ঈদুল আজহা যেন চঞ্চল চৌধুরীর জন্য বিশেষ এক মঞ্চ হয়ে উঠেছে। ‘উৎসব’ সিনেমা দিয়ে দর্শক মাতিয়ে যাচ্ছেন এই অভিনেতা। অন্যদিকে ‘ইনসাফ’-এ ক্যামিও হিসেব দেখা গেছে চঞ্চলকে। তার অভিব্যক্তি, সংলাপ এবং অভিনয়শৈলী মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। কালবেলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দুই সিনেমায় কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন তিনি। যেখানে উঠে এসেছে তার আবেগ, দায়বদ্ধতা আর চরিত্রের ভেতরে ঢুকে পড়ার দুঃসাহসিক গল্প। লিখেছেন তামজিদ হোসেন
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, বাঙালির রক্তের মধ্যেই আছে উৎসবকে উদযাপন করার রীতি। আমরা যেটা দেখি আসলে উৎসবকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশে নতুন নতুন সিনেমা আসে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয় সপ্তাহব্যাপী নানান ধরনের নাটক আয়োজন চলে। তার মানে উৎসবকে আরও বেশি আলোড়িত করার জন্য এ আয়োজনগুলো চলে। সে জায়গা থেকে আমরাও ঈদের এ আনন্দকে আরও বর্ণিল করার জন্য দর্শকদের কাছে ‘উৎসব’ নিয়ে হাজির হয়েছি। মানে উৎসবের মাঝে উৎসব।
সিনেমার বিষয়ে তিনি বলেন, উৎসব একটি হরর কমেডি টাইপের ছবি। এ ধরনের ছবি আমাদের দেশে খুব বেশি হয়নি। খুবই আনন্দদায়ক ছবি এটি। দর্শকদের উদ্দেশে আমি বলব, খুবই মজা করে আপনারা দেখতে পারবেন ছবিটা।
চঞ্চল আরও বলেন, উৎসব সিনেমায় আমি একটি স্পেশাল ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমি ছাড়াও আরও দুজন এই ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই ভূতগুলো আসলে তিনজনের রূপ ধরে আসে, যে কারণে তারা একজন আরেকজনকে খোঁচা মেরে কথা বলতে থাকে এবং এটা অনেক মজার হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন আমি যে সিনেমাগুলো করেছি সব কিন্তু আলাদা ধরনের। রেগুলার যে ছবি বানানো হয় সেগুলোর থেকে ভিন্ন। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের সিনেমা থাকতে হবে। কারণ দর্শক তো সবাই এক নয়। একেক রকম দর্শকদের রুচি একেকরকম তাই বিভিন্ন রকম সিনেমা বানানো খুবই জরুরি। আমিও চাই বিভিন্ন ধরনের সিনেমা নির্মিত হোক এবং দর্শকরাও সেগুলার সঙ্গে যুক্ত হোক।
তানিম নূর পরিচালনায় নির্মিত হয় উৎসব সিনেমা। এ চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন দেশের নামকরা শিল্পীরা। চঞ্চল চৌধুরীর পাশাপাশি এ ছবিতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, জয়া আহসান, অপি করিম, আফসানা মিমি, তারিক আনাম খান, আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মানসহ আরও অনেকে।
এদিকে ‘ইনসাফ’ সিনেমা নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, সঞ্জয় সমাদ্দারের ‘ইনসাফ’ সিনেমায় আমি নাইয়ের মতো আছি। থাকতে থাকতে নেই, অথবা একটু থেকেও নেই। এ মন্তব্যের পরপরই তিনি যোগ করেন, ওটা নিয়ে বলার কিছু নেই, ওটা আসলে এক ধরনের চমক। যারা সিনেমা হলে ‘ইনসাফ’ দেখবেন, মোশাররফ করিম, তাসনিয়া ফারিণ ও শরিফুল রাজের পাশাপাশি হয়তো কোনো একটা মুহূর্তে গিয়ে আমাকে দেখতেও পারেন।
তবে বিষয়টি পরিষ্কার করতে গিয়ে চঞ্চল জানান, আমি ‘ইনসাফ’-এ অভিনয় করিনি; সবাই কেমন অভিনয় করছে, সেটি দেখার জন্য আমি শেষ সিক্যুয়েন্সে ঢুকে পড়েছিলাম। পরিচালক আমাকে ক্যামেরার ভেতর দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন