

ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২৮ রান, উইকেট ছিল ৪টি। ইংল্যান্ডের অসম্ভব কিছু করে ফেলার উৎসবটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মিচেল স্টার্কের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের পেছনে লাবুশেনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিন ঘণ্টা ধরে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উইল জ্যাকস। সেখানেই শেষ। বাকি দুই উইকেট যেতে আর সময় লাগেনি।
ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫২ রানে অলআউট করে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া জিতল ৮২ রানে। যে জয়ে টানা তৃতীয় টেস্ট জিতে ৩-০ ব্যবধানে অ্যাশেজও নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড শুধু সিরিজই হারেনি, হেরেছে মাত্র ১১ দিনে। অ্যাশেজ ইতিহাসে এত কম সময়ে সিরিজ নিষ্পত্তির মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা এটি।
ব্যাট হাতে আরও শক্ত ভিত গাড়েন জ্যাকস। রান তুলে নিচ্ছিলেন কার্স। ইংল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ নেমে আসে একশর নিচে। জ্যাকস ব্যক্তিগত ৪৭ রানের সময় স্টার্কের অফসাইডের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে নেন। এক হাতে সেই ক্যাচ ধরেন লাবুশেন। ৯৭ রানে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের ম্যাচ সেখানেই শেষ।
আর্চার টিকতে পারেন মাত্র ১৪ বল, টাং ৩। ব্রাইডান কার্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থাকেন। ৬৪ বলে ৪ চার ও এক ছয়ে ৩৯ রান করেন তিনি। মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের শিকার ৩ করে। অ্যাডিলেডে সর্বশেষ ১২৩ বছর আগে ৩০০ বা এর বেশি রান তাড়া করে টেস্টে জয়ের নজির দেখা গিয়েছিল। এবারও সেই রেকর্ড অক্ষুণ্ণই থেকে গেল।
মন্তব্য করুন