্তিতে আছেন। তবে লেবুর দাম নিয়ে হতাশ সবাই। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে দাম দুই থেকে আড়াইগুণ বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ক্ষোভও ঝেরেছেন।

পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ক্রেতা আবুল কাশেম সুমন কালবেলাকে বলেন, দুদিন আগেও লেবু কিনেছি ৪০ টাকা হালি দরে। এসে দেখি সেই লেবু ৮০ টাকা হালি। আবার কোনো দোকানে ১০০ টাকা। দুদিনে কী এমন হলো যে, লেবুর দাম এত বেড়ে গেল? এবার তো শরবতই তেমন খেতে পারব না। মানুষকে কষ্ট দিতেই লেবু নিয়ে এমন কারসাজি।

সূত্রাপুর বাজার থেকে ইফতারির পণ্য কিনে ফিরছিলেন মোহাম্মদ আজিম নামে একজন। তিনি জানান, অনেকগুলোর দাম গত রোজার মতোই রয়েছে। তবে আরও কম হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সরবারহ কম। গেন্ডারিয়ার জহির উদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগেও লেবুর এত চাহিদা ছিল না। রোজার কারণে চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। কিন্তু সে অনুযায়ী সরবরাহ পাচ্ছি না। ফলে বাধ্য হয়েই দাম বাড়াতে হয়েছে। আমরাও নিরুপায়। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে লেবুর দাম আগের জায়গায় যাবে বলে আশা করছি।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে, যা গত বছর ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ক্যাঙ্গারু মসুর ডাল গত বছরের তুলনায় ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, বেসন ২০ টাকা কমে মানভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, চিনি প্রতি কেজি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ২০ টাকায়, মুড়ি ৮০ টাকা কেজি এবং পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে।

ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুরের দামও এবার তুলনামূলক কম। শুল্ক ছাড়ের কারণে গত বছরের তুলনায় এবার আমদানি বেড়েছে। ফলে বাজারে খেজুরের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। জাত ও মানভেদে প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ৪০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। আজওয়া খেজুর মানভেদে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিশর থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৭০ টাকায়। অন্যান্য খেজুর মানভেদে ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ী হামিদ ব্যাপারী বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত খেজুর রয়েছে। এজন্য দামও কমে মিলছে। অনেক খেজুরের দাম আগের বছরের তুলনায় ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দাম কম থাকলে বিক্রি বেশি হয়। আর দাম বেশি হলে মানুষ কিনতে পারে না। আমাদের ব্যবসাও ভালো হয় না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘বিদেশি নম্বর’ থেকে ফোন করে ওসিকে হত্যার হুমকি

ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে ট্রাম্পের আহ্বান

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি

৪ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

গরুর মাংসে হাড়-চর্বি বেশি দেওয়ায় সংঘর্ষ

‘বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না’

এক ইলিশ ১০ হাজার টাকা

ভাতের হোটেলের পাওনা চাওয়ায় গুলি

ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না : সেলিমুজ্জামান

১০

‘জনগণের অধিকার ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিএনপি’

১১

নিউইয়র্কের প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রমের উদ্বোধন

১২

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

১৩

ফের জামায়াতের সমালোচনা করলেন হেফাজত আমির

১৪

জবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা হাসিবুলের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

১৫

গণতন্ত্রে উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন পাওয়া গেছে : মির্জা ফখরুল

১৬

আমরা পা ছেড়ে মাথার রগে ফোকাস করছি, মজার ছলে সর্ব মিত্র

১৭

নাটকীয় ম্যাচ জিতে টাইগারদের সিরিজ জয়

১৮

জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যুতে হাসপাতালে ভিপি সাদিক কায়েম

১৯

হঠাৎ খিঁচুনিতে জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

২০
X