ফারহান মাসউদ, গোলাপগঞ্জ (সিলেট)
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫, ০৭:১৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সিলেটের গোলাপগঞ্জ

বাড়ির আঙিনা পাখপাখালির অভয়ারণ্য

বাড়ির আঙিনা পাখপাখালির অভয়ারণ্য

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা একটি বাড়িতে মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে রয়েছে হরেক রকম পাখি ও প্রাণী। পাখপাখালির থাকার ঘরগুলোকে খাঁচা বললেও ভুল হবে না। কারণ ময়ূর, ইমুসহ পাখিগুলো তাদের ঘর থেকে বেরিয়ে দিব্বি বাইরে ঘুরে বেড়ায়, আবার আপন মনে ঢুকে পড়ে।

যদিও প্রাচীরঘেরা বাড়িটির বাইরে বের হওয়ার সুযোগ তাদের নেই, তবে ভেতরটাই যেন এক অভয়ারণ্য।

এ সৌন্দর্যের দেখা মিলবে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পূর্বভাগে অবস্থিত একটি বাড়িতে। ‘হরিণওয়ালা বাড়ি’ পরিচিত এই বাড়ির মালিক প্রবাসী আলী আহমদ চৌধুরী। এ বাড়িটি হরিণসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর সংগ্রহশালা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। আর প্রতিদিন ওই বাড়িতে যায় শিশু থেকে বিভিন্ন বয়সের দর্শনার্থী।

শখের বশে বন বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী বাড়ির আঙিনায় পালন করে আসছেন আমেরিকাপ্রবাসী আলী আহমদ চৌধুরী।

সড়কের পাশে প্রাচীরঘেরা বাড়িটি দেখে বোঝার উপায় নেই, বাড়ির আঙিনায় বিচরণ এত প্রজাতির প্রাণীর। প্রাচীরঘেরা বাড়িতে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে হরিণ, ইমু, ময়ূর, কালিম পাখি, চায়না প্রজাতির সাদা, সিলভার ও কালো তোতা, অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু, আমেরিকান ম্যান্ডারিন, চুটি হাঁস, রাজহাঁসসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী।

সরেজমিন গাছ আর ফুলের বাগানবেষ্টিত বাড়ির প্রবেশদ্বার পেরোলেই শোনা যায় পাখির কিচিরমিচির। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখে বিস্মিত হতে হয়। খাঁচা থেকে বের হয়ে বাড়ির উঠানে ঘুরে বেড়াচ্ছে ময়ূর, ইমু পাখি ও হাঁসগুলো। সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছেন দেখতে আসা দর্শনার্থীরা। একটু সামনে এগোতেই বাম পাশে দেখা যায় হরিণের খাঁচা। হরিণগুলো অপরিচিত মানুষ দেখে এক পাশ থেকে চলে যায় অন্য পাশে।

শিশু সন্তানকে সঙ্গে এসেছেন বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী। তারা জানালেন, পরিবেশ দেখে তারা মুগ্ধ, অভিভূত হয়েছেন। তাদের সন্তানও কাছ থেকে বাহারি এসব পশুপাখি দেখে ভীষণ আনন্দিত।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় বাড়ির মালিক আমেরিকাপ্রবাসী আলী আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে। ষাটোর্ধ্ব বয়সের এই ব্যক্তি বেশিরভাগ সময় দেশেই থাকেন। তিনি বলেন, ‘শখের বসে বন বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ২০০০ সাল থেকে বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন জাতের পশুপাখি পালন করছি। এসব প্রাণীর প্রতি এক অন্যরকম মায়া পড়ে গেছে। এলাকার শিশু থেকে শুরু করে অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত অদেখা এই প্রাণীগুলো সরাসরি দেখতে আসেন। এটাই আমাকে আনন্দিত করে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আফ্রিদির বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি, উকিল খুঁজছেন স্বপন

মুন্সিগঞ্জে ‘গত আগস্টে লুট করা অস্ত্র’ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা

গরিবের স্বপ্নেই থাকে ইলিশ

কেউ ছাই দেওয়া হাত থেকে বের হতে পারবে না : উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন

বাংলাদেশে তিন বছরে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ শতাংশে

রুট ১৩ হাজার রান ছুঁতেই মুখ খুললেন শচীন

‘উপদেষ্টা মাহফুজের ওপর হামলা হয়নি, কনস্যুলেট অফিস ভাঙচুর হয়েছে'

১৫০ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

সাব্বিরকে পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ বিসিবির আকুর

জিয়ার সমাধিতে ডা. সাবরিনার শ্রদ্ধা, যুবদল সভাপতির ক্ষোভ

১০

শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিতর্ক, অর্থপাচার বিরোধী অভিযানে চাপ

১১

অভিনেত্রী জাহানারা ভূঁইয়া মারা গেছেন

১২

ঢাকা শিশু হাসপাতাল শাখা ড্যাবের নতুন দায়িত্বে ডা. ফারুক

১৩

এনসিপির আরও চার নেতার পদত্যাগ 

১৪

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিসের শ্বশুর লুৎফর রহমান

১৫

ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণার বিধিমালা প্রকাশ

১৬

হাসনাতকে ‌‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন ফারহানা

১৭

বিজিবির কাছে ৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

১৮

চুরির অভিযোগ, গণপিটুনিতে যুবক নিহত

১৯

সংবিধানের মূলনীতি থেকে আমরা সরে যাচ্ছি : ড. কামাল হোসেন

২০
X