রাজবাড়ীতে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করলে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ছাড়াও কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বাসভবন থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে পান্না চত্বর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় তার বাসায় যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজবাড়ী শহর। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্য, চার সাংবাদিকসহ বিএনপির ১০-১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, বিএনপির শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা থেকে অতর্কিতে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছে। সেইসঙ্গে কয়েকজনকে আটকও করেছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
আর বিএনপি বলছে, তারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা বেড় করে। শোভাযাত্রা শেষে ফেরার পথে পুলিশ বিএনপির ওপর হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভা ছিল। আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কর্মসূচি করি। শোভাযাত্রায় প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রাটি পান্না চত্বর অতিক্রম করলে পুলিশ অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে আমাদের ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। আমাদের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় পুলিশের অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহউদ্দিন বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজবাড়ীতে খৈয়ম গ্রুপ শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি পান্না চত্বর প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা মোড়ে এলে তারা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের প্রত্যেকের হাতে ইট-পাটকেল, লাঠিসোটা ছিল। তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন