

জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদের চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি। তাদের অভিযোগ, জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির জরুরি প্রেসিডিয়াম বৈঠকে এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। দলের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের সঞ্চালনায় এ বৈঠক হয়। বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, দেশকে অস্থিতিশীল করে জাতীয় নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ধারাবাহিকভাবে সহিংসতা ও নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। পার্টির চেয়ারম্যানের বাসভবনে হামলা ও আগুন সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
শুক্রবার রাতে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে বাড়ির ভেতরে থাকা একটি প্রাইভেটকার সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন শুধু দুজন নারী কেয়ারটেকার।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে হাটহাজারী উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের সাদেকনগর গ্রামের এই বাড়িতে আগুন লাগলে আশপাশের লোকজন দ্রুত ছুটে এসে নেভানোর চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে প্রাইভেটকারটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স হাটহাজারী স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারিক আজিজ বলেন, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কারা এবং কী উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও আংশিক বায়েজিদ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের হয়ে সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মন্তব্য করুন