শুরু হয়েছে রমজান মাস। সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় ইফতার করেন রোজাদার মানুষ। শরবত ও ভাজাপোড়া ছাড়া যেন ইফতার সম্পূর্ণ হয় না এদেশের মানুষের। বাজারে বেগুনি তৈরির প্রধান উপকরণ বেগুনের দাম যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। চাহিদার কারণে দাম বেড়েছে শসা ও লেবুর।
কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি বেগুন ও শসার দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড, তেজকুনী বাজার, নিউমার্কেট, নয়াবাজার, সূত্রাপুর, শ্যামবাজার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ভালোমানের গোল বেগুন (তাল বেগুন) বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে। কয়েকদিন আগেও বেগুন বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। কাগজি লেবু ও বাতাবি লেবুর দাম হালিপ্রতি ৬০-৮০ টাকা, শসা
১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারে বেগুন ও শসা কিনতে আসা ক্রেতা জামাল কালবেলাকে জানান, বাজারে কোনো কিছুর দাম এখন কম নয়। কয়েকদিন আগে যে বেগুন ৬০ টাকায় পাওয়া গেছে, আজ তা কিনতে হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। এগুলো তো মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপ থেকে আসে না। তাহলে এসবের দাম নিয়ন্ত্রণে নেই কেন? ভোক্তা অধিকারের কাছে অনুরোধ,Ñপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি বন্ধ করুন। অন্তত রমজান মাসে আমাদের ভালো করে বাঁচতে দিন। প্রয়োজনে প্রতিটি বাজার ও আড়তে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করুন।
বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করা সৌরভ কিনতে এসেছেন লেবু। তিনি কালবেলাকে বলেন, সবকিছুই দামি! কী কিনব আর কী কিনব না, সে অঙ্ক মেলে না। এক কেজির প্রয়োজন থাকলেও আধা কেজি দিয়ে চালাতে চেষ্টা করছি; কিন্তু তাও সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, কাঁচাবাজারের অবস্থা প্রতিদিনই বদলায়। আড়ত থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। তাই আমরা বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই।
এ বিষয়ে শ্যামবাজারের মাতৃভান্ডার সবজির আড়তের ম্যানেজার কাশেম বলেন, সত্যিটা হলো,Ñআমাদেরকেও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। যাতায়াতের খরচ ও আনুষঙ্গিক রাস্তার খরচ যোগ করে সামান্য কিছু লাভে আমরা পণ্য ছেড়ে দিই।